শোয়েব মালিক। — ফাইল চিত্র।
নিজের তৃতীয় বিয়ের কথা ঘোষণা করেছিলেন শনিবার সকালে। তার কয়েক ঘণ্টার মধ্যে ব্যাট হাতে মাঠে নেমে পড়লেন শোয়েব মালিক। বিশ্বের দ্বিতীয় ব্যাটার হিসাবে টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটে ১৩ হাজার রান করলেন তিনি। এখন শুধু ক্রিস গেলের নীচে তিনি।
বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগে (বিপিএল) ফরচুর বরিশালের হয়ে খেলছেন শোয়েব। শনিবার রংপুর রাইডার্সের বিরুদ্ধে ম্যাচে এই নজির গড়েন শোয়েব। রংপুরের ১৩৫ রান তাড়া করতে নেমে সহজেই জেতে বরিশাল। শোয়েব ১৮ বলে ১৭ রান করে অপরাজিত থাকেন। দু’টি চার মারেন। মাহমুদুল্লাহের সঙ্গে ২৫ রানের জুটি গড়েন। শুধু তাই নয়, বল হাতে একটি উইকেটও নিয়েছেন শোয়েব।
এই মুহূর্তে গেলের ৪৬৩টি ম্যাচে ১৪,৫৬২ রান রয়েছে। তার পরে ৫২৫ ম্যাচে ১২,৩১০ রান নিয়ে দ্বিতীয় শোয়েব। এর পরে রয়েছেন যথাক্রমে কায়রন পোলার্ড (৬৪১ ম্যাচে ১২,৪৫৪ রান) এবং বিরাট কোহলি (৩৭৬ ম্যাচে ১১,৯৯৪ রান)। শনিবারের ম্যাচে নজির গড়তে সাত রান দরকার ছিল শোয়েবের। সহজেই সেই রান করে দেন তিনি।
টি-টোয়েন্টিতে এত রান করলেও একটিও শতরান নেই তাঁর। টেস্ট এবং এক দিনের ক্রিকেট থেকে আগেই অবসর নিয়েছেন। কিন্তু টি-টোয়েন্টি ফরম্যাটে খেলে চলেছেন। অপেক্ষায় রয়েছেন জাতীয় দলের ডাক পাওয়ার। কিন্তু দীর্ঘ দিন তিনি জাতীয় দলের বাইরে।
কিছু দিন আগে সমাজমাধ্যম থেকে শোয়েবের সব ছবি মুছে দিয়েছিলেন ভারতের টেনিস তারকা সানিয়া। একটিমাত্রই ছবি ছিল। সেখানে সানিয়া এবং শোয়েবের সঙ্গে তাঁদের ছেলে ইজ়হান ছিল। সেই ছবির ক্যাপশনে শোয়েবের বিশেষ নামোল্লেখ নেই। ইজ়হানের জন্মদিন উপলক্ষে সেই ছবিটি পোস্ট করেছিলেন সানিয়া। সেই ছবি বাদে শোয়েবের সব ছবি মুছে দিয়েছিলেন সানিয়া।
শোয়েবের ইনস্টাগ্রামের বায়োতেও কিছু দিন আগে পর্যন্ত লেখা থাকত সানিয়ার স্বামী হিসাবে। এর পর নিজেকে একজন ‘সুপারউওম্যান’-এর স্বামী হিসেবেও উল্লেখ করেছিলেন শোয়েব। সেই বাক্য সরিয়ে নিয়েছিলেন। এমনকি তাঁর ইনস্টাগ্রামেও সানিয়ার ছবি খুঁজে পাওয়া যায়নি। তবে ছেলে ইজ়হানের সঙ্গে অনেক ছবি দেখতে পাওয়া গিয়েছিল।
গত বছর থেকেই সানিয়া এবং শোয়েবের সম্পর্কে চিড় ধরার ইঙ্গিত পাওয়া গিয়েছিল। সানিয়ার বাড়িতে ইফতার পার্টিতে ছিলেন না শোয়েব। ইফতার পার্টির ভিডিয়ো সমাজমাধ্যমে দিয়েছিলেন সানিয়া। সেখানে ছেলে ইজ়হান-সহ পরিবারের বাকিরা ছিলেন। কিন্তু পাকিস্তানের ক্রিকেটারকে দেখা যায়নি। ভিডিয়োর ক্যাপশনে সানিয়া লিখেছিলেন, ‘‘প্রিয়জনদের সঙ্গে ইফতার।’’ তার পরেই অনেকে প্রশ্ন তুলেছিলেন, তা হলে কি সানিয়ার প্রিয়জনদের তালিকায় আর শোয়েব নেই। নইলে তিনি কেন বাদ পড়লেন? উত্তর হয়তো পাওয়া গেল শনিবার। সানিয়া এবং শোয়েবের বিচ্ছেদের জল্পনার মাঝেই বিয়ে সেরে ফেললেন পাক ক্রিকেটার।
২০১০ সালের ১২ এপ্রিল এক হয়েছিল চার হাত। ক্রিকেট ব্যাট বা টেনিসের র্যাকেটের ঠোকাঠুকি ছিল না। বরং কাঁটাতারের বিভেদ, সমালোচনা ঢাকা পড়েছিল দুই ক্রীড়াবিদের ভালবাসায়। হায়দরাবাদ হোক বা দুবাই অথবা করাচি, হাতে হাত রেখে হাসিমুখে দেখা গিয়েছে দু’জনকে। পাকিস্তানের প্রাক্তন ক্রিকেট অধিনায়ককে বিয়ে করলেও সানিয়া ভারতের হয়েই টেনিস খেলে গিয়েছেন। শোয়েবও ঘরজামাই হয়ে সচিন তেন্ডুলকরদের সতীর্থ হওয়ার চেষ্টা করেননি।