লড়াই করেও দলকে জেতাতে পারলেন না রশিদ। ছবি: এএফপি
টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে গ্রুপ পর্বের শেষ ম্যাচে আফগানিস্তানকে ৪ রানে হারিয়ে দিল অস্ট্রেলিয়া। পয়েন্ট তালিকায় দ্বিতীয় স্থানে উঠে এল তারা। তবে এটাই এ বারের প্রতিযোগিতায় অস্ট্রেলিয়ার শেষ ম্যাচ হতে চলেছে কি না তা জানা যাবে শনিবার। সে দিন শ্রীলঙ্কার মুখোমুখি হবে ইংল্যান্ড। জস বাটলারের দল জিতলে দু’দলের পয়েন্ট সমান থাকলেও নেট রান রেটের বিচারে সেমিফাইনালে চলে যাবে ইংল্যান্ড। কারণ, সে ক্ষেত্রে দু’দলের জয়ের সংখ্যা হবে একই।
শনিবার অস্ট্রেলিয়ার জয় অবশ্য কোনও মতে এসেছে। একার হাতেই ম্যাচ প্রায় কেড়ে নিয়েছিলেন রশিদ খান। বিগ ব্যাশ লিগে অ্যাডিলেড স্ট্রাইকার্সে খেলার সুবাদে তিনি এই মাঠ দারুণ চেনেন। ফলে কোথায় কী রকম শট মারতে হবে তিনি জানেন। নাজিবুল্লাহ জ়াদরান আউট হওয়ার পর ক্রিজে এসেছিলেন রশিদ। জশ হেজলউড, প্যাট কামিন্স, মার্কাস স্টোইনিসদের পিটিয়ে প্রায় জয়ের রান তুলে নিয়েছিলেন। কিন্তু শেষ করে আসতে পারলেন না।
আফগানিস্তান টসে জিতে শুক্রবার প্রথমে বল করার সিদ্ধান্ত নেয়। সেই সিদ্ধান্ত কাজে লাগে শুরুতেই ফজলহক ফারুকি অস্ট্রেলিয়ার মারকুটে ব্যাটার ক্যামেরন গ্রিনকে ফিরিয়ে দেওয়ায়। আক্রমণাত্মক ভঙ্গিতে শুরু করলেও বেশি ক্ষণ ক্রিজে থাকতে পারেননি ডেভিড ওয়ার্নার (২৫)। স্টিভ স্মিথের (৪) খারাপ ছন্দ অব্যাহত। এই অবস্থায় দলের হাল ধরে মিচেল মার্শ। তিনটি চার এবং দু’টি ছয়ের সাহায্যে ৩০ বলে ৪৫ করেন তিনি।
পরের দিকে অস্ট্রেলিয়ার হাল ধরেন গ্লেন ম্যাক্সওয়েল। শুরুর দিকে ধরে খেললেও পরের দিকে হাত তুলে খেলেন। শেষ পর্যন্ত ৩২ বলে ৫৪ রানে অপরাজিত থাকেন তিনি। ছ’টি চার এবং দু’টি ছয় মেরেছেন তিনি। অস্ট্রেলিয়ার ইনিংস থামে ৮ উইকেটে ১৬৮ রানে। অস্ট্রেলিয়া ১৮৫ রান তুলতে না পারায় নিউজ়িল্যান্ডের সেমিফাইনালে ওঠা তখনই নিশ্চিত হয়ে যায়।
ব্যাট করতে নেমে আফগানিস্তান শুরুতেই উসমান ঘানিকে হারায়। ভাল খেলছিলেন রহমানুল্লাহ গুরবাজ় (৩০)। কিন্তু অতিরিক্ত মারতে গিয়ে উইকেট খোয়ালেন তিনি। ইব্রাহিম জ়াদরান (২৬) এবং গুলবাদিন নাইব (৩৯) চেষ্টা করলেও এক সময় অস্ট্রেলিয়ার লক্ষ্যমাত্রা থেকে অনেকটাই দূরে চলে যায় আফগানিস্তান।
এখানেই নেমে খেলা ঘোরাতে থাকেন রশিদ। ১৫তম ওভারে রশিদ যখন নামেন, তখন আফগানিস্তানের জিততে প্রায় ৬৬ রান বাকি। প্রথম দিকে কয়েকটি বল খেলে নেন রশিদ। ১৮তম ওভারের শেষ দু’টি বলে কেন রিচার্ডসনকে বিরাট ছক্কা হাঁকান। দু’ওভারে দরকার ছিল ৩৩। পরের ওভারে হেজলউডকে একটি চার এবং একটি ছয় মারেন। শেষ ওভারে বল করতে আসেন স্টোইনিস। দরকার ছিল ২২ রান। প্রথম বলেই ফেরেন দারউইশ রসুলি। কিন্তু রশিদকে স্ট্রাইকে দিয়ে যান। স্টোইনিসকে দু’টি চার এবং একটি ছয় মারলেও শেষ রক্ষা করতে পারেননি রশিদ। চার রানে হেরে যায় তাঁর দল।