(বাঁদিকে) নীরজ চোপড়া এবং আরশাদ নাদিম। —ফাইল চিত্র।
মন ভাল নেই টোকিয়ো অলিম্পিক্সে সোনাজয়ী অ্যাথলিট নীরজ চোপড়ার। একই সঙ্গে তিনি কিছুটা বিস্মিতও। নিজের কোনও কারণে নয়। তাঁর মন ভাল নেই অন্যতম প্রধান প্রতিপক্ষ পাকিস্তানের আরশাদ নাদিমের জন্য। কারণ আন্তর্জাতিক প্রতিযোগিতায় ভাল ফল করার মতো একটাও আধুনিক জ্যাভলিন নেই নাদিমের কাছে। তাঁর দুর্দশায় বিস্মিত নীরজ।
আগামী ২৬ জুলাই থেকে শুরু হবে প্যারিস অলিম্পিক্স। এ বারও পুরুষদের জ্যাভলিন থ্রোয়ে সোনার পদক জয়ের অন্যতম দাবিদার ভারতের নীরজ। ফর্মে থাকলে তাঁর আশায় জল ঢালতে পারেন পাকিস্তানের নাদিম। জুনিয়র পর্যায় থেকেই নীরজকে বিভিন্ন প্রতিযোগিতায় কড়া চ্যালেঞ্জ জানিয়েছে এসেছেন পাকিস্তানের অ্যাথলিট। তাঁর কাছে আধুনিক জ্যাভলিন না থাকার অর্থ, নীরজের সোনা ধরে রাখার লড়াই কিছুটা হলেও সহজ হবে। অথচ আনন্দিত হওয়ার পরিবর্তে নীরজের মন কিছুটা হলেও খারাপ।
কয়েক দিন আগে নাদিম বলেছিলেন, ‘‘আমার জ্যাভলিনটার অবস্থা বেশ খারাপ। ওটা দিয়ে আর কিছু হওয়ার নয়। ২০১৫ সালে আন্তর্জাতিক খেলোয়াড়জীবন শুরু করার আগে কিনেছিলাম। আমার সব বড় সাফল্যে সঙ্গী সেটাই। কিন্তু প্যারিস অলিম্পিক্সের আগে নতুন জ্যাভলিন প্রয়োজন।’’ আধুনিক জ্যাভলিন কেনার মতো আর্থিক সঙ্গতি নেই বলেও জানিয়েছিলেন তিনি।
প্রতিদ্বন্দ্বী নাদিমের আক্ষেপের কথা শুনেছেন নীরজ। মাঠের প্রতিপক্ষ হলেও নাদিম তাঁর ঘনিষ্ঠ বন্ধুও। তাই পাক জ্যাভলিন থ্রোয়ারের পরিস্থিতি শুনে কিছুটা বিস্মিত নীরজ। ভারতের বিশ্বজয়ী অ্যাথলিট বলেছেন, ‘‘নাদিমের জ্যাভলিন কেনার অবস্থা নেই, এটা মেনে নেওয়া যায় না। নাদিম একজন চ্যাম্পিয়ন। কয়েকটা বিজ্ঞাপনে ওকে দেখা যায়। সেখান থেকে নিশ্চিত ভাবে কিছু আয় হয় ওর। তার পরেও যদিও ওর সমস্যা থেকে থাকে, তা হলে ওর দেশের সরকার কিছু সাহায্য করতে পারে। যেমন আমি আমার দেশের সরকারের কাছ থেকে সাহায্য পাই।’’ নীরজ আরও বলেছেন, ‘‘নাদিম বিশ্বের অন্যতম সেরা জ্যাভলিন থ্রোয়ার। জ্যাভলিন প্রস্তুতকারী কোনও সংস্থা ওকে সাহায্য করার জন্য এগিয়ে আসতে পারে। ওর যেমন জ্যাভলিন প্রয়োজন, তেমন একটা দিতেই পারে।’’
২৭ বছরের পাক অ্যাথলিটের সেরা ফল ৯০.১৮ মিটার। এত দূরে জ্যাভলিন নীরজ এখনও ছুড়তে পারেননি। টোকিয়ো অলিম্পিক্সে সোনা জয়ীর সেরা ফল ৮৯.৯৪ মিটার। ২০২২ কমনওয়েলথ গেমসে নীরজের অনুপস্থিতিতে সোনা জিতেছিলেন নাদিম।