চেতেশ্বর পুজারা। —ফাইল চিত্র।
রাজকোট টেস্টে ৫০০ উইকেট নেওয়ার দিনেই বাড়ি ফিরে যেতে হয়েছিল রবিচন্দ্রন অশ্বিনকে। পরে আবার ফিরে এসে ম্যাচ খেলেছিলেন। মাঝের ৪৮ ঘণ্টা ঝড় বয়ে গিয়েছিল অশ্বিনের পরিবারে। তাঁর মা অসুস্থ হয়ে পড়েছিলেন। আর সেই সময় অশ্বিনের স্ত্রী সাহায্য চেয়ে ফোন করেছিলেন চেতেশ্বর পুজারাকে। সেই কথাই জানালেন অশ্বিনের স্ত্রী প্রীতি।
এক সংবাদমাধ্যমে প্রীতি লেখেন তাঁর ওই দু’দিনের অভিজ্ঞতার কথা। প্রীতি লেখেন, “রাজকোট টেস্ট চলছে। আমাদের সন্তানেরা সবে স্কুল থেকে ফিরেছে। পাঁচ মিনিটের মধ্যেই ৫০০ উইকেট নেয় অশ্বিন। সঙ্গে সঙ্গে ফোন শুরু হয়ে যায়। অনেকে শুভেচ্ছা জানিয়ে ফোন করে। হঠাৎ করেই একটা চিৎকার শুনি। অশ্বিনের মা অজ্ঞান হয়ে যান। সঙ্গে সঙ্গে তাঁকে নিয়ে হাসপাতালে যাই আমরা। সেই সময় ঠিক করি যে অশ্বিনকে ফোন করব না। রাজকোট থেকে চেন্নাই আসার সরাসরি কোনও বিমান নেই।”
সেই সময় পুজারাকে ফোন করেছিলেন প্রীতি। ভারতীয় দল থেকে বাদ পড়েছেন পুজারা। তিনি দলে ছিলেন না। সেই পুজারার পরিবারই সাহায্য করেছিল প্রীতিকে। তিনি লেখেন, “অশ্বিনকে তখন পাওয়া যাবে না জেনেই আমি ফোন করেছিলাম পুজারাকে। ওর পরিবার খুব সাহায্য করেছিল ওই দিন। সব কিছু সামলে নেওয়ার পর অশ্বিনকে ফোন করেছিলাম। কারণ চিকিৎসকেরা স্ক্যান করার পর বলেছিলেন, ছেলেকে ডেকে নিতে। পাশে থাকার জন্য। আমার কাছ থেকে খবর পেয়ে অশ্বিন ভেঙে পড়েছিল। আমি ওকে বলি নিজেকে সামলে নিয়ে ২০-২৫ মিনিট পর ফোন করতে। ও কথাই বলতে পারছিল না।”
প্রীতি ধন্যবাদ জানিয়েছেন ভারতীয় দলকে। প্রীতি লেখেন, “রাহুল ভাই, রোহিত ভাই এবং পুরো দলকে ধন্যবাদ। বোর্ড এবং দলের সকলে খোঁজ নিচ্ছিল বার বার। অশ্বিন সেই রাতেই চেন্নাই চলে এসেছিল।” অশ্বিনের জন্য বিশেষ বিমানের ব্যবস্থা করে দিয়েছিল ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ড। অশ্বিন বাড়ি ফিরে দেখেছিলেন তাঁর মা আইসিইউ-য়ে রয়েছেন। পরে মা সুস্থ হলে অশ্বিন আবার টেস্ট খেলার জন্য রাজকোট ফিরে যান। মাঠেও নামেন। প্রীতির মতে অশ্বিন কখনও খেলা ছেড়ে চলে আসার মানুষ নন। সেই কারণেই মাকে দেখে আবার মাঠে ফিরে গিয়েছিলেন অশ্বিন।