বাংলাদেশের বিরুদ্ধে অনিশ্চিত হয়ে পড়লেন দীনেশ কার্তিক। ভারতীয় দলের উইকেটকিপারের পিঠের পেশিতে টান ধরেছে। ছবি: টুইটার
দক্ষিণ আফ্রিকার বিরুদ্ধে হারতে হয়েছে ভারতকে। বাংলাদেশের বিরুদ্ধে অনিশ্চিত হয়ে পড়লেন দীনেশ কার্তিক। ভারতীয় দলের উইকেটকিপারের পিঠের পেশিতে টান ধরেছে। দক্ষিণ আফ্রিকা ম্যাচে তিনি শেষের দিকে আর উইকেটকিপিং করতে পারেননি। ১৬ ওভার থেকে ঋষভ পন্থকে উইকেটের পিছনে দাঁড়াতে হয়। কার্তিক মাঠ ছেড়ে বেরিয়ে যান। যদি বাংলাদেশের বিরুদ্ধে কার্তিক খেলতে না পারেন তা হলে দলের আসার কথা পন্থেরই।
কার্তিকের চোট কতটা গুরুতর, তা এখনও জানা যায়নি। সাধারণত পিঠের পেশিতে টান ধরলে সারতে তিন থেকে পাঁচ দিন লাগে। মনে করা হচ্ছে, পার্থে প্রচণ্ড ঠান্ডার কারণেই চোট পেয়েছেন কার্তিক। দলের এক সূত্র সংবাদ সংস্থাকে বলেছেন, “কার্তিকের কোমরে ব্যথা লেগেছে। আমরা এখনও চোটের প্রকৃতি জানতে পারিনি। হিট ট্রিটমেন্ট এবং ম্যাসাজ করে ওকে সুস্থ করে তোলার চেষ্টা চলছে। এখনই ওর ছিটকে যাওয়ার মতো পরিস্থিতি তৈরি হয়নি।”
রবিবার কার্তিক নিয়ে প্রশ্নের উত্তর দিতে গিয়ে ভুবনেশ্বর কুমার বলেন, “পিঠে সমস্যা রয়েছে কার্তিকের। ম্যাচের পর আর ওর সঙ্গে দেখা হয়নি। হোটেলে ফিরে কথা বলব ওর সঙ্গে। ফিজিয়ো কী বলছে সেটাও জানতে হবে।”
বিশ্বকাপে এখনও পর্যন্ত সে ভাবে ব্যাট হাতে রান পাননি কার্তিক। উইকেটের পিছনে দলকে ভরসা দিচ্ছিলেন। যদিও নেদারল্যান্ডসের বিরুদ্ধে বেশ কিছু সহজ সুযোগ হারান তিনি। সেই কারণে দক্ষিণ আফ্রিকার বিরুদ্ধে নামার আগে আলাদা করে অনুশীলন করেন কার্তিক। উইকেটের পিছনে তিনি যাতে নিজের সেরাটা দিতে পারেন, সেই দিকে নজর দিয়েছেন রাহুল দ্রাবিড়রা। পার্থে অনুশীলনে দেখা গিয়েছিল কার্তিকের সঙ্গে আলাদা করে সময় দিচ্ছেন ফিল্ডিং কোচ টি দিলীপ। ‘ব্লাইন্ড ড্রিলস’ করেন কার্তিক। এমন কোণ থেকে বল ছোড়া হয় যেখানে উইকেটরক্ষক বলটিকে শেষ মুহূর্তের আগে দেখতে পাবেন না। ব্যাটারের কারণে ঢেকে যায় বলটি। এমন অবস্থায় উইকেটরক্ষকের অনুমান ক্ষমতার উপর নির্ভর করতে হয়। সেটারই অনুশীলন করছিলেন কার্তিক।
ভারতীয় দলে ঋষভ পন্থ থাকায় যদিও উইকেটরক্ষা নিয়ে চিন্তা করতে হবে না ভারতকে। দিল্লির বাঁহাতি ব্যাটার নেটেও অনুশীলন করছেন নিয়মিত। এ বারের টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে এখনও প্রথম একাদশে খেলেননি তিনি। রবিবার উইকেটরক্ষা করতে দেখা গেল তাঁকে। তার আগে নেটে পন্থকে দেখা গিয়েছিল বিধ্বংসী মেজাজে ব্যাট করতে। একের পর এক বোলারের বিরুদ্ধে তাঁকে একই ভাবে ব্যাট করতে দেখা গিয়েছিল। এক সমর্থক তা দেখে চিৎকার করে বলেন, “আপনি ওপেন করুন, ভারতের খেলা বদলে যাবে।”