ফাইল চিত্র।
এই ভারতীয় দলের ‘লাস্ট ফ্রন্টিয়ার’ বা শেষ সীমান্ত বলা যেতে পারে দক্ষিণ আফ্রিকাকে। অস্ট্রেলিয়া, ইংল্যান্ডে জিতলেও এখানে জেতা হয়নি ওদের। আর বিরাট কোহলিদের শেষ সীমান্ত জয় করার অভিযান শুরু হচ্ছে আজ, রবিবার বক্সিং ডে-তে সেঞ্চুরিয়নে। গাড়িতে জোহানেসবার্গ থেকে এক ঘণ্টার রাস্তা সেঞ্চুরিয়ন। সেখানেই হচ্ছে প্রথম টেস্ট।
কোভিড পরিস্থিতিতে সাবধানতা নেওয়ার জন্য ফাঁকা মাঠে ম্যাচ করার সিদ্ধান্ত হয়েছে। শুধু হসপিটালিটি বক্সে কিছু অতিথি থাকতে পারে। তাই ক্রিকেটারদের উদ্বুদ্ধ করার কাজটা নিজেদেরই করতে হবে। দর্শক না থাকাটা নিঃসন্দেহে দক্ষিণ আফ্রিকার জন্য বেশি ক্ষতি, কারণ ওরা ঘরের মাঠে খেলছে। এর পর চোটের কারণে দু’টো টেস্টে খেলতে পারবে না কুইন্টন ডি’কক। দর্শকশূন্য মাঠে খেলা এবং চোট-আঘাতে ভোগা প্রতিপক্ষ। আমার মনে হয়, দক্ষিণ আফ্রিকায় প্রথম বার টেস্ট সিরিজ় জেতার এটাই সেরা সুযোগ ভারতীয় দলের সামনে।
সেঞ্চুরিয়নের পিচে গতি আর বাউন্স থাকে। খেলা এগোলে বল ঘুরতে পারে। রোহিত শর্মা চোট পেয়ে সিরিজ়ের বাইরে। তাই কে এল রাহুল আর মায়াঙ্ক আগরওয়ালই নিশ্চয়ই ওপেন করবে। সাম্প্রতিক সব সিরিজ়েই ভারতীয় দল পাঁচ বোলারে খেলেছে। ঋষভ পন্থ পাঁচ নম্বরে ব্যাট করেছে। আমি আগ্রহ নিয়ে তাকিয়ে ছিলাম, এই রণনীতি পরিবর্তন করে কি না কোহলিরা। যে-হেতু ভারতীয় ব্যাটিং সম্প্রতি খুব ভাল করেনি, অতিরিক্ত ব্যাটারের কুশন নেওয়ার কথা ভাবা যেতেই পারে। কিন্তু অতিরিক্ত ব্যাটার খেলাতে গেলে এক জন বোলারকে বাইরে রাখতে হবে। অর্থাৎ, পাঁচ বোলারে নয়, চার বোলারে খেলতে হবে। যদি সত্যিই অতিরিক্ত ব্যাটার খেলানো হয়, পাঁচ এবং ছয়ে কে ব্যাট করবে, তা দেখার।
দক্ষিণ আফ্রিকাও চোটের জন্য পাচ্ছে অনরিখ নখিয়াকে। তাতে কিন্তু ভারতীয় দলকে এক জন ভাল পেসারকে নিয়ে আর ভাবতে হচ্ছে না। ওর অতিরিক্ত গতি সামলানো মোটেও সহজ হত না। নখিয়া এবং রাবাডা দুর্দান্ত পেস জুটি। দক্ষিণ আফ্রিকারও নির্বাচনী জটিলতা রয়েছে। ওদেরও ঠিক করতে হবে, তিন নম্বরে কে ব্যাট করবে। ওদের ব্যাটিংটাও ভঙ্গুর দেখাচ্ছে আর ভারতীয় বোলিং শুরুতে উইকেট তোলার জন্য ঝাঁপাবেই। চেষ্টা করবে, অল্প রানের মধ্যে ওদের আটকে রাখতে। (টিসিএম)