স্টিভ স্মিথ। —ফাইল চিত্র।
স্টিভ স্মিথের ক্রিকেট কেরিয়ার শুরু হয়েছিল স্পিনার হিসাবে। শেন ওয়ার্নের ভঙ্গিতে বল করতে পারা স্মিথকে নিয়ে অন্যতম সেরা লেগ স্পিনারের অভাব পূরণ করতে চেয়েছিল অস্ট্রেলিয়া। কিন্তু সেই স্পিনার এখন দেশের অন্যতম সেরা ব্যাটার। ডন ব্র্যাডম্যানের রেকর্ড ভাঙার পথে এগিয়ে চলেছেন স্মিথ।
বৃহস্পতিবার অ্যাশেজের দ্বিতীয় টেস্টে শতরান করেন স্মিথ। টেস্ট ক্রিকেটে এটি তাঁর ৩২তম শতরান। অ্যাশেজে ১২তম এবং ইংল্যান্ডের মাটিতে অষ্টম। তাঁর সামনে শুধুই ব্র্যাডম্যান। স্যর ডোনাল্ড ব্র্যাডম্যানের ইংল্যান্ডের মাটিতে ১১টি শতরান রয়েছে। অ্যাশেজে তাঁর শতরানের সংখ্যা ১৯টি। অর্থাৎ ব্র্যাডম্যানকে টপকাতে ইংল্যান্ডের মাটিতে চারটি এবং অ্যাশেজে আটটি শতরান প্রয়োজন স্মিথের।
অস্ট্রেলিয়ার হয়ে টেস্টে সব থেকে বেশি শতরানের তালিকাতেও দ্বিতীয় স্থানে স্মিথ। তাঁর সামনে শুধু রিকি পন্টিং। ৪১টি টেস্ট শতরান রয়েছে অস্ট্রেলিয়ার বিশ্বকাপজয়ী অধিনায়কের। স্মিথ বৃহস্পতিবার স্টিভ ওয়-কে ছুঁয়ে ফেললেন। তাঁদের দু’জনেরই ৩২টি শতরান। তবে সব থেকে কম ইনিংস খেলে এই মাইলফলকে পৌঁছেছেন স্মিথ। ৯৯টি ম্যাচে ১৭৪টি ইনিংস খেলেছেন তিনি।
২০১০ সালে লর্ডসের মাঠে অভিষেক হয়েছিল স্মিথের। পাকিস্তানের বিরুদ্ধে সেই ম্যাচে রান পাননি তিনি। তবে লর্ডসে শতরান আগেও করেছিলেন স্মিথ। ২০১৫ সালে ইংল্যান্ডের বিরুদ্ধে ২১৫ রান করেছিলেন তিনি। বৃহস্পতিবার লর্ডসে দ্বিতীয় শতরান করলেন স্মিথ। অস্ট্রেলিয়ার তিনি চতুর্থ ব্যাটার, যাঁর লর্ডসে একের বেশি শতরান রয়েছে। স্মিথ ছাড়া এই কীর্তি রয়েছে ওয়ারেন বার্ডসলে (১৯১২,১৯২৬), ডন ব্র্যাডম্যান (১৯৩০, ১৯৩৮) এবং বিল ব্রাউন (১৯৩৪, ১৯৩৮)।
লর্ডস টেস্টে অস্ট্রেলিয়া প্রথম দিনে ৩৩৯ তুলেছিল পাঁচ উইকেট হারিয়ে। কিন্তু দ্বিতীয় দিনের প্রথম সেশনও পুরো খেলতে পারল না তারা। শেষ হয়ে গেল ৪১৬ রানে। জবাবে ব্যাট করতে নেমে দ্বিতীয় দিনের শেষে ইংল্যান্ডের স্কোর ২৭৮/৪।