এত বিতর্কের পরেও সেই শাকিবই বাংলাদেশের অধিনায়ক ফাইল চিত্র
জল্পনার অবসান। শাকিব আল হাসানের উপরেই ভরসা রাখতে হল বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডকে। তাঁকেই টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে দলের অধিনায়ক ঘোষণা করল বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড। বোঝা গেল, এই মুহূর্তে শাকিব ছাড়া গতি নেই বংলাদেশের ক্রিকেটে। আসন্ন এশিয়া কাপেও তিনিই দলকে নেতৃত্ব দেবেন।
গত কয়েক দিনে বিতর্কের কেন্দ্রে ছিলেন শাকিব। জুয়া সংস্থার সঙ্গে চুক্তি বাতিল না করলে তাঁকে এশিয়া কাপের দলে নেওয়া হবে না বলে হুঁশিয়ারি দিয়েছিলেন বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের প্রধান নাজমুল হাসান পাপন। শুক্রবার চুক্তি বাতিল করেন শাকিব। তার পরে শনিবার এশিয়া কাপের জন্য বাংলাদেশের দল ঘোষণা করা হয়। একই সঙ্গে জানিয়ে দেওয়া হয়, শাকিবই বিশ্বকাপে দেশের অধিনায়কত্ব করবেন।
এশিয়া কাপের জন্য ১৭ সদস্যের দল ঘোষণা করেছে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড। তারা জানিয়েছে, আপাতত টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ পর্যন্ত শাকিব দলের অধিনায়ক থাকবেন। তবে তার পরে তাঁকে বদল করা হতে পারে।
শাকিব যে এশিয়া কাপে বাংলাদেশের অধিনায়ক হবেন তা মোটামুটি নিশ্চিত ছিল। শুক্রবার এক সাক্ষাৎকারে পাপন বলেছিলেন, “এত কিছুর পরেও শাকিবকেই হয়তো অধিনায়ক করতে হবে। উপায় নেই। লিটন দাস বা নুরুল হাসান সুস্থ থাকলে ওদের কাউকেই অধিনায়ক করা হত। ওদের চোট রয়েছে। তরুণদের মধ্যে এখনও কেউ তৈরি নয়। মেহেদি হাসান মিরাজ যদি টি-টোয়েন্টি টিমে থাকত, তা হলে ওকেই হয়তো এই দায়িত্ব দেওয়া যেত।”
পাপনের এই কথা থেকে পরিষ্কার, বাধ্য হয়েই শাকিবকে অধিনায়ক করা হয়েছে। বোর্ডের কাছে অন্য বিকল্প থাকলে শাকিবকে কখনওই অধিনায়ক করা হত না। কারণ, এর আগেও বিতর্কে জড়িয়েছেন শাকিব। ম্যাচ গড়াপেটার কথা আইসিসি-কে না জানানোর জন্য এক বছর নির্বাসিত হয়েছিলেন তিনি। এই পরে এই ধরনের কোনও বিতর্কে জড়ালে শাকিবকে আর সুযোগ দেওয়া হবে না বলে জানিয়েছেন পাপন। তিনি বলেছেন, ‘‘ভবিষ্যতে এমন কিছু হলে আমি আর কারও সঙ্গে আলোচনা করব না। চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নিয়ে ফেলব।’’
এশিয়া কাপে বাংলাদেশের দল: শাকিব আল হাসান (অধিনায়ক), এনামুল হক, মুশফিকুর রহিম, আফিফ হোসেন, মোসাদ্দেক হোসেন, মাহমুদুল্লা, মেহেদি হাসান, মহম্মদ সইফুদ্দিন, হাসান মাহমুদ, মুস্তাফিজুর রহমান, নাসুম আহমেদ, সাব্বির রহমান, মেহেদি হাসান মিরাজ, এবাদত হোসেন, পারভেজ হোসেন ইমন, নুরুল হাসান সোহান, তাসকিন আহমেদ।