আগ্রাসীই থাকবেন, জানালেন কোহলী। ছবি টুইটার
নামিবিয়াকে ৯ উইকেটে হারিয়ে মাথা উঁচু করেই টি২০ বিশ্বকাপের অভিযান শেষ করল ভারত। এই ফরম্যাটে অধিনায়ক হিসেবে শেষ ম্যাচ খেলে ফেললেন বিরাট কোহলী। শেষ ম্যাচ জিতে স্বাভাবিক ভাবেই ম্যাচের পর কিছুটা খুশি দেখাল কোহলীকে। ম্যাচের পর দর্শকদের দিকে হাত নাড়িয়ে অভিবাদন জানালেন। নামিবিয়ার অধিনায়কের সঙ্গে ছবিও তুললেন তিনি। ম্যাচের পর জানালেন, নেতৃত্ব ছাড়লেও তাঁর আগ্রাসন বজায় থাকবে।
ম্যাচের পরে যাবতীয় প্রশ্নই ছিল অধিনায়কত্ব ছাড়া নিয়ে। কোহলী বললেন, “প্রথমত, খুব শান্তি পেলাম। আমি সম্মানিত। কিন্তু ব্যাপারটাকে ইতিবাচক দৃষ্টিভঙ্গিতে দেখতে হবে। ওয়ার্কলোড ম্যানেজ করার এটাই সঠিক সময়। ৬-৭ বছর ধরে অসম্ভব চাপ সামলাতে হয়েছে। যাদের সঙ্গে খেলেছি তারা দুর্দান্ত। জানি এখানে যে ফলাফল চেয়েছিলাম সেটা হয়নি। কিন্তু আমরা ভাল ক্রিকেট খেলেছি।”
কোহলীর সংযোজন, “প্রথম দুটো ম্যাচে অন্তত দু’ওভার আক্রমণাত্মক ক্রিকেট খেলতে পারিনি আমরা। আগেই বলেছিলাম, ওই দুটো ম্যাচে সাহসী ক্রিকেট খেলিনি। যে গ্রুপে আমরা ছিলাম সেখানে সাহসী ক্রিকেট খেলতে না পারলে মুশকিল।” কোচ রবি শাস্ত্রী এবং বিদায়ী সাপোর্ট স্টাফদের সম্পর্কে কোহলী বললেন, “ওরা গত কয়েক বছর ধরে দারুণ কাজ করেছে। একটা দারুণ পরিবেশ ছিল দলে।”
এরপরেই কোহলী বলেছেন, “আমার আগ্রাসন কোনওদিন কমবে না। যে দিন সেটা হবে সে দিন আমি ক্রিকেট খেলা ছেড়ে দেব। আমি অধিনায়ক হওয়ার আগেও দলকে কোনও না কোনও ভাবে সাহায্য করার চেষ্টা করেছি।”
ম্যাচের সেরা হলেন রবীন্দ্র জাডেজা। ৪ ওভারে ১৬ রানে ৩ উইকেট নিয়েছেন তিনি। পুরস্কার নিয়ে বললেন, “বোলার হিসেবে আজকের দিনটা উপভোগ করেছি। আজ বল বেশ শুকনো ছিল। ফলে গ্রিপ করা খুব সহজ হয়েছে। কিছু বল ঘুরছিল, কিছু বল সোজা যাচ্ছিল। সেটা আমার কাজে লেগেছে। কারণ পরের বল কী ভাবে আসবে সেটা কেউ বোঝেনি।”
টি-টোয়েন্টি ফরম্যাটের বিদায়ী অধিনায়ক কোহলী এবং দলের বিদায়ী কোচ রবি শাস্ত্রী সম্পর্কে তিনি বলেন, “দুর্দান্ত অধিনায়কত্ব করেছে বিরাট। ১০-১২ বছর ধরে ওর সঙ্গে খেলছি। বরাবর ওর অধিনায়কত্ব উপভোগ করেছি। ও সবসময় ইতিবাচক থাকে এবং আক্রমণাত্মক থেকে। একজন নেতার কাছ থেকে সেটাই চাই। সাপোর্ট স্টাফরাও খুব ভাল কাজ করেছে। ৭-৮ বছর ধরে ওরা একসঙ্গে ছিল।”