দক্ষিণ আফ্রিকার মহিলা দল টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের ফাইনালে। ছবি: রয়টার্স।
মেয়েদের ক্রিকেটে অস্ট্রেলিয়ার আধিপত্য দীর্ঘদিনের। আটটি টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের মধ্যে ছ’টিতে জিতেছে তারা। শেষ তিন বারই টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ জিতেছে অস্ট্রেলিয়া মহিলা দল। সেই অস্ট্রেলিয়াকে সেমিফাইনালে ৮ উইকেটে হারিয়ে দিল দক্ষিণ আফ্রিকা। পৌঁছে গেল ফাইনালে। ছেলেদের পর দক্ষিণ আফ্রিকার মেয়েরাও টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের ফাইনালে।
সেমিফাইনালে প্রথমে ব্যাট করে অস্ট্রেলিয়া। বেথ মুনি, তাহলিয়া ম্যাকগ্রা, এলিস পেরি সমৃদ্ধ অস্ট্রেলিয়া ব্যাটিং বিভাগ ১৩৪ রানের বেশি করতে পারেনি। দক্ষিণ আফ্রিকার বোলারেরা মাত্র ৫ উইকেট নিলেও বেশি রান দেননি। মেরিজেন কাপ, আয়াবঙ্গা খাকারা কখনও মুনিদের আগ্রাসী হতে দেননি। ফলে হাতে উইকেট থাকলেও বেশি রান করতে পারেনি অস্ট্রেলিয়া।
লক্ষ্য ছিল ১৩৫ রান। ২০ ওভারে যা খুব কঠিন নয়। কিন্তু বিপক্ষ যদি হয় অস্ট্রেলিয়া তা হলে অবশ্যই পরীক্ষার মুখে পড়ার সম্ভাবনা থাকে। কিন্তু দক্ষিণ আফ্রিকার ওপেনার লরা উলভার্থ (৪২) এবং তিন নম্বরে নামা অ্যানেকে বস্ক (৭৪ রানে অপরাজিত) মিলে কাজটা সহজ করে দেন। ১৬ বল বাকি থাকতে ম্যাচ জিতে নেয় দক্ষিণ আফ্রিকা।
সেমিফাইনালে দক্ষিণ আফ্রিকা যে অস্ট্রেলিয়াকে হারিয়ে দেবে তা ম্যাচ শুরুর আগে কল্পনা করা যায়নি। ২০১৮ থেকে টানা তিন মেয়েদের টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ জিতেছে অস্ট্রেলিয়া। তাদের হারিয়ে মাঠেই উচ্ছ্বাস প্রকাশ করতে দেখা যায় দক্ষিণ আফ্রিকার ক্রিকেটারদের। মেগান স্কুটের বলে চার মেরে ম্যাচ জেতান ম্যাচের সেরা বস্ক। তাঁর মারা বল বাউন্ডারি পার করতেই দক্ষিণ আফ্রিকার বাকি ক্রিকেটারেরা একে ওপরকে জড়িয়ে ধরেন। উচ্ছ্বাস দেখা যায় সমর্থকদের মধ্যেও। উল্টো দিকে অস্ট্রেলিয়ার কোচ, ক্রিকেটারদের চোখে মুখে হতাশা। তাঁরা ভাবতেই পারেননি দক্ষিণ আফ্রিকার বিরুদ্ধে হারতে হবে।