Firing in Baruipur

সাধারণতন্ত্র দিবস পালনে শূন্যে ‘গুলি’! এ বার উঠে এল দক্ষিণ ২৪ পরগনার বিজেপি যুব নেতার নাম

দক্ষিণ ২৪ পরগনায় শূন্যে ‘গুলি’ ছোড়ার ভিডিয়ো ছড়িয়ে পড়ে। সমাজমাধ‍্যমের ওই ভিডিয়োয় দেখা গিয়েছে, বিজেপি যুব মোর্চার এক নেতাকে। ঘটনার কথা স্বীকার করলেও ওই যুব নেতা জানান, পুরোটাই ‘অতিরঞ্জিত’।

Advertisement

আনন্দবাজার অনলাইন সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ২৯ জানুয়ারি ২০২৫ ২৩:১৪
Share:

বারুইপুরে সাধারণতন্ত্র দিবস উদ্‌যাপনের সময়ে শূন্যে ‘গুলি’ ছোড়া ঘিরে বিতর্ক। —নিজস্ব চিত্র।

ফের ‘বন্দুক’ বিতর্ক রাজ্যে! মালদহের পর এ বার দক্ষিণ ২৪ পরগনা। বিতর্কের কেন্দ্রবিন্দুতে বিজেপির এক যুব নেতা। একটি ভিডিয়োয় দেখা গিয়েছে বারুইপুরে সাধারণতন্ত্র দিবস উদ্‌যাপনের সময়ে শূন্যে ‘গুলি’ ছু়ড়ছেন বিজেপি যুব মোর্চার যাদবপুর সাংগঠনিক জেলার সভাপতি মলয় চট্টোপাধ্যায় (ওই ভিডিয়োর সত্যতা যাচাই করেনি আনন্দবাজার অনলাইন)। ভিডিয়োটি সমাজমাধ্যমেও প্রকাশ করা হয়েছিল। সঙ্গে সঙ্গে তা নিয়ে শোরগোল পড়ে যায় সমাজমাধ্যমে। বিতর্ক দানা বাঁধতেই সেটি সরিয়ে নেওয়া হয়। যদিও যুব মোর্চা নেতার দাবি, সেটি আসল বন্দুক নয়। ওটি একটি এয়ারগান। পুলিশ সূত্রে খবর, এ নিয়ে এখনও পর্যন্ত কোনও অভিযোগ তাঁদের কাছে আসেনি। বিষয়টি খোঁজখবর নিয়ে দেখছেন তাঁরা।

Advertisement

গত ২৬ জানুয়ারি বারুইপুরে বিজেপির নগর মণ্ডলের উদ্যোগে সাধারণতন্ত্র দিবসের অনুষ্ঠান চলছিল। প্রকাশ্যে আসা ভিডিয়োতে দেখা যাচ্ছে, পতাকা উন্মোচনের সময় একটি বড় মাপের রাইফেল গোছের দেখতে বন্দুক উঁচিয়ে ধরেন ওই যুব নেতা এবং পর ক্ষণেই শূন্যে গুলি ছোড়েন। ঘটনাকে কেন্দ্র করে বিতর্ক ছড়ানোর পর যুব মোর্চার নেতা ঘটনাটির কথা স্বীকার করে নিয়েছেন। তবে তাঁর ব্যাখ্যা, সেটি একটি এয়ারগান। মলয় বলেন, “এটি ছোটবেলায় সবাই হাতে নিয়ে ফাটিয়েছে। অনেকে মেলায় বেলুন নিয়ে বসেন। এটি সেই জাতীয় বন্দুক।” এর সঙ্গে মালদহের সাম্প্রতিক ঘটনার তুলনা টানার কোনও অবকাশ নেই বলেই মনে করছেন তিনি।

মলয়ের দাবি, তিনি মানুষকে ভয় দেখাতে ওই কাজ করেননি। সাধারণতন্ত্র দিবস উদ্‌যাপনের সময়ে স্বাধীনতা আন্দোলনের বীরেদের সম্মান জানানোই উদ্দেশ্য ছিল। তিনি বলেন, “আমরা যা করেছি, তা খুবই স্বাভাবিক জিনিস। ঘটনাকে অতিরঞ্জিত করে দেখার কোনও মানে হয় না।”

Advertisement

সম্প্রতি মালদহের মানিকচকে নুরপুর এলাকায় একটি ভলিবল টুর্নামেন্টের সূচনায় শূন্যে গুলি ছোড়ার অভিযোগ ওঠে। পুলিশ জানিয়েছে, সেগুলি আসল বন্দুকই ছিল। তবে লাইসেন্সপ্রাপ্ত। ঘটনায় এফআইআর দায়ের করে তদন্ত শুরু করে পুলিশ। বেশ কিছু আগ্নেয়াস্ত্র বাজেয়াপ্তও হয়েছে। এরই মধ্যে দক্ষিণ ২৪ পরগনার বারুইপুরে বিজেপি যুব মোর্চার নেতাকে ঘিরে বিতর্ক দানা বাঁধতে শুরু করেছে।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement