শুভমন গিল (বাঁ দিকে), সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায় (ডান দিকে)। —ফাইল চিত্র
বিশ্ব টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের ফাইনালে শুভমন গিলের উইকেট নিয়ে বিতর্ক চলছে। এই বিতর্ক মনে করিয়ে দিচ্ছে ১৫ বছর আগের স্মৃতি। সে বার অস্ট্রেলিয়ার মাটিতে আম্পায়ারের ভুল সিদ্ধান্তের খেসারত দিতে হয়েছিল সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়কে। শেষ পর্যন্ত সেই ম্যাচ হারতে হয়েছিল ভারতকে।
ঘটনাটি ঘটেছিল ২০০৭-০৮ অস্ট্রেলিয়া সফরে সিডনি টেস্টে। দ্বিতীয় ইনিংসে ম্যাচ বাঁচানোর জন্য খেলছিলেন সৌরভ। সেই সময় ব্রেট লি-র একটি বল তাঁর ব্যাটে লেগে স্লিপে যায়। ক্যাচ ধরেন মাইকেল ক্লার্ক। সৌরভ সেই আউট নিয়ে নিশ্চিত ছিলেন না। তিনি আম্পায়ারের কাছে আবেদন করেন তৃতীয় আম্পায়ারের সাহায্য নেওয়ার। কিন্তু স্লিপে ক্লার্কের পাশে দাঁড়ানো পন্টিং আম্পায়ার মার্ক বেনসনের দিকে আঙুল তুলে আউটের সঙ্কেত করেন। তার পরে আম্পায়ারও আউট দিয়ে দেন। তৃতীয় আম্পায়ারের সাহায্য নেননি তিনি। পরে রিপ্লে-তে দেখা যায়, ক্লার্ক ক্যাচ ধরার আগে বল মাটিতে পড়েছিল। সেই ঘটনা নিয়ে অনেক বিতর্ক হয়েছিল।
শুভমনের ক্ষেত্রে তো মাঠের আম্পায়ার তৃতীয় আম্পায়ারের সাহায্য নিয়েছিলেন। তার পরেও শুভমনকে আউট দেওয়ার সিদ্ধান্ত মেনে নিতে পারেননি ভারতীয় ক্রিকেটার ও সমর্থকরা। মাঠেই রোহিত শর্মাকে বিরক্তি প্রকাশ করতে দেখা যায়। দর্শকরাও গ্রিনকে বিদ্রুপ করেন।
ওভালে দ্বিতীয় ইনিংসে ব্যাট করার সময় অস্ট্রেলিয়ার স্কট বোলান্ডের বল শুভমনের ব্যাটে লেগে স্লিপে যায়। গ্রিন ক্যাচ ধরেন। কিন্তু তাঁর ক্যাচ ধরার সময় বল মাটি ছুঁয়েছিল কি না তা নিয়ে সংশয় ছিল। যদিও তৃতীয় আম্পায়ার সিদ্ধান্ত নেন যে গ্রিনের আঙুল বলের নীচে ছিল। তাই তিনি আউট দেন। আম্পায়ারের সিদ্ধান্ত মানতে পারেননি শুভমন। আউট হওয়ার পরে টুইট করেছেন তিনি। গ্রিনের সেই ক্যাচের একটি ছবি দিয়েছেন। কোনও মন্তব্য না করলেও তিনি বোঝাতে চেয়েছেন, যেখানে ছবিতে পরিষ্কার দেখা যাচ্ছে যে বল মাটি ছুঁয়েছে, সেখানে কী ভাবে তাঁকে আউট দেওয়া হল! শুভমনের পাশে দাঁড়িয়েছে ভারতীয় দল। মহম্মদ শামি বলেছেন, ‘‘সিদ্ধান্ত নেওয়ার আগে আম্পায়ার আরও একটু সময় নিতে পারতেন। আমরা বিশ্ব টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপ ফাইনাল খেলছি। কোনও সাধারণ ম্যাচ নয় এটা। হালকা ভাবে নেওয়া যায় না। আরও ভাল করে পরীক্ষা করা উচিত ছিল। আরও জুম করে দেখা যেতে পারত। এটাও খেলার অঙ্গ, ঠিক আছে।’’
গ্রিন আবার দাবি করেছেন যে তিনি ক্যাচ ঠিক মতোই ধরেছিলেন। অসি ক্রিকেটার বলেছেন, ‘‘শুভমনের ক্যাচটা ঠিক ভাবেই ধরেছি। আমার সেটাই মনে হয়েছে। সেই মুহূর্তেও ক্যাচ ধরে আত্মবিশ্বাসী ছিলাম। আমার কোনও সংশয় ছিল না। তাই উচ্ছ্বাসে বলটা শূন্যে ছুড়ে দিয়েছিলাম। আউটের আবেদন করেছিলাম। সিদ্ধান্ত নেওয়ার দায়িত্ব তৃতীয় আম্পায়ারকে দেওয়া হয়েছিল। তিনি আউট দিয়েছেন।’’