ক্ষুব্ধ শাকিবরা। ফাইল ছবি
দক্ষিণ আফ্রিকার বিরুদ্ধে প্রথম টেস্টের দ্বিতীয় ইনিংসে ৫৩ রানে অলআউট হয়ে গিয়েছে বাংলাদেশ। ২২০ রানে টেস্টে হেরেছে তারা। ম্যাচের পরে আম্পায়ারদের উপর ক্ষোভ উগরে দিয়েছেন বোর্ডের কর্তা থেকে ক্রিকেটাররা। দক্ষিণ আফ্রিকার দুই আম্পায়ারের ভূমিকায় তাঁরা অত্যন্ত ক্ষুব্ধ। নিরপেক্ষ আম্পায়ার নিয়োগের দাবি তুলেছেন তাঁরা। এখনও সরকারি ভাবে অভিযোগ জানায়নি বোর্ড। কিন্তু সংবাদ মাধ্যমে মুখ খোলায় শাস্তির সম্ভাবনা উড়িয়ে দেওয়া যাচ্ছে না।
কোভিড অতিমারির পর থেকেই যে দেশে সিরিজ হচ্ছে সেই দেশের আম্পায়াররা ম্যাচ পরিচালনা করছেন। সেই অনুযায়ী প্রথম টেস্টে ম্যাচ পরিচালনার দায়িত্বে ছিলেন মারাইস ইরাসমাস এবং আদ্রিয়ান হোল্ডস্টক। দক্ষিণ আফ্রিকার ইনিংসের পঞ্চম ওভারে ডিন এলগারের পিছনের পায়ে বল লাগে। তাঁকে নট আউট দেওয়া হয়। ডিআরএস নিলেও লাভ হয়নি। তবে রিপ্লে-তে দেখা যায়, বল বেলে লাগছে। এর পর প্রোটিয়া ক্রিকেটার সারিল এরউইর এলবিডব্লিউও দেওয়া হয়নি।
সাত ওভার পরে কিগান পিটারসেনের বিরুদ্ধে একটি এলবিডব্লিউ আবেদন করেও পাননি খালেদ আহমেদ। বাংলাদেশ রিভিউ বাঁচিয়ে রাখবে বলে ডিআরএস নেয়নি। তবে দেখা যায় সেটি আউট ছিল। এলগার এবং পিটারসেন দু’জনেই ভাল রান করেন।
এর পরেই বাংলাদেশ দলের ডিরেক্টর খালেদ মাহমুদ বলেছেন, “বেশ কিছু সিদ্ধান্ত আমাদের বিপক্ষে গিয়েছে। যদি সেগুলো আমাদের পক্ষে যেত তা হলে ২৭০ নয়, হয়তো ১৮০ তাড়া করতে হত আমাদের। আমরা আম্পায়ারদের শ্রদ্ধা করি। কিন্তু ইদানীং তাঁদের সিদ্ধান্তে কোনও ধারাবাহিকতা দেখা যাচ্ছে না। এখন গোটা বিশ্ব খুলে গিয়েছে। আশা করি এ বার আইসিসি নিরপেক্ষ আম্পায়ার নেওয়ার দিকে ঝুঁকবে।”
দলে না থাকলেও আম্পায়ারদের সমালোচনা করেছেন শাকিব আল হাসান। বলেছেন, “কোভিড পরিস্থিতি ঠিক হয়ে গিয়েছে। এ বার আইসিসি-র উচিত নিরপেক্ষ আম্পায়ার নিয়োগ করা।” বাংলাদেশ দলের মেন্টর নাজমুল আবেদিন তো আরও চাঁচাছোলা ভাষায় আক্রমণ করেছেন। তিনি টুইট করেছেন, “কঠিন সিদ্ধান্তের ক্ষেত্রে আম্পায়াররা যে ঘরের দলকে সাহায্য করছে এটা পরিষ্কার।”