রাহুল দ্রাবিড়। —ফাইল চিত্র।
বাংলাদেশের বিরুদ্ধে ১৪০ বলে ১৭৪ রানের ইনিংস খেলে একাধিক নজির গড়লেন কুইন্টন ডিকক। এ বারের বিশ্বকাপে তিনি তৃতীয় শতরানও পূর্ণ করে ফেললেন শাকিব আল হাসানদের বিরুদ্ধে। গড়লেন বিশ্বকাপের একটি নজির। দক্ষিণ আফ্রিকার ক্রিকেটেও নজির তৈরি করল তাঁর ১৭৪ রানের ইনিংস।
বিশ্বকাপে উইকেটরক্ষক-ব্যাটারদের মধ্যে সর্বোচ্চ রানের ইনিংস খেলার নজির গড়লেন ডিকক। ভেঙে গেল অস্ট্রেলিয়ার প্রাক্তন ক্রিকেটার অ্যাডাম গিলক্রিস্টের রেকর্ড। ২০০৭ সালের বিশ্বকাপে শ্রীলঙ্কার বিরুদ্ধে গিলক্রিস্ট করেছিলেন ১৪৯ রান। এত দিন পর্যন্ত বিশ্বকাপে কোনও উইকেটরক্ষক-ব্যাটারের সেটাই ছিল সর্বোচ্চ রানের ইনিংস। ১৬ বছর পর তাঁকে টপকে মঙ্গলবার শীর্ষে উঠে এলেন ডিকক। উল্লেখ্য, মঙ্গলবার ১৫০তম এক দিনের ম্যাচ খেললেন তিনি। এই তালিকায় তৃতীয় স্থানে চলে গেল ১৯৯৯ বিশ্বকাপে শ্রীলঙ্কার বিরুদ্ধে খেলা রাহুল দ্রাবিড়ের ১৪৫ রানের ইনিংস।
এক দিনের ক্রিকেটে উইকেটরক্ষক-ব্যাটারদের ১৫০ বা তার বেশি রানের ইনিংস খেলার ক্ষেত্রেও শীর্ষে উঠে এলেন ডিকক। এত দিন পর্যন্ত গিলক্রিস্ট, ডিকক ছাড়াও জস বাটলারের দু’টি করে ১৫০ বা তার বেশি রানের ইনিংস খেলার নজির ছিল। বাংলাদেশের বিরুদ্ধে তাঁদের ছাপিয়ে শীর্ষে উঠে এলেন ডিকক। মঙ্গলবার তিনি খেললেন তৃতীয় ১৫০ বা তার বেশি রানের ইনিংস।
এক দিনের বিশ্বকাপে দক্ষিণ আফ্রিকার ক্রিকেটারদের মধ্যে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ রানের ইনিংস খেললেন ডিকক। ১৯৯৬ সালের বিশ্বকাপে সংযুক্ত আরব আমিরশাহির বিরুদ্ধে ১৮৮ রানের ইনিংস খেলেছিলেন গ্যারি কার্স্টেন। তাঁর সেই ইনিংসের পরেই থাকছে মঙ্গলবার ককের ১৭৪ রানের ইনিংস। এই তালিকার তৃতীয় স্থানে চলে গেল ২০১৫ সালের বিশ্বকাপে ওয়েস্ট ইন্ডিজ়ের বিরুদ্ধে করা অপরাজিত ১৬২ রানের ইনিংস।
দক্ষিণ আফ্রিকার উইকেটরক্ষক-ব্যাটারের এটাই শেষ এক দিনের বিশ্বকাপ। প্রতিযোগিতা শুরুর আগেই ৫০ ওভারের ক্রিকেট থেকে অবসর নেওয়ার কথা জানিয়েছিলেন তিনি। শেষ বিশ্বকাপের প্রায় প্রতিটি ম্যাচেই ব্যাট হাতে দাপট দেখাচ্ছেন ডিকক।