রবি শাস্ত্রী। — ফাইল চিত্র।
মঙ্গলবার আয়োজিত হবে ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিসিআই) বার্ষিক পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠান। করোনার পর প্রথম বার এই প্রতিযোগিতার আয়োজন হচ্ছে। সেই প্রতিযোগিতায় জীবনকৃতি পুরস্কার পাচ্ছেন রবি শাস্ত্রী। ক্রিকেটার এবং কোচ হিসাবে তাঁর অবদানের কথা মাথায় রেখেই এই পুরস্কার তুলে দেওয়া হবে। এ ছাড়া, বর্ষসেরা ক্রিকেটারের পুরস্কার পাবেন শুভমন গিল। গত বছরের পারফরম্যান্সের কথা মাথায় রেখেই এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
মাঠ এবং মাঠের বাইরে অনেক ভূমিকায় দেখা গিয়েছে শাস্ত্রীকে। ১৯৮১-১৯৯২ পর্যন্ত ক্রিকেটজীবনে ভারতের হয়ে ৮০টি টেস্ট এবং ১৫০টি এক দিনের ম্যাচ খেলেছেন তিনি। অবসরের পর ধারাভাষ্য দিতে শুরু করেন। ২০১৪ সালে তাঁকে ভারতীয় দলের ডিরেক্টর হিসাবে নিযুক্ত করা হয়। ২০১৬ সালের টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ পর্যন্ত সেই পদে ছিলেন তিনি।
এর পর কোচ হিসাবে ২০১৭ সালে আবার দায়িত্বে ফেরেন তিনি। তৎকালীন অধিনায়ক বিরাট কোহলির সঙ্গে দারুণ সম্পর্ক গড়ে তোলেন। তাঁর কোচিংয়ে ভারতীয় ক্রিকেটের রূপান্তর হয়। বিদেশের মাটিতে দাপট দেখিয়ে খেলতে শুরু করে তারা। প্রতিটি ম্যাচেই হাল না ছাড়া মনোভাব নিয়ে নামতেন কোহলিরা। তাঁর কোচিংয়ে ২০১৯ বিশ্বকাপের সেমিফাইনালে ওঠে ভারত। অস্ট্রেলিয়ায় গিয়ে দু’বার টেস্ট সিরিজ় জেতে। প্রথম বার বিশ্ব টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের ফাইনালেও ওঠে। টেস্ট ক্রিকেটে তারাই এক নম্বর দল হয়। তবে শাস্ত্রী এবং কোহলির জুটি ভারতকে আইসিসি ট্রফি জেতাতে পারেনি।
ক্রিকেটার হিসাবে শাস্ত্রী খারাপ খেলেননি। বাঁ হাতি স্পিনার এবং টেলএন্ডার হিসাবে শুরু করলেও পরে পুরোদস্তুর অলরাউন্ডার হয়ে ওঠেন। ওয়েস্ট ইন্ডিজ় এবং অস্ট্রেলিয়ায় শতরান রয়েছে। চোটের কারণে ক্রিকেটজীবন আরও বেশি এগোতে পারেননি।