রবিবারের ভারত-পাকিস্তান ম্যাচের শেষে দুই দলের ক্রিকেটাররা। ছবি: পিটিআই
একটি ওভার। তাতে জয়ের জন্য ভারতের প্রয়োজন ছিল ১৬ রান। সেই রান তুলে ম্যাচ জেতার পথে ঘটল ১১টি ঘটনা। ক্রিকেটের প্রায় সব ঘটনাই ঘটতে দেখা গেল মহম্মদ নওয়াজের সেই একটি ওভারে। টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে রবিবার ভারত বনাম পাকিস্তান ম্যাচে কী কী হল সেই ওভারে?
ক্যাচ আউট
নওয়াজের প্রথম বলেই আউট হয়ে যান হার্দিক পাণ্ড্য। তিনি বলটি লেগের দিকে মারতে গিয়েছিলেন। কিন্তু ঠিক মতো ব্যাটে লাগেনি। বল চলে যায় কভারের দিকে। সেখানে বাবর আজম ক্যাচ ধরেন। সাজঘরে ফিরে যান হার্দিক।
১ রান
নওয়াজের ওভারের দ্বিতীয় বলে একটি রান নিয়েছিলেন দীনেশ কার্তিক। তিনি ব্যাট করতে নেমে ওই ১ রান নিয়েই বিরাট কোহলিকে স্ট্রাইক দেন। ফুলটস বল লং অনে মেরে একটি রান নিয়েছিলেন কার্তিক।
২ রান
সেই ওভারের তৃতীয় বলে দু’টি রান নেন বিরাট। সেই সময় ভারতের প্রয়োজন ছিল ১৫ রান। বিরাট ২ রান নিয়ে স্ট্রাইক ধরে রাখেন। পরের ৪ বলে ভারতের প্রয়োজন ছিল ১৩ রান।
নো বল
চতুর্থ বলটি নো বল করেন নওয়াজ। বিরাটের কোমরের উপরে ফুলটস বল করেছিলেন পাক স্পিনার। আম্পায়ার নো বলের সিদ্ধান্ত দেন। পাকিস্তান দল যদিও সেই সিদ্ধান্তে খুশি হতে পারেনি।
৬ রান
নওয়াজের সেই নো বলটিতে ছক্কা হাঁকান বিরাট। ফুলটস বলটি ডিপ স্কোয়ার লেগের উপর দিয়ে মাঠের বাইরে পাঠিয়ে দেন ভারতের প্রাক্তন অধিনায়ক। ফ্রি হিট পায় ভারত।
ওয়াইড বল
বিরাটের ছক্কা মারার পর চাপে পড়ে যান নওয়াজ। পরের বলটি ওয়াইড করে বসেন তিনি। এক রান পায় ভারত। ফ্রি হিট পরের বলের জন্য থেকে যায়। শেষ বল করার সময়ও রবিচন্দ্রন অশ্বিনকে ওয়াইড বল করেন নওয়াজ।
বোল্ড আউট
ফ্রি হিটে বোল্ড হয়ে যান বিরাট। ভারতের প্রাক্তন অধিনায়ক আউট হলেও ফ্রি হিট থাকায় তিনি আউট হননি।
৩ রান
বিরাটের উইকেট ভেঙে সেই বল থার্ড ম্যানের দিকে চলে যায়। দৌড়ে তিন রান নেন বিরাট। তাতেও আপত্তি তোলেন পাকিস্তানের ক্রিকেটাররা। বাবর আজ়মরা মনে করেন স্টাম্প ভাঙার সঙ্গে সঙ্গেই বলটি ডেড হয়ে গিয়েছে। তাই রান নেওয়া যাবে না। কিন্তু আইসিসির নিয়ম অনুযায়ী বিরাটদের রান নেওয়ায় কোনও নিয়ম ভাঙেনি।
বাই রান
বিরাটের দৌড়ে নেওয়া ওই তিন রান ‘বাই’ হিসাবে ঘোষণা করেন আম্পায়ার। বল বিরাটের ব্যাটে লাগেনি। উইকেট ভেঙে চলে গিয়েছিল। তাই দৌড়ে নেওয়া তিন রান বিরাটের খাতায় যায়নি। অতিরিক্ত রান হিসাবে যোগ হয়েছে ভারতের খাতায়।
স্টাম্প আউট
ওভারের পঞ্চম বলে স্টাম্প আউট হন কার্তিক। ভারতীয় উইকেটরক্ষকের পায়ে লেগে বলটি মহম্মদ রিজওয়ানের হাতে চলে যায়। সেই সময় ক্রিজের বাইরে ছিলেন কার্তিক। স্টাম্প করে দেন পাক উইকেটরক্ষক। অনেকের মতে এটি রান আউট। কারণ কার্তিক রান নেওয়ার জন্য এগিয়ে ছিলেন, কিন্তু ফিরতে পারেননি।
৪ রান
ওভারের শেষ বলটিতে চার মারেন অশ্বিন। কিন্তু বল বাউন্ডারিতে যাওয়ার আগেই দৌড়ে এক রান নেন তিনি এবং বিরাট। ভারতের জয়ের জন্য ১ রানই প্রয়োজন ছিল। সেই কারণে চার রানটি ধরা হয়নি। একটি রানই যোগ হয় স্কোর বোর্ডে।