রাওয়ালপিণ্ডির পিচ দেখছেন বাবর আজ়ম। ছবি: আইসিসি
পাকিস্তানে টেস্ট সিরিজ় খেলতে গিয়েছে ইংল্যান্ড দল। প্রথম ম্যাচ ছিল রাওয়ালপিণ্ডিতে। যে টেস্ট ৭৪ রানে জিতে নেয় ইংল্যান্ড। দুই দল মিলে সেই টেস্টে তুলেছিল ১৭৬৮ রান। বোলারদের জন্য সেই পিচে প্রায় কিছুই ছিল না। পিচ নিয়ে অসন্তুষ্ট ছিলেন পাকিস্তানের বোর্ড প্রধানও। সেই পিচকে সাধারণ মানের থেকে নীচে বলে দিল আইসিসিও।
আইসিসির ম্যাচ রেফারি অ্যান্ডি পাইক্রফ্ট বলেন, “প্রচণ্ড পাটা পিচ ছিল। বোলাররা কোনও সাহায্য পায়নি পিচ থেকে। সেই কারণেই দুই দলের ব্যাটাররা এত রান তুলতে পেরেছে। সাধারণত ম্যাচ যত এগোয়, পিচ তত ভাঙে। কিন্তু এ ক্ষেত্রে তেমন কিছু হয়নি। যে হেতু বোলারদের জন্য কিছু ছিল না তাই এই পিচকে আইসিসির নিয়ম অনুযায়ী সাধারণের থেকে কম বলে মনে করছি।”
এর ফলে রাওয়ালপিণ্ডির দু’টি মেরিট পয়েন্ট কাটা গেল। আর যদি এমন হয় তা হলে রাওয়ালপিণ্ডিতে কোনও আন্তর্জাতিক ম্যাচ আয়োজন করতে দেবে না আইসিসি। এই পয়েন্ট যে কেটে নেওয়া হল তা ৫ বছরের জন্য থাকবে। এই সময়ের মধ্যে ৫টি পয়েন্ট কাটা গেলে এক বছরের জন্য সেই মাঠে ম্যাচ আয়োজন করা সম্ভব হবে না। উল্লেখ্য, অস্ট্রেলিয়ার বিরুদ্ধে সিরিজ়ের সময়ও রাওয়ালপিণ্ডি পিচের একটি মেরিট পয়েন্ট কাটা গিয়েছিল।
রাওয়ালপিণ্ডির উইকেট পিসিবি চেয়ারম্যানকে এক দমই সন্তুষ্ট করতে পারেনি। ক্ষুব্ধ রামিজ় বলেছিলেন, ‘‘নিয়ম মতো টেস্ট ম্যাচের উইকেট নিয়ে গোপনীয়তা বজায় রেখেছি। যদিও রাওয়ালপিণ্ডির উইকেট দেখে আমি অত্যন্ত হতাশ। গোটা ব্যাপারটাই অত্যন্ত দুর্ভাগ্যজনক। পিচ খুবই শুষ্ক ছিল। এ কারণেই আমি টেস্ট ম্যাচের জন্য ড্রপ ইন পিচের কথা বলি। মুলতান বা করাচিতেও হয়তো একই ধরনের উইকেট দেখা যাবে। এই ধরনের উইকেটে কোনও বাউন্স থাকে না। উইকেটগুলো কি কাদামাটি দিয়ে তৈরি হয়! আমরা কী ভাবে উইকেট তৈরি করি, জানি না।’’ পিসিবি চেয়ারম্যান স্বীকার করে নিয়েছেন, রাওয়ালপিণ্ডির ২২ গজ টেস্ট ক্রিকেটের পক্ষে উপযুক্ত ছিল না। বাকি দু’টি টেস্টেও দারুণ কিছু উইকেট আশা করছেন না তিনি।
দ্বিতীয় টেস্ট ছিল মুলতানে। সেই ম্যাচও জিতে নিয়েছে ইংল্যান্ড। সিরিজ়ের শেষ ম্যাচ করাচিতে। ১৭ ডিসেম্বর থেকে শুরু হবে সেই টেস্ট।