ফাইনালে জয়ের রান রিচা ঘোষের ব্যাটে। ছবি: পিটিআই।
বিরাট কোহলিরা পারেননি। ১৬ বছর ধরে আইপিএল খেলেও ছেলেরা ট্রফি জিততে পারেননি। মেয়েদের দল দ্বিতীয় বছরেই ট্রফি এনে দিল দলকে। উইমেন্স প্রিমিয়ার লিগ (মেয়েদের আইপিএল) জিতল রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স ব্যাঙ্গালোর। আর সেই ম্যাচ জেতালেন বাংলার রিচা ঘোষ।
শিলিগুড়ির মেয়ে রিচা। গত বছরও আরসিবি-র হয়ে খেলেছিলেন। এ বছর ১০ ম্যাচে ২৫৭ রান করলেন তিনি। তবে সব কিছুকে ছাপিয়ে গেল ফাইনালে রিচার চার মেরে ম্যাচ জেতানো। ট্রফি জিতে রিচা বলেন, “আমার খুব চাপ লাগছিল। ভয় করছিল। ক্রিজ়ের উল্টো দিকে থাকা এলিস পেরি আমাকে সাহায্য করে। গত বছরটা আমাদের ভাল যায়নি। এই বছর ফাইনালে উঠলাম এবং জিতলাম। আমরা সে ভাবেই প্রস্তুতি নিয়েছিলাম। এটা অনুশীলনের ফল। সঙ্গে ঈশ্বরের আশীর্বাদ। আমরা উইকেটে বল রাখার চেষ্টা করে গিয়েছি। পর পর উইকেট নেওয়ার চেষ্টা করেছি। আর কম রানের লক্ষ্য হলে বেশির ভাগ সময় ম্যাচ শেষ ওভার পর্যন্ত গড়ায়। কখনও জিতে গিয়েছি মনোভাব আনা উচিত নয়।”
রিচার ব্যাটে এ বারে একাধিক ম্যাচ জিতেছে আরসিবি। উইকেটের পিছনেও দলকে ভরসা দিয়েছেন। বাংলার রিচার হাত ধরেই প্রথম ট্রফি পেল আরসিবি। দলের মালিক বিজয় মাল্য বলেন, “মেয়েরা ট্রফি এনে দিয়েছে। এ বার ছেলেদের পালা। অনেক বছর ধরে অপেক্ষায় রয়েছি।”
ম্যাচে প্রথমে ব্যাট করে ১১৩ রান করে দিল্লি ক্যাপিটালস। ৭ ওভারে ৬৪ রান তুলে নিয়েছিল দিল্লি। অষ্টম ওভারে বল করতে আসেন সোফি মলিনক্স। ওই ওভারেই খেলা ঘুরে যায়। প্রথম বলে শেফালি আউট হয়ে যান। তৃতীয় বলে আউট জেমাইমা রদ্রিগেজ। চতুর্থ বলে বোল্ড এলিস ক্যাপ্সি। এক ওভারে তিন উইকেট তুলে দলকে চালকের আসনে বসিয়ে দেন মলিনক্স। ওই ধাক্কা সামলাতে পারেনি দিল্লি। তার পর নিয়মিত ব্যবধানে উইকেট হারাতে থাকে তারা। রানও তুলতে পারল না বেশি। ১১৩ রানে অল আউট হয়ে গেল দিল্লি। সোফি ছাড়াও নজর কাড়েন শ্রেয়াঙ্কা পাটিল। একাই ৪ উইকেট তুলে নেন তিনি।
অল্প রানের লক্ষ্য মাথায় নিয়ে খেলতে নেমেও আরসিবি-কে লড়তে হল শেষ ওভার পর্যন্ত। মন্ধানা (৩১) এবং সোফি ডিভাইন (৩২) মিলে ৪৯ রানের জুটি গড়েন। হাতে ৮ উইকেট থাকলেও বড় শট খেলতে পারলেন না এলিস পেরি এবং রিচা ঘোষ। শেষ ওভার পর্যন্ত নিয়ে গেলেন তাঁরা ম্যাচটিকে। শেষ ওভারে জয়ের জন্য আরসিবি-র প্রয়োজন ছিল ৫ রান। তিন বল বাকি থাকতে ম্যাচ জিতে নেন মন্ধানারা।