সন্দীপ সিংহ। ছবি: সংগৃহীত।
যুবককে নেশামুক্তি কেন্দ্রে রাখা হয়েছিল নেশা ছাড়ানোর জন্য। পরিবার আশা করেছিল, শীঘ্রই নতুন ভাবে জীবন শুরু করতে পারবে ছেলে। কিন্তু সেই নেশামুক্তি কেন্দ্রেই রহস্যজনক ভাবে মৃত্যু হয় কলকাতার চেতলার বাসিন্দা সন্দীপ সিংহের। নেশামুক্তি কেন্দ্রের বিরুদ্ধে অভিযোগ করে নরেন্দ্রপুর থানায় গেল পরিবার। রবিবার অভিযোগের প্রেক্ষিতে হোম কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ। কিন্তু ওই নেশামুক্তি কেন্দ্র তালাবন্ধ। পাওয়া যায়নি হোম কর্তৃপক্ষের কারও দেখা।
২০ বছরের সন্দীপকে তাঁর পরিবার নিয়ে গিয়েছিল রাজপুর-সোনারপুর পুরসভার ২৮ নম্বর ওয়ার্ডের ফরতাবাদ এলাকায় ‘আরোগ্য নিকেতন’ নামে একটি নেশামুক্তি কেন্দ্রে। ওই হোমে বেশ কয়েক জনকে রেখে চিকিৎসা করা হচ্ছিল। সন্দীপের পরিবার এবং পুলিশ সূত্রে খবর, গত ৭ই এপ্রিল সকালে যুবকের মৃত্যুসংবাদ মেলে। নেশামুক্তি কেন্দ্রেই মারা যান তিনি। পরিবারের অভিযোগ, যুবককে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়াই হয়নি। তা ছাড়া কী ভাবে সন্দীপের মৃত্যু হল, তা নিয়ে ধন্দে পরিবার। তারা হোম কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে গাফিলতির অভিযোগ এনেছে। মৃতের বাবার দাবি, তাঁর ছেলেকে খুন করা হয়েছে।
পুলিশ সূত্রে খবর, ওই হোমে অন্তত ১২ জন আবাসিক ছিলেন। মৃতের বাবা সন্তু সিং বলেন, ‘‘হোমের ম্যানেজার সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায়, সায়ক বন্দ্যোপাধ্যায়-সহ জনৈক বাবলু এবং সমীরের নামে থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছি।’’ পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, অভিযোগের ভিত্তিতে তদন্ত শুরু করে দিয়েছে পুলিশ। তবে ওই হোমে গিয়ে দেখা যায় সেটি বন্ধ। তালা লাগানো রয়েছে মূল ফটকে। আবাসিকদের বাড়ি পাঠিয়ে দেওয়া হয়েছে। হোম কর্তৃপক্ষের কারও দেখা মেলেনি। তাঁদের খোঁজ চলছে বলে জানিয়েছেন নরেন্দ্রপুর থানার এক পুলিশ আধিকারিক।