শতরানের পর উচ্ছ্বাস অভিষেক শর্মার। ছবি: রয়টার্স।
পঞ্জাব কিংসের বিরুদ্ধে ১৪১ রান। তবুও খুশি নন অভিষেক শর্মার বাবা রাজকুমার শর্মা। আইপিএলের ইতিহাসে তৃতীয় সর্বোচ্চ শতরানটি অভিষেকের। কিন্তু তাঁর বাবা সন্তুষ্ট নন বলেই জানিয়েছেন তিনি।
অভিষেকের বাবা চেয়েছিলেন, তাঁর ছেলে ম্যাচ শেষ করে ফিরুক। কিন্তু ১৪১ রান করে আউট হয়ে যান অভিষেক। সেই কারণেই তাঁর বাবা খুশি হতে পারেননি। অভিষেক বলেন, “আইপিএলে এটা মনে হয় আমার সবচেয়ে বেশি রানের ইনিংস। কিন্তু বাবা সব সময় বলে ম্যাচ শেষ করে ফিরতে। তাই বাবা এখনও সন্তুষ্ট নয়। উন্নতির সুযোগ সব সময় রয়েছে। আমি আরও পরিশ্রম করব।”
অভিষেক জানিয়েছেন, তাঁর বাবা অনূর্ধ্ব-১৪ প্রতিযোগিতা থেকে ছেলের খেলা দেখতে মাঠে আসেন। পঞ্জাবের বিরুদ্ধে শতরানকারী বলেন, “এই শতরানটা আমার কাছে বাকি ইনিংসের থেকে আলাদা। অনূর্ধ্ব-১৪ প্রতিযোগিতা থেকে বাবা আমার খেলা দেখতে আসছে। পুরো ইনিংসে বাবা আমাকে ইঙ্গিত করছিল কী ধরনের শট খেলা উচিত। বাবা আমার প্রথম কোচ। বাবা-মায়ের সামনে এই শতরান সত্যিই আমার কাছে বাকি সব ইনিংসের থেকে আলাদা।”
ম্যাচের আগে রাজকুমার তাঁর ছেলের সঙ্গে কথা বলেছিলেন। অভিষেকের বাবা বলেন, “আমি যে কতটা খুশি, সেটা বলে বোঝাতে পারব না। অভিষেককে উৎসাহ দিয়েছি। খারাপ ফর্ম নিয়ে ভাবতে বারণ করেছি। কিছু ক্ষেত্রে ওর ভাগ্য খারাপ ছিল। দ্বিতীয় ম্যাচে তো রান আউট হয়ে গিয়েছিল। এখন ও আত্মবিশ্বাস ফিরে পেয়েছে। দলকে জিতিয়েছে। আশা করি আগামী দিনে ও ভাল খেলবে এবং দলকে জেতাবে। সকালেই বলছিল যে, দলকে জেতাতে চায়।”
ছোটবেলা থেকে ছেলের খেলা দেখতে মাঠে গেলেও আইপিএলে প্রথম বার মাঠে ছিলেন রাজকুমার। তিনি বলেন, “আমার খুবই কুসংস্কার আছে। ভাবতাম আমি খেলা দেখতে এলে অভিষেক রান পাবে না। পঞ্জাব কিংসের বিরুদ্ধেও যখন অভিষেক নো বলে আউট হয়েছিল। ৩০ সেকেন্ডের জন্য আমি নিজেকে দায়ী করছিলাম। তার পর যদিও একের পর এক ছক্কা মারতে থাকে।”
হায়দরাবাদ পর পর চারটি ম্যাচ হেরে গিয়েছিল। রান পাচ্ছিলেন না অভিষেক। মাকে বলেছিলেন তাঁর সঙ্গে থাকতে। বাবা প্রথমে যেতে চাননি। রাজকুমার বলেন, “আমাদের টিকিট কেটে দিয়েছিল ও। যাব কি না ভাবছিলাম। অভিষেক ফোন করে আমাকে রাজি করায় হায়দরাবাদ আসার জন্য।” অভিষেকের মা মঞ্জু মনে করেন, এ বার হায়দরাবাদের জন্য সব কিছু ভাল হবে। মঞ্জু বলেন, “সবাই খুব খুশি। আমিও খুশি। পুরো হায়দরাবাদ উৎসব করছিল ওরা জেতায়। শুরুতে একটু খারাপ সময় ছিল। এ বার সব ভাল হবে।”