রোহিত শর্মা। ছবি: পিটিআই।
এ বছর বিশ্বকাপ জিতে টি-টোয়েন্টি ফরম্যাট থেকে অবসর নিয়েছেন রোহিত শর্মা। তবে বাকি দুই ফরম্যাট নিয়ে কোনও সিদ্ধান্ত এখনও জানাননি। মনে করা হচ্ছে রোহিত এখনই বাকি দু’টি ফরম্যাট থেকে সরে যাবেন না। রোহিতের ছোটবেলার কোচ দীনেশ লাডও আশাবাদী যে তিন বছর পর এক দিনের বিশ্বকাপে তাঁর ছাত্রকে দেখা যাবে।
গত বছর এক দিনের বিশ্বকাপের ফাইনালে অস্ট্রেলিয়ার কাছে হেরেছিল রোহিতের ভারত। অধরা বিশ্বকাপ এক বার অন্তত যে তিনি হাতে তুলতে চাইবেন এ ব্যাপারে নিশ্চিত সমর্থকেরাও।
এক সাক্ষাৎকারে দীনেশ বলেছেন, “বিশ্ব টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের পরেই রোহিত টেস্ট থেকে অবসর নিয়ে নেবে এ কথা আমি বলছি না। তবে হতেও পারে। ওর বয়স বাড়ছে। হয়তো টেস্ট থেকে সরে যেতেও পারে। আরও একটা কারণ রয়েছে। হয়তো এক দিনের ক্রিকেটকে বেশি গুরুত্ব দেওয়ার জন্য টেস্ট থেকে সরতে পারে রোহিত। আমি ১০০ শতাংশ নিশ্চিত রোহিত পরের এক দিনের বিশ্বকাপে খেলবে।”
কিছু দিন আগেই একটি সাক্ষাৎকারে টি-টোয়েন্টি থেকে অবসরের কারণ জানিয়েছিলেন রোহিত। রোহিত জানিয়েছেন, একটি কারণে অবসর নিয়েছেন ২০ ওভারের ক্রিকেট থেকে। বলেছিলেন, ‘‘মনে হয়েছিল টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটে আমার সময় শেষ। ক্রিকেটের এই সংস্করণটা দারুণ উপভোগ করেছি। ১৭ বছর ধরে খেলছি। ভালই খেলেছি বলে মনে হয়। আর কিছু নয়।’’ রোহিত আরও বলেছিলেন, ‘‘এ বারের (২০২৪) বিশ্বকাপ জেতার পর মনে হল, অবসর ঘোষণার এটাই সেরা সময়। ঠিকই আছে। এ বার আমি অন্য রকম কিছু ভাবতেই পারি। আমাদের অনেক ক্রিকেটার আছে। তরুণেরাও দেশের জন্য ভাল খেলবে।’’
তাঁর উপর কি কোনও চাপ ছিল? রোহিত বলেছিলেন, ‘‘একদমই না। আমার তেমন কিছু মনেও হয়নি। শুধু মনে হয়েছিল, টি-টোয়েন্টি থেকে অবসর নেওয়ার সেরা সময় এটাই। আর কিছু দিন অনায়াসে তিন ধরনের ক্রিকেট খেলতে পারতাম। ফিটনেস বা মানসিকতা নিয়ে কোনও সমস্যা নেই।’’ রোহিত বলেছিলেন, ‘‘বিশ্বাস করি, মন যেটা চায় সেটাই করা উচিত। আমি এক জন খুব আত্মবিশ্বাসী মানুষ। আমি আমার মনকে প্রয়োজন মতো নিয়ন্ত্রণ করতে পারি। যদিও ব্যাপারটা একদমই সহজ নয়। তবু বেশির ভাগ সময় করতে পারি বলেই মনে হয়। আপনি যদি মনে করেন, এখনও তরুণ আছেন, তা হলে অনেক কিছুই করতে পারবেন। অবশ্যই করতে পারবেন। ভাবনাটাই আসল।’’