অভিমন্যুর জায়গায় বাংলাকে নেতৃত্ব দিচ্ছেন মনোজ তিওয়ারি। ছবি: সিএবি
বোলারদের দাপটে শুরুটা ভালই করেছিল বাংলা। ইডেনে রঞ্জির প্রথম ম্যাচ খেলতে নেমে ১৯৮ রানে উত্তরপ্রদেশের ১০ উইকেট তুলে নেন ঈশান পোড়েলরা। মনে হয়েছিল বাংলা প্রথম দিনেই ম্যাচে চালকের আসনে। কিন্তু শেষ বেলায় ব্যাট করতে নেমে চেনা মাঠেই ছন্দহীন বাংলার ব্যাটিং। ২৯ রানে ৪ উইকেট হারিয়ে বেশ বেকায়দায় বাংলা।
উত্তরপ্রদেশের বিরুদ্ধে দলে নেই বাংলার অধিনায়ক অভিমন্যু ঈশ্বরন। তিনি সুযোগ পেয়েছেন ভারতীয় দলে। অভিমন্যুর জায়গায় বাংলাকে নেতৃত্ব দিচ্ছেন মনোজ তিওয়ারি। টস জিতে তিনি প্রথমে বল করার সিদ্ধান্ত নেন। মনোজের সিদ্ধান্ত যে ভুল ছিল না তা প্রমাণ করে দেন গুটি বসন্ত সারিয়ে দলে ফেরা ঈশান। একাই ৫ উইকেট নেন চন্দননগরের পেসার। নতুন বলে তাঁর সঙ্গী ছিলেন প্রীতম চক্রবর্তী। ৮ বছর আগে বাংলার হয়ে অভিষেক হয়েছিল তাঁর। সেই সময় বাংলার অধিনায়ক ছিলেন লক্ষ্মীরতন শুক্ল। এখন যিনি বাংলার কোচ। সেই প্রীতম এ দিন ৩ উইকেট নেন। চোটের কারণে মুকেশ কুমার খেলতে পারেননি। তাঁর অভাব বুঝতেই দেননি প্রীতম। ২০১৪ সালে অভিষেক হলেও প্রীতম বাংলার হয়ে খেলেছিলেন মাত্র দু’টি ম্যাচ। সেই প্রীতম এবং ঈশান মিলেই উত্তরপ্রদেশের ৮ উইকেট তুলে নেন। বাকি দু’টি উইকেট নেন শাহবাজ় আহমেদ।
উত্তরপ্রদেশের হয়ে প্রিয়ম গর্গ এবং রিঙ্কু সিংহ অর্ধশতরান করেন। কলকাতা নাইট রাইডার্সের হয়ে খেলেন রিঙ্কু। ইডেনের মাঠ তাঁর কাছে পরিচিত। সেই মাঠে ৭৯ রানের গুরুত্বপূর্ণ ইনিংস খেলেন রিঙ্কু। ৫৩ রান করেন প্রিয়ম। আর কেউই সে ভাবে রান করতে পারেননি। ১৯৮ রানেই শেষ হয়ে যায় উত্তরপ্রদেশ।
অল্প রানে বিপক্ষের সব উইকেট তুলে নিয়েও তাদের চাপে ফেলতে পারেনি বাংলা। ব্যাট করতে নেমে শুরু থেকেই উইকেট হারাতে থাকে তারা। অভিমন্যু না থাকায় এই ম্যাচে ওপেন করতে নেমেছিলেন অভিষেক দাস এবং কৌশিক ঘোষ। দু’জনেই ব্যর্থ। অভিষেক করেন ৮ রান। কৌশিক রানই পাননি। তিন নম্বরে নেমে সুদীপ কুমার ঘরামিও রান পাননি। ১ রান করে সাজঘরে ফেরেন অনুষ্টুপ মজুমদার। নৈশপ্রহরী হিসাবে মাঠে নেমে প্রীতম ১২ রান করে অপরাজিত। সায়ন শেখর মণ্ডল ৪ রানে অপরাজিত। মনোজ ব্যাট করতে নামেননি।
উত্তরপ্রদেশের হয়ে শিবম দুবে ৩ উইকেট নেন। তিনি কলকাতা নাইট রাইডার্সের প্রাক্তন পেসার। অঙ্কিত রাজপুত একটি উইকেট নেন। চার দিনের ম্যাচে প্রথম দিনেই ১৪ উইকেট পড়েছে ইডেনে। দ্বিতীয় দিনে বাংলা চাইবে বড় রান তুলতে। সেটা করতে হলে মনোজদের দলের ভরসা হয়ে উঠতে হবে। ম্যাচ শেষে লক্ষ্মী বলেন, “ঈশান ভাল বল করেছে। ওদের ২০০ রানের মধ্যে আটকে রাখতে পেরেছি আমরা। ব্যাট করতে নেমে আমরা ৪ উইকেট হারিয়েছি কিন্তু বিশ্বাস রাখি যে বুধবার ভাল ব্যাট করে ঘুরে দাঁড়াতে পারব।”