(বাঁদিকে) উদয় সাহারান এবং সচিন ধাস। ছবি: আইসিসি।
দক্ষিণ আফ্রিকাকে ২ উইকেটে হারিয়ে অনূর্ধ্ব ১৯ বিশ্বকাপের ফাইনালে উঠেছে ভারত। গত বারের চ্যাম্পিয়নদের জয়ে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা ছিল অধিনায়ক উদয় সাহারান এবং সচিন ধাসের। উদয় খেলেন ৪১ রানের ইনিংস। সচিনের ব্যাট থেকে এসেছিল ৯৬ রানের ইনিংস। মঙ্গলবার ম্যাচের পর মুখোমুখি হয়েছিলেন দুই সতীর্থ। সচিনের সাক্ষাৎকার নেন অধিনায়ক। তাঁদের কথোপকথন সমাজমাধ্যমে ক্রিকেটপ্রেমীদের সঙ্গে ভাগ করে নিয়েছে ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ড (বিসিসিআই)।
দক্ষিণ আফ্রিকার বিরুদ্ধে পঞ্চম উইকেটে উদয় এবং ধাসের ১৭১ রানের জুটি ভারতের জয়ের ভিত গড়ে দিয়েছিল। খেলা শেষ হওয়ার পর অধিনায়ককে সচিন বলেন, ‘‘আমার বাবাও ক্রিকেট খেলতেন। সচিন তেন্ডুলকরের বড় ভক্ত বাবা। আমার জন্মের আগেই বাবা ঠিক করে নিয়েছিলেন, ছেলে হলে নাম রাখবেন ‘সচিন’। এমন এক জন ক্রিকেটারের নামের সঙ্গে মিল উপভোগ করি। তাঁর অনেক ইতিবাচক দিক রয়েছে। সেই বিষয়গুলো আমাকে সাহায্য করে। সচিন সব সময় স্ট্রাইক রোটেট করার উপর গুরুত্ব দিতেন। বাউন্ডারি না এলেও রান তুলে স্কোর বোর্ড সচল রাখার চেষ্টা করতেন।’’ সেমিফাইনালের ইনিংস নিয়ে বলেছেন, ‘‘চেয়েছিলাম যত ক্ষণ বেশি সম্ভব ব্যাট করতে। শেষ পর্যন্ত মাঠে থাকতে চেয়েছিলাম।’’
ম্যাচ জেতানো নিয়ে বেশ কিছু ক্ষণ কথা বলেন দু’জনে। অনূর্ধ্ব ১৯ দলের অধিনায়ক প্রশংসা করেছেন সতীর্থের আগ্রাসী ইনিংসের। মেনে নিয়েছেন চাপের কথাও। উদয় বলেছেন, ‘‘রাজ লিম্বানি ব্যাট করতে নামার পর একটু চাপে পড়ে গিয়েছিলাম। মনে হয়ে ছিল, বাকি সব রান হয়তো আমাকেই করতে হবে। ম্যাচ সে সময় বেশ উত্তেজক পরিস্থিতিতে ছিল। রাজের ছক্কা দেখে স্বস্তি পেয়েছি। কী সহজে ছয়টা মারল। ওটাই আমার চাপ কাটিয়ে দেয়। রাজের আত্মবিশ্বাস দেখে মনে হল, ও বেশ কিছু রান করে দেবে।’’ টান টান ম্যাচে জয় নিয়ে সাহারান বলেছেন, ‘‘এই জয়টা বিশেষ। আমরা সবাই দৌড় মাঠে ঢুকে গেলাম। সব ম্যাচের শেষে কিন্তু এমন দারুণ অনুভূতি হয় না। আশা করি আমরা আরও এক বার এ ভাবে জয় উদযাপন করতে পারব।’’
আগামী রবিবার অনূর্ধ্ব ১৯ বিশ্বকাপের ফাইনাল। বৃহস্পতিবার প্রতিযোগিতার দ্বিতীয় সেমিফাইনালে মুখোমুখি হবে পাকিস্তান এবং অস্ট্রেলিয়া। বিজয়ী দলের বিরুদ্ধে ট্রফির জন্য খেলবে পাঁচ বারের বিশ্বজয়ীরা।