বাকি চার উইকেট নিতেও খুব বেশি সময় নেননি মুকেশ কুমাররা। চা-বিরতির আগেই শেষ হায়দরাবাদ। তাদের হয়ে দ্বিতীয় ইনিংসে প্রায় একা লড়াই করলেন তিলক। ৯০ রান করেন তিনি। বাংলার হয়ে আকাশ দীপ নিয়েছেন চার উইকেট। শাহবাজ নিয়েছেন তিনটি। দুই উইকেট পেয়েছেন মুকেশ এবং একটি উইকেট নিয়েছেন ঈশান পোড়েল। ১৬৬ রানে শেষ হায়দরাবাদের দ্বিতীয় ইনিংস।
—ফাইল চিত্র
রঞ্জির নক আউট পর্বে যাওয়ার পথ মসৃণ করল বাংলা। হায়দরাবাদকে হারিয়ে দুই ম্যাচে ১২ পয়েন্ট তুলে নিল অরুণ লালের দল। এলিট গ্রুপ বি-তে শীর্ষে চলে এল তারা। শেষ ম্যাচে বাংলা মুখোমুখি হবে চণ্ডীগড়ের। রবিবার হায়দরাবাদকে ৭২ রানে হারিয়ে দিলেন ঈশান পোড়েল, মুকেশ কুমার, আকাশ দীপরা।
রবিবার বাংলার বোলারদের দিকে তাকিয়ে ছিল বঙ্গক্রিকেট মহল। শনিবার শেষ বেলায় তিন উইকেট তুলে বাংলাকে লড়াইয়ে রেখেছিলেন তিন পেসার। রবিবার প্রথম বলেই উইকেট নেন আকাশ দীপ। তিনি ফিরিয়ে দেন হিমালয় অগ্রবালকে। এর পর তিলক বর্মা এবং প্রতীক রেড্ডি ৪২ রানের জুটি গড়েন। সেই জুটি ভেঙে দেন শাহবাজ আহমেদ। ব্যাটে বলে বাংলা দলের সম্পদ হয়ে উঠেছেন এই অলরাউন্ডার। এই ম্যাচেও সেরা ক্রিকেটারের পুরস্কার পেলেন তিনি। মধ্যাহ্নভোজের আগেই সাজঘরে ফিরে যান বুদ্ধি রাহুলও। ছয় উইকেট হারিয়ে তখনই ধুঁকছিল হায়দরাবাদ।
বাকি চার উইকেট নিতেও খুব বেশি সময় নেননি মুকেশ কুমাররা। চা-বিরতির আগেই শেষ হায়দরাবাদ। তাদের হয়ে দ্বিতীয় ইনিংসে প্রায় একা লড়াই করলেন তিলক। ৯০ রান করেন তিনি। বাংলার হয়ে আকাশ দীপ নিয়েছেন চার উইকেট। শাহবাজ নিয়েছেন তিনটি। দুই উইকেট পেয়েছেন মুকেশ এবং একটি উইকেট নিয়েছেন ঈশান পোড়েল। ১৬৬ রানে শেষ হায়দরাবাদের দ্বিতীয় ইনিংস।
এই জয়ের ফলে নক আউট পর্বের রাস্তা অনেকটাই পরিষ্কার হয়ে গেল বাংলার জন্য। বরোদার পর হায়দরাবাদকে হারিয়ে তাদের এখন ১২ পয়েন্ট। চণ্ডীগড় এবং বরোদা ম্যাচ ড্র হওয়ার পথে। তাই পয়েন্টের বিচারে কিছুটা এগিয়ে গেল বাংলা। শেষ ম্যাচে যদিও চণ্ডীগড়ের বিরুদ্ধে জেতাই প্রধান লক্ষ্য হবে বাংলা দলের। না জিততে পারলে তখন, পয়েন্ট এবং নেট রান রেটের হিসাব কষতে বসতে হবে অরুণ লালের দলকে। তা নিশ্চয়ই চাইবেন না অভিমন্যু ঈশ্বরণরা।