সাকিবুল গনি। —ফাইল ছবি
প্রথম শ্রেণির অভিষেক ম্যাচেই বিশ্বরেকর্ড। ক্রিকেট বিশ্বকে চমকে দিলেন বিহারের ব্যাটার সাকিবুল গনি। ইতিহাসের সাক্ষী থাকল শহর কলকাতা। করোনা অতিমারির পর প্রথম শ্রেণির ক্রিকেট শুরু হওয়ার দ্বিতীয় দিনেই ইতিহাসে নিজের নাম লিখে ফেললেন সাকিবুল।
বিসিসিআই সভাপতি সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়ের শহরে রাজকীয় ইনিংস বিহারের ২২ বছরের তরুণের। মোতিহারের বাসিন্দা সাকিবুল আগেও ক্লাব স্তরের ক্রিকেটে দ্বিশতরান করেছেন। সল্টলেকের যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের মাঠে শুক্রবার তাঁর ব্যাট থেকে এল ত্রিশতরান। পাঁচ নম্বরে ব্যাট করতে নেমে করলেন ৩৪১ রান। ৪০৫ বলের ইনিংসে রয়েছে ৫৬টি চার, দু’টি ছয়। স্ট্রাইক রেট ৮৪.২০। এটুকু পরিসংখ্যান থেকেই পরিস্কার, মিজোরামের বোলারদের ব্যাট হাতে কেমন শাসন করেছেন সাকিবুল।
প্রথম শ্রেণির ক্রিকেটে এর আগের বিশ্বরেকর্ডও ছিল ভারতেরই দখলে। ২০১৮-১৯ মরসুমে মধ্যপ্রদেশের ব্যাটার অজয় রোহেরা হায়দরাবাদের বিরুদ্ধে করেছিলেন অপরাজিত ২৬৭ রান। সেই বিশ্বরেকর্ডই এ দিন ভেঙে গেল সাকিবুলের ব্যাটে। এমন কিছু ঘটতে পারে ম্যাচের আগে ভাবেননি সাকিবুল। খেলার নিয়মে এই বিশ্বরেকর্ড ভবিষ্যতে ভেঙে যেতেই পারে। তবু প্রথম শ্রেণির ক্রিকেটের অভিষেক ম্যাচে প্রথম ত্রিশতরানকারী হিসেবে সাকিবুলের নাম মুছবে না কোনও দিন।
চতুর্থ উইকেটে বাবুল কুমারের সঙ্গে এ দিন ৩৯৯ রানের জুটি গড়েন সাকিবুল। দুর্দান্ত ব্যাট করেছেন বাবুলও। তাঁর ৩৯৮ বলে করা ২২৯ রানের ইনিংস স্রেফ ঢাকা পড়ে গিয়েছে সাকিবুলের দাপটের সামনে। দিনের শেষে ৫ উইকেটে ৬৮৬ রান করে ইনিংস ডিক্লেয়ার করে দিয়েছে বিহার। সাকিবুল-বাবুল যখন শুরু করেন, তখন বিহারের রান ছিল ৩ উইকেটে ৭১।
এখনও পর্যন্ত লিস্ট এ-র ১৪ ম্যাচে ৩৭৭ রান করেছেন সাকিবুল। মোতিহারের মধ্যবিত্ত পরিবারের ছেলে সাকিবুলের ক্রিকেটের প্রতি আগ্রহ ছোট থেকেই। লক্ষ্য দেশের প্রতিনিধিত্ব করা। আক্রমণাত্মক ব্যাটিংই পছন্দ এই ডান হাতির। ভালবাসেন বোলারকে শাসন করতে। সামনে যে বোলারই থাকুন, তা নিয়ে বিশেষ ভাবেন না। আপাতত লক্ষ বিহারকে রঞ্জির প্লেট গ্রুপ থেকে এলিট গ্রুপে তোলা।