রোহিতের চোট কতটা গুরুতর তা দেখবেন ভারতীয় দলের চিকিৎসকরা। —ফাইল চিত্র
রোহিত শর্মার চোটের জন্য যে ব্যক্তির নাম উঠে আসছে তিনি রঘু রাঘবেন্দ্র। বাংলাদেশের বিরুদ্ধে ম্যাচের সময় যিনি ভারতীয় দলের ফিল্ডারদের জুতো পরিষ্কার করছিলেন। তিনি থ্রো ডাউন বিশেষজ্ঞ। মঙ্গলবার সকালে রোহিতকে তিনিই থ্রো ডাউন দিচ্ছিলেন। রঘুর ছোড়া বলই লাগে ভারতীয় অধিনায়কের হাতে। তাতেই বিপত্তি।
সেমিফাইনালের আগে রোহিতের চোট চিন্তায় ফেলে দিয়েছে ভারতকে। চোট লাগার পর বেশ কিছু ক্ষণ হাতে আইস প্যাক বেঁধে বসেছিলেন রোহিত। সেই ভিডিয়ো প্রকাশ্যে এসেছে। রোহিতের ডান হাতে বরফ বেঁধে দেওয়া হয়। তাঁর মুখ দেখে মনে হচ্ছিল বেশ যন্ত্রণা করছে। অনুশীলনের জায়গায় রাখা একটি আইস বক্সের উপর বসেছিলেন তিনি। রোহিতের সঙ্গে বেশ কিছু ক্ষণ কথা বলেন দলের মানসিক শক্তি বৃদ্ধির কোচ প্যাডি আপটন। বেশ কিছু ক্ষণ বিশ্রাম নেওয়ার পর রোহিত আবার ব্যাটিং করতে আসেন। কিন্তু তখন তাঁকে শুধু রক্ষণাত্মক শট খেলতেই দেখা যায়। থ্রো ডাউন দিলেও খুব বেশি জোরে বল ছোড়া হচ্ছিল না রোহিতকে।
রোহিতের চোট কতটা গুরুতর তা দেখবেন ভারতীয় দলের চিকিৎসকরা। এখনও দলের পক্ষ থেকে অধিনায়কের চোট নিয়ে কিছু বলা হয়নি। কিন্তু যে রঘু বাংলাদেশ ম্যাচে নায়ক হয়ে উঠেছিলেন, তাঁর ছোড়া বলেই চোট পেলেন রোহিত।
বাংলাদেশের ইনিংসের সপ্তম ওভারের পর হঠাৎই বৃষ্টি নামে। প্রায় ৫০ মিনিট পরে বৃষ্টি থামলে আম্পায়াররা দ্রুত খেলা শুরু করার চেষ্টা করেন। সুপার সপার চালিয়ে ভেজা মাঠ শুকনো করার চেষ্টা হলেও পুরোপুরি তা সম্ভব হয়নি। ফলে ফিল্ডিং করতে গিয়ে পিছলে পড়ে ভারতীয় ক্রিকেটারদের বড় চোট পাওয়ার সম্ভাবনা ছিল। সেই সময় একটি ব্রাশ নিয়ে বাউন্ডারির ধারে দাঁড়িয়ে পড়েন রঘু। ভেজা মাঠে ক্রিকেটারদের জুতোর তলায় কাদা ঢুকে যাচ্ছিল। কাদা জমে থাকলে জুতো ভারি হয়ে যাওয়ার কারণে ক্রিকেটারদের দৌড়তে অসুবিধা হতে পারে। সেটা মাথায় রেখেই ব্রাশ দিয়ে রাহুল, কোহলিদের জুতো পরিষ্কার করে দিচ্ছিলেন রঘু। ফলে ফিল্ডাররা অনায়াসে মাঠে দৌড়তে পারছিলেন।
মঙ্গলবার চোট পাওয়ার কিছু ক্ষণ পর রোহিত অনুশীলনে ফিরে এলে রঘুকে দেখা যায় মন্থর গতিতে বল ছুড়ছেন। রোহিতও সেই সময় রক্ষণাত্মক শট খেলার দিকেই মন দেন। এ বারের টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে যদিও সে ভাবে নিজেকে মেলে ধরতে পারেননি ভারত অধিনায়ক। গ্রুপ পর্বে পাঁচটি ম্যাচ খেলেছেন রোহিত। তার মধ্যে চারটি ম্যাচে ব্যর্থ তিনি। পাকিস্তানের বিরুদ্ধে করেছেন ৭ বলে ৪ রান। দক্ষিণ আফ্রিকার বিরুদ্ধে ১৪ বলে ১৫ রান করে আউট হয়েছেন। বাংলাদেশের বিরুদ্ধে ৮ বলে ২ রান এসেছে রোহিতের ব্যাট থেকে। গ্রুপের শেষ ম্যাচে জ়িম্বাবোয়ের বিরুদ্ধেও রান পাননি ভারত অধিনায়ক। করেছেন ১৩ বলে ১৫ রান। একমাত্র নেদারল্যান্ডসের বিরুদ্ধে রান এসেছে রোহিতের ব্যাট থেকে। ৩৯ বলে ৫৩ রান করেছিলেন তিনি। কিন্তু সেই ম্যাচেও ছন্দে ছিলেন না রোহিত।
বুধবার প্রথম সেমিফাইনাল। সিডনিতে মুখোমুখি হবে পাকিস্তান এবং নিউজ়িল্যান্ড। দ্বিতীয় সেমিফাইনাল অ্যাডিলেডে। সেই ম্যাচে ভারত খেলবে ইংল্যান্ডের বিরুদ্ধে। টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের ফাইনাল হবে মেলবোর্নে।