দুই আফ্রিদি।
গত টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে পাকিস্তানের কাছে ১০ উইকেটে লজ্জার হার হয়েছিল ভারতের। শাহিন আফ্রিদি চার ওভারে ৩১ রান দিয়ে বিরাট কোহলী, রোহিত শর্মা, লোকেশ রাহুলের উইকেট নেন। এই পারফরম্যান্সের রহস্য কী? জানালেন শাহিদ আফ্রিদি।
পাকিস্তান ক্রিকেটের বড় আফ্রিদি হলেন ছোট আফ্রিদির শ্বশুর। সেই শ্বশুরমশাই জানালেন, ওই ম্যচের আগে জামাই তাঁকে ফোন করেছিলেন। শাহিদ পাকিস্তানের একটি টেলিভিশন চ্যানেলকে বলেন, ‘‘ভারতের বিরুদ্ধে ওই ম্যাচে নামার আগে শাহিন আমাকে ভিডিয়ো–কল করেছিল। বলেছিল, ওর খুব চাপ লাগছে। আমরা প্রায় ১১-১২ মিনিট কথা বলেছিলাম। ওকে বলেছিলাম, ঈশ্বর তোমার সামনে সুযোগ করে দিয়েছে। মাঠে নেমে করে দেখাও। উইকেট নিয়ে নায়ক হয়ে যাও।’’
একাধিক ভারত-পাকিস্তান ম্যাচে নিজের খেলার অভিজ্ঞতা থেকে শাহিদ বলেন, ‘‘আমরা তো ভারতের বিরুদ্ধে ম্যাচের আগে ঘুমোতেই পারতাম না। ম্যাচের সময় আমাদের কেউ কেউ নির্দিষ্ট একটা জায়গায় চলে যেতাম, কেউ কেউ শুধুই অপেক্ষা করতাম। ব্যক্তিগত ভাবে আমি ভারত-পাকিস্তান ম্যাচের আগে অধীর আগ্রহে অপেক্ষা করে থাকতাম। কারণ জানতাম সবাই সব কিছু ছেড়ে দিয়ে এই ম্যাচটা দেখবেন বলে বসে থাকতেন।’’
জামাইয়ের একটি সিদ্ধান্তে অবশ্য খুশি হতে পারেননি শাহিদ। সেটি হল পাকিস্তান সুপার লিগে লাহোর কালান্ডার্সের অধিনায়ক হওয়া। শাহিদ বলেন, ‘‘ওকে বলেছিলাম আগে নিজের বোলিংয়ে ফোকাস করতে। এখনই এত বড় দায়িত্ব নিক, চাইনি। আরও দুটো বছর অপেক্ষা করতে বলেছিলাম। কিন্তু ও তো আফ্রিদি। আমার কথা শোনেনি।’’
কার নেতৃত্বে আসা উচিত, তা নিয়ে বড় আফ্রিদি মহেন্দ্র সিংহ ধোনির উদাহরণ দেন। বলেন, ‘‘সিনিয়রদেরই দায়িত্ব নিতে হবে, এই ধারনা সম্পূর্ণ বদলে গিয়েছে। ধোনির কথা বলতে পারি। ওর অধিনায়কত্বে সচিন তেন্ডুলকর খেলেছে। ফলে যার যোগ্যতা আছে, তারই অধিনায়ক হওয়া উচিত।’’
বাবর আজম এখন পাকিস্তানের অধিনায়ক। শাহিদ চিন্তিত ছিলেন বাবরকে নিয়ে। বলেন, ‘‘অধিনায়ক হওয়া মানে সংবাদমাধ্যমকে সামলাতে হবে, দলের হাজারটা বিষয়ের দিকে খেয়াল রাখতে হবে, বোর্ডের সঙ্গে নিয়মিত যোগাযোগ রেখে চলতে হবে। মনে হয়েছিল, বাবর একা এত কিছু সামলাতে পারবে না। কিন্তু ও আমাকে ভুল প্রমাণ করেছে।’’