দীনেশ কার্তিক। ছবি: পিটিআই
দীনেশ কার্তিকের অভাবনীয় উত্থান দেখে বিস্মিত রিকি পন্টিংও। আইসিসি-কে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে তিনি প্রাক্তন অস্ট্রেলীয় অধিনায়ক বলেছেন, ‘‘আমরা সকলেই ধরে নিয়েছিলাম, দীনেশের কেরিয়ার শেষ। সম্ভবত সব ধরনের ক্রিকেটেই ওর জন্য দরজা বন্ধ হয়ে গিয়েছে বলে সবাই ভাবছিল। আইপিএলে কেকেআর-ও ধরে রাখতে চায়নি ওকে।’’ যোগ করেছেন, ‘‘এখন সেই কার্তিকই টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটে দুনিয়ার সেরা ফিনিশারদের এক জন। যা হয়তো ও নিজেও ভাবেনি। আমিও ভেবেছিলাম, ওর ক্রিকেটজীবন নিশ্চয়ই শেষ। তাই কমেন্ট্রি বক্সে ঢুকে পড়েছে।’’ রাখঢাক না রেখে এক পন্টিং বলে ফেলছেন, ‘‘আমি খুশি এবং অবাকও হয়েছি ওর এমন অবিশ্বাস্য প্রত্যাবর্তন দেখে। গত কয়েক মাসে নিজের ক্রিকেটজীবনকে সম্পূর্ণ ঘুরিয়ে দিয়েছে ও।’’
পন্টিং মনে করছেন, বয়সকে হার মানিয়ে কার্তিক এমন ভেল্কি দেখিয়েছেন যে, ভারতীয় দলের পরিচালকেরা তাঁকে বিশ্বকাপের স্কোয়াডে না রেখে পারেননি। ‘‘এই বয়সে এমন সব ইনিংস খেলা মোটেও সহজ নয়। বয়স বেড়ে যাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে নিজেকে উন্নত করা খুবই কঠিন। আমি ভারতীয় ক্রিকেটারদের সম্পর্কে একটা কথা নিশ্চিত করে বলতে পারি। ওরা কখনও হাল ছাড়ে না। কার্তিককে দেখে সেটা আবার মনে হয়েছে।’’ এর পরেই অস্ট্রেলিয়ার প্রাক্তন বিশ্বকাপজয়ী তারকার মন্তব্য, ‘‘দীনেশ ওর অসাধারণ ক্রিকেটের মাধ্যমেই ভারতীয় দলকে বাধ্য করেছে ওর কথা ভাবতে। এমন সব ইনিংস ও খেলেছে যে, ওকে বাদ দেওয়া সম্ভবই হয়নি।’’
এ বছরের আইপিএল থেকেই দুর্দান্ত প্রত্যাবর্তন ঘটিয়েছেন ৩৭ বছরের কার্তিক। রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স ব্যাঙ্গালোরের হয়ে ১৮০-র উপরে স্ট্রাইক রেট রেখে ফিনিশার হিসেবে দুর্দান্ত সাফল্য পান তিনি। তার পরে ভারতীয় দলের হয়ে সেই সাফল্য ধরে রাখেন। তার জেরেই বিশ্বকাপের দলে তাঁকে না রেখে পারেননি নির্বাচকেরা এবং রাহুল দ্রাবিড়ের টিম ম্যানেজমেন্ট। এমনকি, ঋষভ পন্থকে বসিয়ে কার্তিককে খেলানো হচ্ছে। পন্টিং বলছেন, ৩৭ বছর বয়সে স্বপ্নের ফর্মে থাকতে খুব বেশি ক্রিকেটারকে দেখা যায় না।