গুজরাতের বিরুদ্ধে আগ্রাসী মেজাজে বেঙ্গালুরু অধিনায়ক মন্ধানা। ছবি: বিসিসিআই।
মহিলাদের প্রিমিয়ার লিগে গুজরাত জায়ান্টসকে ৮ উইকেটে হারাল রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স ব্যাঙ্গালোর। মঙ্গলবারের ম্যাচে প্রথমে ব্যাট করে ৭ উইকেটে ১০৭ রান করে বেথ মুনির দল। জবাবে ১২.৩ ওভারে ২ উইকেটে ১১০ রান তুলে নেন স্মৃতি মন্ধানারা।
টস জিতে প্রতিপক্ষকে ফিল্ডিং করার সিদ্ধান্ত নেন মন্ধানা। প্রথমে ব্যাট করার সুযোগ পেয়েও কাজে লাগাতে পারলেন না মুনিরা। বেঙ্গালুরুর নিয়ন্ত্রিত বোলিংয়ের সামনে সুবিধা করতে পারলেন না তাঁরা। ওপেনার হার্লিন দেওল এবং ছ’নম্বরে নামা দয়ালান হেমলতা ছাড়া কেউই ব্যাট হাতে প্রতিরোধ গড়ে তুলতে পারলেন না। দেওল করেন ৩১ বলে ২২ রান। ৩টি চার মারেন তিনি। হেমলতা ২৫ বলে ৩১ রানের ইনিংস খেলে অপরাজিত থাকেন। তাঁর ব্যাট থেকে এসেছে ২টি চার এবং ১টি ছক্কা। এ ছাড়া স্নেহ রানা করেছেন ১০ বলে ১২। গুজরাতের আর কোনও ব্যাটার দু’অঙ্কের রান করতে পারেননি। মুনি (৮), ফোবে লিচফিল্ড (৫), ভেদা কৃষ্ণমূর্তি (৯), অ্যাশলে গার্ডনার (৭), ক্যাথরিন ব্রাইসেরা (৩) ব্যর্থ হয়েছেন। বেঙ্গালুরুর সফলতম বোলার সোফি মোলিনাক্স। অস্ট্রেলিয়ার বাঁহাতি স্পিনার ২৫ রানে ৩ উইকেট নিয়েছেন। ১৪ রানে ২ উইকেট ভারতের জোরে বোলার রেণুকা সিংহের।
জবাবে সহজ জয় তুলে নিলেন মন্ধানারা। দলের জয়ে ব্যাট হাতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা নিলেন বেঙ্গালুরু অধিনায়ক। ওপেন করতে নেমে ২৭ বলে ৪৩ রানের আগ্রাসী ইনিংস খেলেন তিনি। তাঁর ব্যাট থেকে এসেছে ৮টি চার এবং ১টি ছক্কা। অন্য ওপেনার সোফি ডিভাইন (৬) রান না পেলেও সমস্যা হয়নি জয়ের লক্ষ্য বড় না হওয়ায়। তিন নম্বরে নামা সব্বিনেনি মেঘনা ২৮ বলে ৩৬ রানের অপরাজিত ইনিংস খেললেন। তাঁর ইনিংসে রয়েছে ৫টি চার এবং ১টি ছয়। শেষ পর্যন্ত মেঘনার সঙ্গে ২২ গজে ছিলেন এলিস পেরি। তিনি অপরাজিত থাকেন ১৪ বলে ২৩ রান করে। ৪টি বাউন্ডারি এসেছে তাঁর ব্যাট থেকে। গুজরাতের সফলতম বোলার গার্ডনার ১৫ রানে ১ উইকেট নিয়েছেন। ২০ রানে ১ উইকেট তনুজা কানওয়ারের।
এ দিনের জয়ের ফলে ২ ম্যাচে ৪ পয়েন্ট নিয়ে শীর্ষে উঠে এলেন মন্ধানারা। হরমনপ্রীত কৌরের মুম্বই ইন্ডিয়ান্সও ২ ম্যাচে ৪ পয়েন্ট পেয়েছে। তবে নেট রান রেটে এগিয়ে রয়েছে বেঙ্গালুরু। অন্য দিকে দু’টি ম্যাচই হেরে পঞ্চম স্থানে গুজরাত।