রোহিত শর্মা। —ফাইল চিত্র।
রোহিত শর্মাকে কখনও সতীর্থদের পরামর্শ দিতে শোনা যায়। আবার ভারতীয় দলের অধিনায়ক কখনও ধমক দেন কোনও সতীর্থকে। স্টাম্প মাইক্রোফোনে ধরা পড়ে যায় সে সব কথা। অনেক সময় ভাইরালও হয়। কেন এত রেগে যান? এক সাক্ষাৎকারে জবাব দিয়েছেন রোহিত।
কেন এমন হয় বার বার? কিছু দিন আগে উত্তর দিয়েছিলেন রোহিত। তিনি বলেছিলেন, ‘‘অধিনায়ক হওয়ার পর থেকে বেশির ভাগ সময় স্লিপে ফিল্ডিং করি। কারণ স্লিপ থেকে পুরো মাঠটা ভাল করে দেখা যায়। স্লিপে দাঁড়িয়ে কিছু নির্দেশ দিলে স্টাম্প মাইক্রোফোনে সে সব ধরা পড়ে যায়।’’
সতীর্থরা কি তাঁর কথা শোনেন না? সে জন্যই কি মাঠে এত কথা বলতে হয় তাঁকে? একদমই তেমন নয়। রোহিত বলেছেন, ‘‘মাঠে তরুণদের সামলাতে আমার বেশ ভাল লাগে। উপভোগ করি। হয়তো আমার কিছু কথা শোনা যায়। তবে সেগুলো কাউকে আঘাত করার জন্য বলি না। শুধু নিশ্চিত করতে চাই, সবাই ঠিক ভাবে নিজের কাজটা করবে এবং দলের কথা ভেবে খেলবে। দলের সবাই কথা শোনে। এই ব্যাপারে আমি সন্তুষ্ট। আমরা এক সঙ্গে প্রচুর ম্যাচ খেলি। ওদের সঙ্গ দারুণ উপভোগ করি আমি। আসলে যাই বলি, সেটাই স্টাম্প মাইক্রোফোনে ধরা পড়ে যায়।’’
ইংল্যান্ডের বিরুদ্ধে পাঁচ ম্যাচের টেস্ট সিরিজ়ে তরুণ সতীর্থদের পারফরম্যান্সের প্রশংসা করেছেন ভারতীয় দলের অধিনায়ক। রোহিত বলেছেন, ‘‘পাঁচ টেস্টের সিরিজ় সব সময় বেশ কঠিন। দেড় বা দু’মাসে আমাদের প্রচুর চ্যালেঞ্জ সামলাতে হয়। একটা কঠিন পরিস্থিতির মধ্যে দিয়ে যেতে হয় সবাইকে। পাঁচ টেস্টের সিরিজ় একটা অন্য রকম অভিজ্ঞতা। বিশেষ করে ইংল্যান্ডের মতো দল বিপক্ষে থাকলে। এমন সিরিজ় কখনও সহজ হয় না। এটা আমাদের জানা। সিরিজ়ের শেষ পর্যন্ত আমরা নিজেদের সেরাটা দেওয়ার চেষ্টা করি। আমি বলতে পারি আমাদের চেষ্টায় কোনও খামতি থাকে না। পাঁচ বারের চার বারই আমরা সেরাটা দিতে পারি। যে ভাবে আমরা ইংল্যান্ড সিরিজ়টা খেলেছি, তাতে আমি খুব সন্তুষ্ট।’’ তিনি আরও বলেছেন, ‘‘অধিনায়ক হিসাবে আমাকে অনেক কিছু নিয়ে ভাবতে হয়। আমাদের কী কী করতে হবে, কী ভাবে প্রতিপক্ষের খেলোয়াড়দের থামাব, প্রতিপক্ষকে কী ভাবে চাপে ফেলব— এমন নানা কিছু। তাই মাঠে আমরা অনেক কথাও বলি। আমি ভাগ্যবান কারণ আমার চারপাশে দুর্দান্ত কিছু কোচিং স্টাফ আছে। যারা আমাকে সব সময় সাহায্য করে। পরামর্শ দেয়।’’
দলের তরুণ সদস্যদের নিয়েও খুশি ভারতীয় দলের অধিনায়ক। রোহিত জানিয়েছেন, অধিনায়ক হিসাবে সব সতীর্থের শক্তি এবং দুর্বলতার জায়গাগুলি বোঝার চেষ্টা করেন। তাতে দল পরিচালনা করতে সুবিধা হয়। এ ব্যাপারে কোচ রাহুল দ্রাবিড়ের সঙ্গেও আলোচনা করেন।