রশিদের বোলিংয়ে হারল ক্যারিবিয়ানরা। ছবি রয়টার্স
গত বারের টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপজয়ী দল তারা। লোকের চোখে এখনও ভাসে কলকাতার ইডেন গার্ডেন্সের ফাইনালে বেন স্টোকসের শেষ ওভারে কার্লোস ব্রাথওয়েটের পরপর চারটি ছয় মেরে ম্যাচ জেতানো। দু’বারের টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপজয়ী ওয়েস্ট ইন্ডিজ এ বারের প্রতিযোগিতায় প্রথম ম্যাচেই বিরাট ধাক্কা খেল। ইংল্যান্ডের বিরুদ্ধে প্রথম ম্যাচে তারা শেষ হয়ে গেল মাত্র ৫৫ রানে। টেস্ট খেলিয়ে দেশগুলির মধ্যে রানের বিচারে এটি দ্বিতীয় সর্বনিম্ন। সব থেকে কম রানও ওয়েস্ট ইন্ডিজেরই (৪৫)। মাত্র ২ রানে ৪ উইকেট নিয়ে ক্যারিবিয়ানদের মেরুদণ্ড ভেঙে দিলেন আদিল রশিদ। ইংল্যান্ড জিতল ৬ উইকেটে। ইডেনে হারের মধুর প্রতিশোধ নিল তারা।
গোটা ম্যাচে ওয়েস্ট ইন্ডিজের মাত্র একজন ব্যাটারই দু’অঙ্কের রান পেরোতে পেরেছেন। তিনি ৪২ বছরের ক্রিস গেল। ওপেনিংয়ে নয়, তিনি নেমেছিলেন তিন নম্বরে। তিনটি চারের সাহায্যে ১৩ বলে ১৩ করে দাভিদ মালানের দুর্দান্ত ক্যাচে সাজঘরে ফেরেন। কলকাতার আন্দ্রে রাসেল সরাসরি বোল্ড হলেন রশিদের বলে। রশিদই ফেরালেন কায়রন পোলার্ডকে। রশিদ ছাড়াও ইংল্যান্ডের হয়ে দুটি করে উইকেট নেন টাইমাল মিলস এবং মইন আলি। দু’টি দুর্দান্ত ক্যাচও নিলেন ইংরেজ ফিল্ডাররা। প্রথম অনেকটাই দৌড়ে বল তালুবন্দি করে গেলকে ফেরান মালান। তার আগে মইন আলি পিছন দিকে দৌড়ে ফিরিয়েছিলেন এভিন লিউইসকে। রশিদ মূলত শেষের দিকে ব্যাটারদের ফিরিয়েছেন।
অল্প রান হলেও তাড়া করতে নেমে হোঁচট খেয়েছে মর্গ্যানের ইংল্যান্ডও। শেষ পর্যন্ত তারা ৭০ বল বাকি থাকতে জিতেছে ৬ উইকেটে। জেসন রয় এবং জস বাটলার মিলে শুরুটা ভালই করেছিলেন। কিন্তু ২১ রানের মাথায় জেসন ফেরার পর থেকেই ইংল্যান্ডের ব্যাটিংয়ে ধস নামে। বাটলার একদিক রাখলেও উল্টোদিকে একের পর এক ব্যাটার সাজঘরে ফেরেন। তবে শেষ পর্যন্ত ২৪ রানে অপরাজিত থেকে দলকে জিতিয়ে আসেন বাটলার। ম্যাচে একটি উল্লেখযোগ্য ঘটনাও ঘটল। নিজের বলে দুরন্ত ক্যাচে লিয়াম লিভিংস্টোনকে ফেরালেন আকিল হোসেন। তাঁর ক্যাচ নিঃসন্দেহে বিশ্বকাপের সেরা হতে পারে।