সাম্প্রতিক ফর্ম ভাল যাচ্ছিল না। ম্যানেজমেন্টের সঙ্গে সম্পর্কও খারাপ হচ্ছিল। তাই এই মরসুমে তাঁকে আর রাখেনি চেন্নাই। বাকি ন’দলও তাঁর প্রতি আগ্রহ দেখায়নি। নিলামে অবিক্রিতই থেকে গিয়েছেন সুরেশ রায়না।
নিলামে অবিক্রিতই থেকে গিয়েছেন সুরেশ রায়না। ফাইল চিত্র
মিস্টার আইপিএল বলে ডাকা হয় তাঁকে। বহু বছর ধরে টুর্নামেন্টের সর্বোচ্চ রান ছিল তাঁর দখলে। চেন্নাই সুপার কিংসের সব থেকে ধারাবাহিক ব্যাটার। দলকে বহু ম্যাচ জিতিয়েছেন। সাম্প্রতিক ফর্ম ভাল যাচ্ছিল না। ম্যানেজমেন্টের সঙ্গে সম্পর্কও খারাপ হচ্ছিল। তাই এই মরসুমে তাঁকে আর রাখেনি চেন্নাই। বাকি ন’দলও তাঁর প্রতি আগ্রহ দেখায়নি। নিলামে অবিক্রিতই থেকে গিয়েছেন সুরেশ রায়না। তাই বিদেশে গিয়ে খেলার জন্য বিসিসিআই-এর কাছে আবেদন করলেন রায়না।
সম্প্রতি একটি ভিডিয়োতে রায়না বলেন, ‘‘আমি বোর্ডকে অনুরোধ করছি আইসিসি ও আইপিএল ফ্র্যাঞ্চাইজিদের সঙ্গে কথা বলে আমাকে অন্য দেশে গিয়ে লিগ খেলার অনুমতি দেওয়া হোক। সেটা বিগ ব্যাশ বা ক্যারিবিয়ান প্রিমিয়ার লিগ হতে পারে। কারণ সেখানে খেলার মান আমাদের ঘরোয়া ক্রিকেটের থেকে ভাল। সেখানে খেলে বিদেশের অনেক ক্রিকেটার ফের জাতীয় দলে সুযোগ পায়। আমাকে সে রকম কোনও লিগে খেলার অনুমতি দেওয়া হোক।’’
চেন্নাই কর্তাদের সঙ্গে রায়নার বৈরিতার শুরু ২০২০ সালে। সংযুক্ত আরব আমিরশাহিতে আইপিএল শুরু হওয়ার আগে দলের বেশ কিছু ক্রিকেটার করোনা আক্রান্ত হয়ে পড়ায় টুর্নামেন্টের আগেই দেশে ফিরে আসেন রায়না। ২০২১ সালে ফের দলে যোগ দিলেও ১২ ম্যাচে মাত্র ১৬০ রান করেন তিনি। হাঁটুর চোটে শেষ কয়েকটি ম্যাচে খেলতেও পারেননি। তার পরেই রায়নাকে ছেড়ে দেয় ফ্র্যাঞ্চাইজি।
২০০৮ সালে প্রথম নিলামেই চেন্নাই কেনে রায়নাকে। প্রতি বছর ধারাবাহিক ভাবে রান করেছেন তিনি। ২০০৮ থেকে ২০১৫ সাল পর্যন্ত রায়না হলুদ জার্সিতে যথাক্রমে ৪২১, ৪৩৪, ৫২০, ৪৩৮, ৪৪১, ৫৪৮, ৫২৩ ও ৩৭৪ রান করেন। মাঝে সিএসকে নির্বাসিত হলে ২০১৬ ও ২০১৭ সালে গুজরাত লায়ন্সের অধিনায়ক হন তিনি। ২০১৮ সালে ফের চেন্নাইয়ে ফিরে ৪৪৫ রান করেন রায়না। ২০১৯ সালে ৩৮৩ রান করেন তিনি। সব মিলিয়ে আইপিএল-এ চেন্নাইয়ের হয়ে ৪৬৮৭ রান করেছেন রায়না। যদিও এ বারের নিলামে ব্রাত্যই থেকে গিয়েছেন তিনি।