স্ট্রেট ড্রাইভ
Harshal Patel

Sunil Gavaskar: রবিবার ইডেনে ঈশান বা আবেশের ভাগ্যে শিকে ছিঁড়বে, না অপরিবর্তিত থাকবে দল?

হর্ষলের এই স্লোয়ার বলের সবচেয়ে বড় বৈশিষ্ট্য হচ্ছে, বোলিং অ্যাকশনে বা হাতের গতিতে কোনও তারতম্য না ঘটিয়েই তা করে যাচ্ছে ও।

Advertisement

সুনীল গাওস্কর

কলকাতা শেষ আপডেট: ২১ নভেম্বর ২০২১ ০৫:৩২
Share:

নায়ক: রাঁচীতে ম্যাচের সেরা। হর্ষলে মুগ্ধ সানিও। ফাইল চিত্র

সিরিজ় জেতা হয়ে গিয়েছে ভারতের। যে প্রশ্নটা মনের মধ্যে ঘুরছে, তা হচ্ছে, এ বার কি ইডেনে তৃতীয় এবং শেষ ম্যাচে প্রথম একাদশে বদল করবে ওরা? নতুন কোনও মুখকে কি দেখে নেওয়ার চেষ্টা করা হবে? যদিও প্রথম একাদশ নিয়ে জল্পনা-কল্পনার চেয়ে প্রশ্নটা এমন ভাবেও করা যেতে পারে যে, ভারতের কি বদল করা উচিত? নাকি রাঁচীতে জেতা দলকেই নামানো উচিত ইডেনের শেষ ম্যাচে?

Advertisement

রাঁচীর ম্যাচে মহম্মদ সিরাজের চোট হর্ষল পটেলের মতো তরুণ বোলারের সামনে দরজা খুলে দিয়েছিল। আইপিএলে খুবই সুন্দর বোলিং করেছে হর্ষল। সর্বোচ্চ উইকেটশিকারী হয়ে ‘পার্পল ক্যাপ’ জিতেছে। এ বার দেখিয়ে দিল, আন্তর্জাতিক মঞ্চেও ও কী করতে পারে। স্লোয়ার ডেলিভারিগুলো দারুণ ভাবে মিশিয়ে দিচ্ছিল ও। হর্ষলের বিশেষ বল কিন্তু ওই স্লোয়ার ডেলিভারিই। দারুণ রপ্ত করেছে এই বলটা।

বেশির ভাগ ক্ষেত্রে ব্যাটার বুঝতে না পেরে আগেই শট খেলতে চলে যাচ্ছিল। আর তাতেই বিপদ ডেকে আনছিল ওরা। একেবারে শেষ মুহূর্তে গিয়ে বুঝতে পারছিল যে, বলে সেই গতিটাই নেই। তত ক্ষণে অমেক দেরি হয়ে যাচ্ছে আর ক্যাচ উঠে যাওয়ার সম্ভাবনাই বেশি থাকছে।

Advertisement

হর্ষলের এই স্লোয়ার বলের সবচেয়ে বড় বৈশিষ্ট্য হচ্ছে, বোলিং অ্যাকশনে বা হাতের গতিতে কোনও তারতম্য না ঘটিয়েই তা করে যাচ্ছে ও। সেই কারণেই ব্যাটাররা ওর স্লোয়ার বলের রহস্য বুঝে উঠতে সমস্যা পড়ছে। ধাঁধার সমাধান করে উঠতে পারছে না। বার বার শট খেলতে চলে গিয়ে ঠকে যা্ছে। তবে এই স্লোয়ারই শেষ কথা নয়। হর্ষলের হাতে খুব ভাল বাউন্সারও আছে। যার ফলে ব্যাটারদের ও বলে দিতে পারছে, আমার হাতে নানা রকম কৌশল রয়েছে। পারলে তোমরা খেলে দেখাও দেখি।

বাস্তব কথাটা হচ্ছে, হর্ষল রাঁচীতে খেলেছে সিরাজের চোট থাকায়। ওই চোটটা না থাকলে কি রাহুল দ্রাবিড়, রোহিত শর্মারা প্রথম একাদশে পরিবর্তন করতে চাইত? সিরিজ়ের আর একটিই ম্যাচ বাকি থাকছে। সিরিজের ফয়সালাও হয়ে গিয়েছে। যদি কোনও চোট-আঘাত না থাকে, রোহিত-দ্রাবিড়রা কি ইডেনে শেষ ম্যাচে কোনও বদল করতে চাইবে? ঋষভ পন্থের জায়গায় ঈশান কিশানকে খেলাবে? বা জোরে বোলার আবেশ খানকে সুযোগ দিয়ে দেখতে চাইবে?

এটাও মনে রাখতে হবে যে, যখন এক জন ক্রিকেটার খুব ভাল ছন্দে থাকে, সে বিশ্রাম নিতে চায় না। বরাবরই সেটাই হয়ে এসেছে। খুব স্বাভাবিক ব্যাপার হচ্ছে, ফর্মে থাকা খেলোয়াড় চাইবে একই ছন্দে চালিয়ে যেতে। এখন ভারতীয় দলে কে এল রাহুলের যেমন স্বপ্নের ফর্ম যাচ্ছে। নিয়মিত ভাবে রান করে চলেছে। তাই রাহুল হয়তো চাইবে না, প্রথম একাদশের বাইরে যেতে। বোলিংয়ে ভুবনেশ্বর কুমার বা রাহুল চাহারও সদ্য দলে ফিরেছে। ওরাও কি বাইরে বসতে চাইবে? তা হলে ঈশান কিশান বা আবেশ খানের সুযোগ কী করে হবে?

পরের বছর অস্ট্রেলিয়ায় টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের আগে ভারতের অনেক ম্যাচ রয়েছে। তাই নতুনদের দেখে নেওয়ার সুযোগ নিশ্চয়ই পাবে রোহিতরা। কিন্তু এটাও ঠিক যে, বিরাট কোহালি বা যশপ্রীত বুমরার মতো তারকারা এই সিরিজ়ে বিশ্রাম নিয়েছে। বার বার সেই পরিস্থিতি কিন্তু তৈরি হবে না। এর পরেই দক্ষিণ আফ্রিকা সফরে যাবে ভারত। বিরাট, বুমরারা নিশ্চয়ই তখন ফিরে আসবে। তাই নতুনদের দেখে নেওয়ার খুব ভাল সুযোগ ছিল এই সিরিজ়েই। বিশেষ করে এখন যখন সিরিজ় জয় সম্পূর্ণ, নতুনদের দেখে নেওয়ার সব চেয়ে ভাল সময় ছিল।

মানছি, ইন্ডিয়া ক্যাপ জিতে নিতে হয়। কিন্তু রাহুল দ্রাবিড় নিজেই তো বলেছে, কোনও খেলোয়াড় যদি ভারতের পনেরো জনের স্কোয়াডে থাকার যোগ্য হয়, তা হলে সে প্রথম একাদশে সুযোগ পাওয়ারও যোগ্য।

ইডেনে ক্রিকেটের বহু স্মরণীয় অভিষেক দেখেছে। তার মধ্যে নতুন অধিনায়ক রোহিত শর্মার টেস্ট অভিষেকও রয়েছে। শেষ টি-টোয়েন্টিতে আজ, ইডেনে তাই কয়েক জ নতুন মুখের আত্মপ্রকাশ ঘটলে অবাক হবেন না। (টিসিএম)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement