কুৎসিত ভাষায় ভারতকে আক্রমণ করেছেন নোবেল। —ফাইল চিত্র
ভারতের বিরুদ্ধে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে হার মেনে নিতে পারছেন না মইনুল এহসান নোবেল। সুপার ১২ পর্বে ভারতের বিরুদ্ধে ৫ রানে হেরে যায় বাংলাদেশ। সেই হারের পর মারাত্মক অভিযোগ করলেন বাংলাদেশের গায়ক। ‘সারেগামাপা’ নামে একটি অনুষ্ঠানে অংশ নিয়েছিলেন নোবেল। তাঁর অভিযোগ আইসিসি ভারতের প্রতি পক্ষপাতিত্ব করছে। কুৎসিত ভাষায় ভারতকে আক্রমণ করেছেন তিনি।
ভারত সেমিফাইনালে পৌঁছে গিয়েছে। পাকিস্তানের বিরুদ্ধে হেরে বাংলাদেশ বিদায় নিয়েছে গ্রুপ পর্ব থেকেই। ২ নভেম্বর ভারত বনাম বাংলাদেশ ম্যাচে বিঘ্ন ঘটায় বৃষ্টি। ৭ ওভারে ৬৬ রান তুলেছিল বাংলাদেশ। সেই সময় বৃষ্টি আসে। ভেজা মাঠে খেলতে চাননি বাংলাদেশ অধিনায়ক শাকিব আল হাসান। সেই মাঠে খেলতে নেমে হেরে যায় বাংলাদেশ। এর পরেই বিরাট কোহলির ‘ভুয়ো ফিল্ডিং’ এবং আইসিসি ভারতকে সুবিধা করে দেওয়া জন্য বৃষ্টিতে খেলতে পাঠিয়েছে বলে অভিযোগ করা হয়। বাদ গেলেন না নোবেলও। তিনি ফেসবুকে লেখেন, “আইসিসি= ইন্ডিয়ান ক্রিকেট কাউন্সিল”। আন্তর্জাতিক ক্রিকেট সংস্থা অর্থাৎ আইসিসি-কে ব্যঙ্গ করে ভারতীয় ক্রিকেট সংস্থা বলেন তিনি। এর পরে নোবেল যে ভাষায় ভারতকে আক্রমণ করেছিলেন তা এই প্রতিবেদনে লেখা অযোগ্য।
নোবেলকে নিয়ে বিতর্ক যদিও এই প্রথম হল তা নয়। ‘সারেগামাপা’ অনুষ্ঠানে এসে তিনি সেরা না হওয়ায় পক্ষপাতিত্বের অভিযোগ তোলা হয়েছিল। নোবেলের বিরুদ্ধে অভিযোগ করেছিলেন তাঁর স্ত্রী। গত বছর ১১ সেপ্টেম্বর তাঁর স্ত্রী সালসাবিল নোবেলকে বিচ্ছেদের নোটিস পাঠিয়েছিলেন। তাঁর অভিযোগ, নোবেল একাধিক নারীতে আসক্ত। শারীরিক নির্যাতন এবং মাত্রাতিরিক্ত নেশাসক্তির অভিযোগও সেই সঙ্গে ছিল। নোবেল আঙুল তুলেছিলেন বাংলাদেশের বিখ্যাত গায়ক জেমসের দিকে। তাঁর দাবি, খ্যাতনামা গায়ক তাঁর স্ত্রীকে ব্যবহার করছেন! ফেসবুকেও ‘ডিভোর্স’ কথাটিও পোস্ট করেন তিনি।
নোবেলের সেই পোস্ট। ছবি: ফেসবুক
পরের দিনই পাল্টে গিয়েছিল নোবেলের বক্তব্য। ফেসবুকে পোস্ট করে তিনি লেখেন, “বিয়ে একটা পবিত্র প্রথা। অনুগ্রহ করে বেফাঁস মন্তব্য করে এর পবিত্রতা নষ্ট করবেন না।” তাঁর দাবি, “আমার এবং আমার স্ত্রীর মধ্যেকার সকল বিবাদ পারিবারিক ভাবে মীমাংসা করা হচ্ছে।” গত কয়েক দিন ধরে প্রকাশ্যে কাদা ছোড়াছুড়ির জন্যও আন্তরিক ভাবে ক্ষমা চান তিনি। নোবেলের এ হেন পরিবর্তনে বিস্মিত অনুরাগীরাও। কেউ পরামর্শ দিয়েছিলেন, পারিবারিক সমস্যা পাঁচকান না করাই ভাল। যখনই তা প্রকাশ্যে আসে, তখনই আর তা ব্যক্তিগত থাকে না।
এর আগে গত বছর অগস্ট মাসেও বিতর্কে জড়িয়েছিলেন নোবেল। বান্দরবানে গিয়ে নেশা করা থেকে শুরু করে পর্যটকদের মারধর, অভব্য আচরণের অভিযোগ ওঠে তাঁর বিরুদ্ধে। জানা যায়, বান্দরবানে যাওয়ার আগে বাসস্ট্যান্ড থেকেই বেসামাল ছিলেন নোবেল। তার পর এক রেলওয়ে স্টেশনের পাশে গার্ডেন সিটি নামের একটি হোটেলে ওঠেন। সেখানে তাঁর সঙ্গে এক সঙ্গিনীও ছিলেন। অভিযোগ, রাত্রিবেলা গায়ক হোটেলের আবাসিকদের মারধর করেন। মত্ত অবস্থায় চিৎকার করেন। হোটেল কর্তৃপক্ষ থানায় খবর দিলে রাত ৩টে নাগাদ ঘটনাস্থলে পৌঁছয় পুলিশ।
ভারত-বাংলাদেশ ম্যাচ নিয়ে আরও এক বার বিতর্কে জড়ালেন নোবেল। কুৎসিত ভাষায় আক্রমণ করলেন আইসিসি-কে। সেই সঙ্গে ভারতীয় দলকে কটূক্তি করতেও বাদ দিলেন না বাংলাদেশের গায়ক।