দাপট দেখালেন রশিদ। ছবি রয়টার্স
গত বারের টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপজয়ী তারা। এখনও পর্যন্ত লোকের চোখে ভাসে বেন স্টোকসের শেষ ওভারে কার্লোস ব্রাথওয়েটের পরপর চারটি ছয় মেরে ম্যাচ জেতানো। দু’বারের টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপজয়ী ওয়েস্ট ইন্ডিজ এ বারের প্রতিযোগিতায় প্রথম ম্যাচেই বিরাট ধাক্কা খেল। ইংল্যান্ডের বিরুদ্ধে প্রথম ম্যাচে তারা শেষ হয়ে গেল মাত্র ৫৫ রানে। টেস্ট খেলিয়ে দেশগুলির মধ্যে টি-টোয়েন্টি আন্তর্জাতিকে রানের বিচারে এটি দ্বিতীয় সর্বনিম্ন। সব থেকে কম রানও ওয়েস্ট ইন্ডিজেরই (৪৫)। টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে মূল পর্বের খেলায়ও এটি দ্বিতীয় সর্বনিম্ন রানের ইনিংস। রেকর্ড নেদারল্যান্ডসের। ২০১৪ সালের টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে তারা শ্রীলঙ্কার বিরুদ্ধে ৩৯ রানে শেষ হয়ে গিয়েছিল। মাত্র ২ রানে ৪ উইকেট নিয়ে ক্যারিবিয়ানদের মেরুদণ্ড ভেঙে দিলেন আদিল রশিদ।
সারা বিশ্বের ফ্র্যাঞ্চাইজি লিগে মূলত ক্যারিবিয়ান ক্রিকেটারদেরই দাপট দেখা যায়। অনেকেই মনে করেন, সে কারণেই ক্রিকেটের সংক্ষিপ্ততম ফরম্যাটে তাদের এই সাফল্য। কিন্তু এ বারের ওয়েস্ট ইন্ডিজ দলে বেশি বয়সী ক্রিকেটারদের আধিক্য। অনেকেই মজা করে তাঁদের ‘ড্যাডিস আর্মি’ বলছেন। প্রথম ম্যাচেই সেটা যেন প্রকট হয়ে পড়ল।
গোটা ম্যাচে ওয়েস্ট ইন্ডিজের মাত্র একজন ব্যাটারই দু’অঙ্কের রান পেরোতে পেরেছেন। তিনি ৪২ বছরের ক্রিস গেল। ওপেনিংয়ে নয়, তিনি নেমেছিলেন তিন নম্বরে। তিনটি চারের সাহায্যে ১৩ বলে ১৩ করে দাভিদ মালানের দুর্দান্ত ক্যাচে সাজঘরে ফেরেন। কলকাতার আন্দ্রে রাসেল সরাসরি বোল্ড হন রশিদের বলে। রশিদই ফেরালেন কায়রন পোলার্ডকে। রশিদ ছাড়াও ইংল্যান্ডের হয়ে দুটি করে উইকেট নেন টাইমাল মিলস এবং মইন আলি।