বিনেশ ফোগাট। — ফাইল চিত্র।
প্যারিস অলিম্পিক্সে পদক হারালেও রাজনীতির মঞ্চে হাতেখড়ি খারাপ হল না বিনেশ ফোগাটের। হরিয়ানার বিধানসভা নির্বাচনে কংগ্রেস হারলেও বিনেশ জিতেছেন জুলনা আসন থেকে। বিজেপির যোগেশ বৈরাগীকে হারিয়েছেন ছ’হাজারের বেশি ভোটে। বিনেশ বিধায়ক হতেই আবার তাঁর দিকে তোপ দাগলেন ভারতীয় অলিম্পিক্স সংস্থার (আইওএ) সভাপতি পিটি ঊষা। খোঁচা দিলেন অলিম্পিক্সে তাঁর ওজন বেশি হওয়া নিয়ে।
এক সংবাদ সংস্থাকে সাক্ষাৎকারে ঊষা বলেছেন, “বিনেশ একজন ক্রীড়াবিদ। তাই ক্রীড়াবিদের গুণগুলোই ওর থেকে প্রত্যাশা করি। আমি বলছি না যে রাজনীতিবিদ মানেই খারাপ। কিন্তু ও খেলাধুলোর জন্যই অলিম্পিক্সে গিয়েছিল। আমরা সবাই ওর থেকে পদক চেয়েছিলাম। ওর সঙ্গে দেখা করার পর আন্তর্জাতিক কুস্তি সংস্থার সভাপতির কাছে প্রতিবাদ জানাই। ওরা নিয়মের দোহাই দিয়েছিল। তার পরেই সব যেন ঘেঁটে গেল।”
ঊষার সংযোজন, “বিনেশ যাদের চেয়েছিল তাদেরই ওর সঙ্গে পাঠিয়েছি। চার-পাঁচ জন গিয়েছিল ওর সঙ্গে। আমাদের কাছে স্রেফ ১০০ গ্রাম ওজন বেশি মনে হবে। কিন্তু ওদের কাছে বিষয়টা নতুন নয়। আগেও নাকি এই জিনিস হয়েছিল। তাই ওর দল জানত এই পরিস্থিতিতে কী করা উচিত বা কী ভাবে সামলানো উচিত। সব জানা সত্ত্বেও ওর দল ভুল করেছে। তাই আমাদের চিকিৎসকের কোনও ভুল থাকতে পারে না। ওর দলের ভুল। তা সত্ত্বেও বিনেশ আমাদের সমালোচনা করে।”
এর আগেও বিনেশ এবং তাঁর কোচিং দলের উপরে দায় চাপিয়েছিলেন ঊষা। গত ১২ অগস্ট একটি বিবৃতিতে ঊষা বলেছিলেন, “কুস্তি, ভারোত্তোলন, বক্সিং, জুডোর মতো খেলায় কোনও খেলোয়াড়ের ওজন কমানো বা বাড়ানোর দায় পুরোপুরি তার ও তার কোচিং দলের। ভারতীয় অলিম্পিক্স সংস্থার নিযুক্ত চিফ মেডিক্যাল অফিসার পারদিওয়াল ও তাঁর দলের কোনও ভূমিকা এতে নেই। তাই পারদিওয়ালা ও তাঁর দলকে যে সমালোচনার মুখে পড়তে হয়েছে তা একেবারেই মেনে নেওয়া যায় না। কোনও সিদ্ধান্তে আসার আগে সকলের উচিত একটু ভেবে দেখা।”
তিনি আরও বলেছিলেন, “প্যারিসে প্রায় প্রত্যেক খেলোয়াড় নিজের কোচ ও সাপোর্ট স্টাফ পেয়েছেন। এই সব কোচ ও সাপোর্ট স্টাফ দীর্ঘ দিন তাঁদের সঙ্গে কাজ করছেন। প্রতিযোগিতার কয়েক মাস আগে অলিম্পিক্স সংস্থা একটি মেডিক্যাল দল গঠন করেছিল। তাদের কাজ ছিল খেলোয়াড়দের ব্যক্তিগত কোচ ও সাপোর্ট স্টাফকে বাইরে থেকে সাহায্য করা। তা ছাড়া যে কয়েক জন খেলোয়াড়ের নিজস্ব কোচ বা পুষ্টিবিদ ছিল না তাঁদের দিকে খেয়াল রাখছিল এই দল। তার বাইরে তাদের কোনও ভূমিকা ছিল না।”