কেকেআরে সতীর্থদের সঙ্গে শুভমন (বাঁ দিক থেকে দ্বিতীয়)। —ফাইল চিত্র
তাঁকে কলকাতা নাইট রাইডার্সের অন্যতম সেরা প্রতিভা বলা হত। বেশ কয়েকটি মরসুমে দলের ওপেনিংয়ের দায়িত্ব সামলেছেন। কিন্তু গত বার তাঁকে ছেড়ে দেয় কেকেআর। ফ্র্যাঞ্চাইজির এই সিদ্ধান্ত মেনে নিতে পারেননি শুভমন গিল। ইডেনে ফিরে নিজের ক্ষোভ উগরে দিলেন তিনি। জানালেন, তিনি নিজে কলকাতা ছেড়ে যেতে চাননি।
সৈয়দ মুস্তাক আলি ট্রফির কোয়ার্টার ফাইনালে পঞ্জাবের হয়ে কর্নাটকের বিরুদ্ধে ৫৫ বলে ১২৬ রানের ইনিংস খেলেন শুভমন। তাঁর ব্যাটেই ম্যাচ জিতে সেমিফাইনালে ওঠে পঞ্জাব। ম্যাচ শেষে ইডেন ও কলকাতার প্রসঙ্গ উঠলে নিজের মনের কথা জানান শুভমন।
ইডেনে জীবনের প্রথম টি-টোয়েন্টি শতরান করার গুরুত্ব তাঁর কাছে অনেক বেশি বলে জানিয়েছেন শুভমন। তিনি বলেন, ‘‘এই শতরান আমার কাছে খুব গুরুত্বপূর্ণ। টি-টোয়েন্টিতে এটা আমার প্রথম শতরান। আর সেটা ইডেনে এল।’’ ইডেন নিয়ে ভালবাসা একই রকম থাকলেও আগের ফ্র্যাঞ্চাইজির প্রতি আর ভালবাসা নেই শুভমনের। তিনি বলেছেন, ‘‘কেকেআর ছাড়ার কোনও পরিকল্পনা আমার ছিল না। আমি জানি না দলের মধ্যে কী পরিস্থিতি ছিল। কেন ওরা আমাকে ধরে রাখল না, সে বিষয়ে আমার কোনও ধারণা নেই।’’
কলকাতা ছেড়ে গুজরাতে গিয়েছেন শুভমন। গুজরাত টাইটান্সের হয়ে প্রথম বার খেলতে নেমেই আইপিএল চ্যাম্পিয়ন হয়েছেন তিনি। সেই প্রসঙ্গে শুভমন বলেন, ‘‘আমি নতুন দল পেয়েছি। তাদের হয়ে আইপিএল জিতেছি। আমি খুব খুশি। ভবিষ্যতে কী হবে তা নিয়ে এখন থেকে কিছু ভাবছি না।’’
মুস্তাক আলিতে শতরানের আগেই ভাল খবর পেয়েছেন শুভমন। টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের পরে নিউজ়িল্যান্ড সফরে ভারতীয় দলে সুযোগ পেয়েছেন শুভমন। জাতীয় দলে সুযোগ তাঁর খেলার উৎসাহ আরও বাড়িয়ে দেয় বলে জানিয়েছেন শুভমন। বলেছেন, ‘‘যখনই আপনি জাতীয় দলে সুযোগ পান তখন একটা বাড়তি উন্মাদনা কাজ করে। রানের খিদে আরও বাড়িয়ে দেয়। আর ইডেন তো আমার ঘরের মাঠের মতো। এখানে আমি অনেক ব্যাট করেছি। তাই এখানে ভাল খেলতে পেরে আমি আরও খুশি।’’
কর্নাটকের বিরুদ্ধে ওপেন করতে নেমে শুরু থেকেই শুভমন ছিলেন আগ্রাসী মেজাজে। উইকেটের অন্য প্রান্তে পর পর ২ উইকেট পড়লেও দমানো যায়নি কলকাতার প্রাক্তন ব্যাটারকে। তাঁর ব্যাট থেকে আসে ৫৫ বলে ১২৬ রানের ঝকঝকে ইনিংস। ১১টি চার এবং ন’টি বিরাট ছক্কা মারেন তিনি। ৩০ বলে ৫০ রান করার পর আরও আগ্রাসী হয়ে ওঠেন শুভমন। শতরান পূর্ণ করেন ৪৯ বলে। ২০ ওভারের ক্রিকেটে ২৫০০ রানও পূর্ণ করলেন পঞ্জাবের ব্যাটার। ৯৪টি টি-টোয়েন্টি ম্যাচে তাঁর রান হল ২৫৩২। গড় ৩৩.৩১। স্ট্রাইক রেট ১২৮.৫২। ১৭টি অর্ধশতরান রয়েছে তাঁর। দেশের হয়ে ১১টি টেস্ট এবং ১২টি এক দিনের ম্যাচ খেললেও টি-টোয়েন্টি ম্যাচ খেলার সুযোগ হয়নি ২৩ বছরের ওপেনিং ব্যাটার।