রোহিত-কোহলীর দ্বন্দ্ব ফের প্রকাশ্যে। ফাইল ছবি
আফগানিস্তানকে হারিয়ে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে জয়ে ফিরেছে ভারত। কিন্তু এখনও ভারতের ভাগ্য নির্ভর করছে বাকিদের উপরে। তবে রশিদ খানের দলের বিরুদ্ধে এই জয়কে ছোট করে দেখছেন না ভারতের সহ-অধিনায়ক রোহিত শর্মা। ম্যাচের পর মেনে নিলেন, প্রথম দু’টি ম্যাচে সিদ্ধান্ত নেওয়ার ক্ষেত্রে গলদ ছিল। আফগানিস্তান ম্যাচে অন্য দৃষ্টিভঙ্গি নিয়ে নেমেছিলেন তাঁরা। কী ভাবে অধিনায়কত্ব করতে হয়, সে ব্যাপারে ঘুরিয়ে যেন কোহলীকেই পরামর্শ দিলেন রোহিত।
টি-টোয়েন্টিতে কোহলীর পরবর্তী অধিনায়ক হিসেবে রোহিতের জায়গা অনেকটাই পাকা। সদ্য নিযুক্ত কোচ রাহুল দ্রাবিড়েরও আস্থা রয়েছে তাঁর উপরে। ফলে দায়িত্ব পাওয়ার আগেই যেন রোহিত বুঝিয়ে দিতে চাইছেন, কোন পথে তিনি চলবেন। শুধু আগ্রাসী নয়, বুদ্ধিদীপ্ত ক্রিকেট খেলার উপরেও জোর দিতে চাইছেন তিনি। কোহলীর সঙ্গে তাঁর সম্পর্ক নিয়ে প্রায়ই প্রশ্ন ওঠে। বুধবারের ম্যাচের পর আরও এক বার দু’জনের দৃষ্টিভঙ্গির ফারাকটা স্পষ্ট হয়ে গেল। দল নির্বাচন হোক বা কোনও ক্রিকেটারের প্রতি অতিরিক্ত আস্থা, কোহলীর ভুল নিয়ে এতদিন ক্রিকেট বিশেষজ্ঞরা বেশি সোচ্চার ছিলেন। এ বার দেখা গেল, খোদ রোহিতও তাঁর অধিনায়কের সিদ্ধান্তের সঙ্গে সহমত নন।
সাংবাদিক বৈঠকে রোহিত বলেছেন, “আফগানিস্তানের বিরুদ্ধে আমাদের দৃষ্টিভঙ্গি অন্য রকম ছিল। যদি প্রথম দুটো ম্যাচেও সে রকম হত তাহলে ভাল হত। কিন্তু সেটা হয়নি। তবে একটানা অনেক দিন ধরে ক্রিকেট খেলতে থাকলে এমন হতেই পারে। মাঝে মাঝে সঠিক সিদ্ধান্ত নেওয়ার ক্ষেত্রে সমস্যা দেখা দেয়। সেটাই প্রথম দু’টি ম্যাচে হয়েছে।”
রোহিত এই প্রসঙ্গে মানসিকতার দিকটিও তুলে ধরেছেন। বলেছেন, “যে ধরনের ক্রিকেট গোটা বিশ্বে খেলা হচ্ছে এবং যত ক্রিকেট আমরা খেলছি, তাতে মাঠে নামলে সঠিক সিদ্ধান্ত নেওয়া ছাড়া উপায় থাকে না। মানসিক ভাবে তরতাজা রয়েছি কিনা সে দিকে খেয়াল রাখতে হয়। হয়তো প্রথম দুটো ম্যাচে সেটা ছিল না বলেই আমরা সিদ্ধান্ত নিতে ভুল করেছি। একটানা ক্রিকেট খেললে এ রকম হবেই। কিছুক্ষণ খেলা থেকে মন দূরে সরিয়ে শান্ত মাথায় অন্য কিছু ভাবা উচিত। তবে বিশ্বকাপে নামলে মনঃসংযোগটা সে দিকেই থাকা উচিত। কী করতে হবে এবং কী করতে হবে না, সে সম্পর্কে স্পষ্ট ধারণা থাকা দরকার।”
প্রথম দুই ম্যাচে হারায় যে ভাবে সমালোচনা ধেয়ে এসেছে, সেটাও পছন্দ নয় রোহিতের। বলেছেন, “দুটো ম্যাচে হেরেছি মানেই রাতারাতি আমরা খারাপ ক্রিকেটার হয়ে গেলাম এমন নয়। এমন নয় যে দলের সব ক্রিকেটার খারাপ, বা দলকে যারা এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছে তারা খারাপ। এই সময় ভয়ডরহীন থেকে বাইরে কী হচ্ছে পাত্তা না দিয়ে খেলায় মনোযোগ দেওয়া উচিত। আফগানিস্তানের বিরুদ্ধে ম্যাচ ভয়ডরহীন ক্রিকেটেরই উদাহরণ।”