বাংলা দলের কোচ যদিও আশা ছাড়ছেন না। বললেন, ‘‘শেষ বার রাজস্থানের বিরুদ্ধে আমরা তিনশো রানের বেশি তাড়া করে জিতেছিলাম। এই ম্যাচ জিততে গেলে ব্যাটারদের সেরা ইনিংস খেলতে হবে।’’
প্রতীকী ছবি।
রঞ্জি ট্রফি মরসুমের প্রথম ম্যাচে বরোদার বিরুদ্ধে বড় রান করে ভাল জায়গায় পৌঁছে যাওয়ার সুযোগ ছিল বাংলার কাছে। ১৮১ রানে ক্রুণাল পাণ্ড্যদের অলআউট করার পরের দিন বাংলার ইনিংসও শেষ হয়ে গেল ৮৮ রানে। উইকেটে থিতু হয়ে যে বড় ইনিংস সাজাবেন, সেই দায়িত্বই নিতে পারলেন না কোনও ব্যাটার। দ্বিতীয় দিনের শেষে দ্বিতীয় ইনিংসে পাঁচ উইকেট হারিয়ে বরোদার রান ১৪৪। তারা এগিয়ে ২৩৭ রানে।
গত বার বাংলার ফাইনালে ওঠার নেপথ্যে সবচেয়ে বড় অবদান ছিল বোলারদের। ব্যাটিং বিভাগে ধারাবাহিক রান করতেন অনুষ্টুপ মজুমদার ও শাহবাজ় আহমেদ। উপরের সারির ব্যাটারদের ব্যর্থতা ছিল অব্যাহত। যে সমস্যার সমাধান এই মরসুমেও হয়নি বলেই মনে হচ্ছে। প্রথম দিনের শেষে অভিমন্যু ঈশ্বরনের উইকেট হারায় বাংলা। ২৪ রানে প্রথম দিন শেষ করার পরে কোচ অরুণ লাল বলেছিলেন, ‘‘উইকেট এখন একেবারেই সহজ হয়ে গিয়েছে। বড় রান তুলতে সমস্যা হবে না আমাদের ব্যাটারদের। সকালের এক ঘণ্টা খেলে দিতে পারলেই বড় রান করে ফেলতে পারব।’’ কিন্তু সকালের এক ঘণ্টাতেই সুদীপ ঘরামি (২১), সুদীপ চট্টোপাধ্যায় (১১), অনুষ্টুপ (০) ও মনোজ তিওয়ারির (০) উইকেট হারায় বাংলা। সেই জায়গা থেকে দলের ব্যাটিংয়ের হাল ধরতে চেষ্টা করেন নবাগত অভিষেক পোড়েল ও শাহবাজ়। ২১ রান যোগ করে এই জুটি। ১৯ বলে ২১ রান করার পরে অতীত শেঠের শিকার হন পোড়েল। বরোদার হয়ে অতীতই নেন পাঁচ উইকেট। তিন উইকেট লুকমান মেরিওয়ালার। এক উইকেট অভিমন্যু সিংহের। ঋত্বিক চট্টোপাধ্যায় ফিরে যান রান-আউট হয়ে।
বাংলার হয়ে সুদীপ, অভিষেকের পাশাপাশি শাহবাজ় ২০ রানের গণ্ডি ছুঁতে পেরেছেন। বাকিরা উইকেটে কিছুটা সময়ও কাটাতে পারেননি। কোচ অরুণ লাল হতাশ। বলছিলেন, ‘‘এ ভাবে ব্যাটিং করলে আমার কী কিছু বলার থাকতে পারে! উইকেট এমন কিছু ছিল না যে, প্রথম এক ঘণ্টার মধ্যেই পাঁচ উইকেট হারাতে হবে। কোনও একজন উইকেটে দাঁড়িয়ে গেলেই ওদের থেকে রানে এগিয়ে যেতে পারতাম। সাহসই দেখাতে পারল না কেউ। জেতার বিশ্বাস থাকলে এ ভাবে কেউ ব্যাটিং করে না।’’
বাংলা দলের কোচ যদিও আশা ছাড়ছেন না। বললেন, ‘‘শেষ বার রাজস্থানের বিরুদ্ধে আমরা তিনশো রানের বেশি তাড়া করে জিতেছিলাম। এই ম্যাচ জিততে গেলে ব্যাটারদের সেরা ইনিংস খেলতে হবে।’’
সংক্ষিপ্ত স্কোর: বরোদা ১৮১ বনাম বাংলা ৮৮ (অতীত ৫-৪৪),
বরোদা ১৪৪-৫।