করোনা পরিবর্ত হিসাবে খেলেন বিলিংস। ছবি: ইসিবি
জ্যাক লিচের বলে নিল ওয়াগনারের ক্যাচটা প্রথমে ঠিক মতো তালুবন্দি করতে পারেননি স্যাম বিলিংস। তাও সাজঘরে ফিরতে হল নিউজিল্যান্ডের ব্যাটারকে। কারণ বিলিংস ক্যাচ ফেলে দিলেও মাটি স্পর্শ করতে দিলেন না।
বলটি বিলিংসের হাত থেকে ডান হাঁটুতে লেগে মাটিতে পড়ার আগেই দু’পা দিয়ে ধরে নেন বিলিংস। বল আটকে যায় তাঁর দুই হাঁটুর মাঝে। তালু থেকে ফসকে যাওয়া বল বিলিংস পা-বন্দি করে ফেলবেন, ভাবতেই পারেননি ওয়াগনার। ভাবেননি ইংল্যান্ডের অন্য ক্রিকেটাররাও। অদ্ভুত ভাবে আউট হয়ে হতাশ ওয়াগনার সাজঘরে ফিরে যান।
ওয়াগনারের আউট হওয়ার বা বিলিংসের পা দিয়ে ক্যাচ ধরা নিয়ে শুরু হয়েছে আলোচনা। টেস্টের চতুর্থ দিনের এই ঘটনার ভিডিয়ো নেটমাধ্যমে ভাগ করে নিয়েছে ইংল্যান্ড ক্রিকেট বোর্ডও। বিলিংস নিজেও সেই ভিডিয়ো পোস্ট করেছেন। অনেকেই বিলিংসের রিফ্লক্সের তারিফ করেছেন। বিলিংস ইংল্যান্ড-নিউজিল্যান্ড তৃতীয় টেস্টের প্রথম একাদশে তো নয়ই, দলেও ছিলেন না। বেন ফোক্স করোনা আক্রান্ত হওয়ায় পরিবর্ত হিসাবে খেলছেন।
জরুরি পরিস্থিতিতে ছ’ঘণ্টার রাস্তা অতিক্রম করে লিডস পৌঁছেই মাঠে নেমে পড়েন পরিবর্ত হিসাবে। অথচ রবিবারই কাউন্টি চ্যাম্পিয়নশিপের ম্যাচে সারের বিরুদ্ধে কেন্টকে নেতৃত্ব দেওয়ার কথা ছিল বিলিংসের। কিন্তু ইসিবি’র জরুরি তলবে ছুটে আসেন তিনি। হঠাৎ মাঠে নেমেই অভিনব ক্যাচ নিলেন।
প্রথম একাদশে জনি বেয়ারস্টো থাকলেও বিলিংসকেই উইকেটরক্ষকের দায়িত্ব দেওয়া হয়। কারণ বেন স্টোকস তাঁকেই চেয়েছিলেন। উল্লেখ্য, গত জানুয়ারিতে অ্যাশেজ সিরিজের শেষ টেস্টে অভিষেক হয় বিলিংসের।