পাঁচ উইকেট নিলেন গাস অ্যাটকিনসন। হাত মেলাচ্ছেন অলি পোপ এবং হ্যারি ব্রুকের সঙ্গে। ছবি: রয়টার্স।
লর্ডসেও হার শ্রীলঙ্কার। পর পর দু’টি টেস্টে হেরে তিন ম্যাচের সিরিজ় হেরে গেলেন ধনঞ্জয় ডি’সিলভারা। ইংরেজ পেসারদের গতি এবং সুইং সামলাতে ব্যর্থ তাঁরা। প্রথম টেস্টের মতো আবারও ব্যাটে, বলে ইংল্যান্ডের বিরুদ্ধে হার বাঁচাতে ব্যর্থ শ্রীলঙ্কা। চার দিনেই ১৯০ রানে ম্যাচ জিতে নিল ইংল্যান্ড।
লর্ডস টেস্টে দুই ইনিংসেই শতরান করেন জো রুট। তিনি এবং গাস অ্যাটকিনসনের কাছে এই টেস্ট স্মরণীয় হয়ে থাকবে। অ্যাটকিনসন প্রথম ইনিংসে ব্যাট হাতে শতরান করেন। শ্রীলঙ্কার দ্বিতীয় ইনিংসে পাঁচ উইকেট নিলেন তিনি। একই ম্যাচে শতরান এবং পাঁচ উইকেট নেওয়ার নজির গড়লেন অ্যাটকিনসন।
প্রথম ইনিংসে ইংল্যান্ড তোলে ৪২৭ রান। রুট সেই ইনিংসে করেন ১৪৩ রান। অ্যাটকিনসন করেন ১১৮ রান। তাঁরাই দলকে বড় রান তুলতে সাহায্য করেন। সেই রানের বোঝা মাথায় নিয়ে ব্যাট করতে নেমে শ্রীলঙ্কার ইনিংস শেষ হয়ে যায় ১৯৬ রানে। কামিন্দু মেন্ডিস করেন ৭৪ রান। বাকি কেউ তেমন রান পাননি। ইংল্যান্ডের হয়ে দু’টি করে উইকেট নেন ক্রিস ওকস, অ্যাটকিনসন, অলি স্টোন এবং ম্যাথু পটস। একটি উইকেট নেন স্পিনার শোয়েব বশির।
২০০ রানের উপরে লিড পেয়েও দ্বিতীয় ইনিংসে ব্যাট করতে নামে ইংল্যান্ড। সেই ইনিংসে ২৫১ রান তুলে শ্রীলঙ্কার সামনে ৪৮৩ রানের লক্ষ্য রাখে তারা। সেই ইনিংসেও শতরান করেন রুট। তিনি ১০৩ রান করেন। ৪৮৩ রানের লক্ষ্য শ্রীলঙ্কার জন্য যথেষ্ট কঠিন ছিল। ডি’সিলভারা শেষ হয়ে যান ২৯২ রানে। দীনেশ চন্ডিমল করেন ৫৮ রান। অধিনায়ক ডি’সিলভা করেন ৫০ রান। ইংল্যান্ডের হয়ে অ্যাটকিনসন নেন ৫ উইকেট। দু’টি করে উইকেট নেন ওকস এবং স্টোন। একটি উইকেট বশির।
শেষ টেস্ট ওভালে। ৬ সেপ্টেম্বর থেকে শুরু হবে সেই টেস্ট। যদিও সিরিজ় ইতিমধ্যেই ইংল্যান্ডের। শেষ ম্যাচ জিতে লজ্জার হাত থেকে বাঁচার চেষ্টা করবে শ্রীলঙ্কা।