টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের প্রথম ম্যাচেই ভারতকে উড়িয়ে দিয়েছে পাকিস্তান। ব্যাটিং, বোলিং, ফিল্ডিং-তিন বিভাগেই কোহলীদের টেক্কা দিয়েছে বাবর আজমের দল। এ যেন এক অন্য পাকিস্তান। দলের এই বদলের পিছনে রয়েছে অনেক কারণ।
সবথেকে বড় বদল হয়েছে দলের মানসিকতায়। এই দলে যেমন তরুণ রক্ত রয়েছে তেমনই রয়েছেন অভিজ্ঞ ক্রিকেটার। এই দুইয়ের মিশেলে শক্তিশালী দল গড়েছে পাকিস্তান।
বাবর আজম শুধু বিশ্বের এক জন সেরা ব্যাটার নন, অধিনায়ক হিসাবেও অল্প দিনে নিজের দক্ষতার পরিচয় দিয়েছেন তিনি। বিশ্বকাপের ১৫ জনের দলে শোয়েব মালিককে রাখার জন্য পাক বোর্ডের কাছে তিনিই আবেদন করেছিলেন।
দলে মহম্মদ হাফিজ ও শোয়েব মালিকের মতো দুই ক্রিকেটার রয়েছেন, যাঁদের অভিজ্ঞতার ভান্ডার বিশাল। বেশ কয়েকটি বিশ্বকাপ খেলেছেন তাঁরা। সেই অভিজ্ঞতা তরুণদের মধ্যে ছড়িয়ে দিতে পেরেছেন তাঁরা।
একক দক্ষতা পাকিস্তানে আগেও ছিল, কিন্তু চলতি বিশ্বকাপে একটি দল হিসাবে খেলছে পাকিস্তান। মাঠে নিজেদের ১০০ শতাংশ দিয়ে দিচ্ছেন ক্রিকেটাররা। তার ফল হাতে-নাতে মিলছে।
আমিই সেরা, এই মনোভাব নেই ক্রিকেটারদের। এক জন অন্য জনের সাফল্যে সমান উচ্ছ্বাস প্রকাশ করেন। তাই তো নিউজিল্যান্ডের বিরুদ্ধে ম্যাচের সেরার পুরস্কার আসিফ আলির হাতে তুলে দেন হ্যারিস সোহেল।
বিশ্বকাপে সাম্প্রতিক ব্যর্থতা ভুলতে চায় পাকিস্তান। তাই এ বার শুরু থেকেই অন্য রকম উদ্যম নিয়ে খেলতে নেমেছে তারা। পর পর দু’ম্যাচে সেই ছবিই দেখা গিয়েছে।
শক্তিশালী বোলিং আক্রমণ পাকিস্তানের আগেও ছিল। এ বারেও তার ব্যতিক্রম নেই। শাহিন শাহ আফ্রিদি, হ্যারিস সোহেলরা কী করতে পারেন তা দেখা গিয়েছে প্রথম দু’ম্যাচেই।
সংযুক্ত আরব আমিরশাহির উইকেটকে হাতের তালুর মতো চেনেন পাক ক্রিকেটাররা। গত বেশ কয়েক বছর ধরে সেখানেই খেলেন তাঁরা। তাই সেই পরিস্থিতিকে কী ভাবে কাজে লাগাতে হয় তা দেখিয়ে দিচ্ছে পাকিস্তান।
গত বেশ কয়েক বছরে বিশ্ব ক্রিকেটে ব্রাত্য থেকেছে পাকিস্তান। বেশির ভাগ বড় দল সে দেশে খেলতে যায়নি। আইপিএল-এর মতো মঞ্চে পাক ক্রিকেটাররা সুযোগ পান না। তাই বিশ্বকাপকেই যেন জবাব দেওয়ার মঞ্চ করে তুলেছেন তাঁরা।