SRH vs LSG match today

হায়দরাবাদে মুক্তো ছড়ালেন শার্দূল, লখনউয়ের বিরুদ্ধে সানরাইজার্স আটকে গেল ১৯০ রানে

হায়দরাবাদকে ‘পার্ল সিটি’, অর্থাৎ মুক্তোর শহর বলা হয়। সেই শহরে মুক্তো ছড়ালেন শার্দূল ঠাকুর। তাঁর দু’বলে দু’টি গুরুত্বপূর্ণ উইকেটের জন্য আগে ব্যাট করে লখনউয়ের বিরুদ্ধে প্রত্যাশিত ঝড় তুলতে পারল না হায়দরাবাদ।

Advertisement

আনন্দবাজার ডট কম ডেস্ক

শেষ আপডেট: ২৭ মার্চ ২০২৫ ২১:২১
Share:
cricket

উইকেট পাওয়ার পর শার্দূল ঠাকুরের উচ্ছ্বাস। ছবি: সমাজমাধ্যম।

হায়দরাবাদকে ‘পার্ল সিটি’, অর্থাৎ মুক্তোর শহর বলা হয়। সেই শহরে মুক্তো ছড়ালেন শার্দূল ঠাকুর। তাঁর দু’বলে দু’টি গুরুত্বপূর্ণ উইকেটের জন্য আগে ব্যাট করে লখনউয়ের বিরুদ্ধে প্রত্যাশিত ঝড় তুলতে পারল না হায়দরাবাদ। আটকে গেল ১৯০/৯ রানে। চারটি উইকেট নিলেন শার্দূল। ট্রেভিস হেড (৪৭) ছাড়া আর কেউ উল্লেখযোগ্য রান করতে পারেননি।

Advertisement

টসে জিতে ঋষভ পন্থ বল করার সিদ্ধান্ত নেওয়ায় অনেকেই ভেবেছিলেন বৃহস্পতিবার হায়দরাবাদ ৩০০ তুলে ফেলবে। সে জায়গায় ২০০-ও তুলতে পারল না হায়দরাবাদ। প্রথম ওভারে শার্দূল মাত্র ছ’রান দেন। দ্বিতীয় ওভারে আবেশ খান দেন ন’রান।

হায়দরাবাদের সমর্থকেরা তখন ছয় চাইছিলেন। সেই ইচ্ছাপূরণের আগেই ফেরেন অভিষেক শর্মা। শার্দূলের বলে পুল মারতে গিয়ে ক্যাচ দেন নিকোলাস পুরানের হাতে। পরের বলে ফিরে যান ঈশান কিশনও। লেগ সাইডে যে বল ছাড়লেই ওয়াইড হয়, সেটি তাঁর গ্লাভসে লেগে উইকেটরক্ষক পন্থের হাতে জমা পড়ে।

Advertisement

শার্দূলের হ্যাটট্রিক বাঁচানোর দায়িত্ব ছিল নীতীশ রেড্ডির উপরে। কোনও মতে সেটি বাঁচান তিনি। ইয়র্কার বল মিড অনে ঠেলে রান নেন। দলের দুই বিধ্বংসী ব্যাটার ফিরলেও থামানো যাচ্ছিল না হেডকে। আবেশের একটি ওভারে দু’টি ছয় এবং একটি চার মারেন। পাঁচ ওভারে ৫৪ উঠে যাওয়ার পর পন্থ বোলিংয়ে এনেছিলেন রবি বিশ্নোইকে।

রবির প্রথম বলেই হেডের লোপ্পা ক্যাচ ফেলে দেন পুরান। তৃতীয় বলেই ছক্কা মারেন হেড। পঞ্চম বলে বোলারের দিকে শট মারেন। রবি হাত বাড়ালেও ধরতে পারেননি। ফলে একই ওভারে দু’বার হেডের ক্যাচ পড়ে। অস্ট্রেলীয় ক্রিকেটার অবশ্য বেশি দূর এগোতে পারেননি। অষ্টম ওভারেই অখ্যাত প্রিন্স যাদবের বলে বোল্ড হয়ে যান। সেই প্রিন্সই কিছু ক্ষণ পর ফেরান হাইনরিখ ক্লাসেনকে (২৬)। নীতীশের মারা শট প্রিন্সের হাতে লেগে উল্টো দিকের উইকেট ভেঙে দেয়। ক্রিজ়‌ ছেড়ে ক্লাসেন এগিয়ে গিয়েছিলেন। রান আউট হয়ে যান।

নীতীশও (৩২) ফিরে যাওয়ায় হায়দরাবাদের রান তোলার গতি কমে গিয়েছিল। তবে আগ্রাসী খেলে নিজের কাজটা করে দেন অনিকেত বর্মা। পাঁচটি ছয়ের সাহায্যে ১৩ বলে ৩৬ রান করেন। পরের দিকে নেমে প্যাট কামিন্সও (১৮) তিনটি ছক্কা মেরে রান রেট বাড়িয়ে দেন। যদিও দুশোর গণ্ডি পেরোতে পারেনি হায়দরাবাদ।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement