কারেনকে ঘিরে উচ্ছ্বাস ইংল্যান্ডের ক্রিকেটারদের। ছবি: টুইটার
অনেক চেষ্টা করলেন আফগানিস্তানের বোলাররা। কিন্তু পারলেন না। রানটাই যে খুব কম করেছিলেন তাঁদের দলের ব্যাটাররা। নইলে হয়তো কিছুটা সমস্যায় পড়ত ইংল্যান্ড। শেষ পর্যন্ত জিতে বিশ্বকাপ অভিযান শুরু করল ইংল্যান্ড। দলের জয়ের কান্ডারি স্যাম কারেন। বল হাতে ৫ উইকেট নিলেন তিনি।
টসে জিতে প্রথমে আফগানিস্তানকে ব্যাট করতে পাঠান ইংল্যান্ডের অধিনায়ক জস বাটলার। তাঁর সিদ্ধান্ত যে ঠিক তা তৃতীয় ওভারেই বুঝিয়ে দেন মার্ক উড। রহমানুল্লা গুরবাজকে আউট করেন তিনি। সেই শুরু। তার পর নিয়মিত ব্যবধানে উইকেট পড়ল। ইব্রাহিম জাদরান ও উসমান গনি ছাড়া কোনও ব্যাটার রান পাননি। জাদরান ৩২ ও উসমান ৩০ রান করেন।
বল হাতে আফগানিস্তানের ইনিংসকে ভাঙেন কারেন। তাঁর বাঁ হাতি পেসের জবাব আফগান ব্যাটারদের কাছে ছিল না। ১৮তম ওভারের শেষ দুই বলে দু’উইকেট নেন কারেন। ২০তম ওভারের প্রথম বলে উইকেট নিল হ্যাটট্রিক হত তাঁর। সেটা হয়নি। কিন্তু সেই ওভারের দ্বিতীয় ও চতুর্থ বলে উইকেট তুলে আফগানিস্তানের ইনিংসকে ১১২ রানে শেষ করে দেন তিনি। ৩৪ ওভারে ১০ রান দিয়ে ৫ উইকেট নেন কারেন।
গ্রাফিক: শৌভিক দেবনাথ।
লক্ষ্য খুব বেশি ছিল না। কিন্তু সেটা করতেও সমস্যায় পড়তে হল ইংল্যান্ডকে। ব্যাটাররা না পারলেও লড়াই করলেন আফগান বোলাররা। নির্দিষ্ট ব্যবধানে উইকেট পড়লেও এক দিকে টিকেছিলেন লিয়াম লিভিংস্টোন। তিনি দলকে জয়ে নিয়ে যান। শেষ পর্যন্ত ১১ বল বাকি থাকতে জিতে যায় ইংল্যান্ড।
গোটা ম্যাচে চারটি দুর্দান্ত ক্যাচ দেখা গেল। ইংল্যান্ডের লিভিংস্টোন, আদিল রশিদ ও জস বাটলার দারুণ ক্যাচ ধরলেন। তেমনই আফগান অধিনায়ক মহম্মদ নবিকেও ভাল ক্যাচ নিতে দেখা গেল। যদিও শেষ হাসি হাসল ইংল্যান্ডই।