রঞ্জি ট্রফির সেমিফাইনালের পথে এগিয়ে গিয়েছে বাংলা। মনোজ তিওয়ারির নেতৃত্বে স্বপ্ন দেখছে বাংলা। —ফাইল চিত্র
শুরুতে দেখে মনে হয়েছিল দ্বিতীয় দিনেই অনেকটা এগিয়ে যাবে বাংলা। কিন্তু দিনের শেষটা অতটা ভাল হল না। প্রথম ইনিংসে ব্যাট করতে নেমে ৫ উইকেট পড়ে গিয়েছে মনোজ তিওয়ারিদের। তার পরেও রঞ্জি ট্রফিরে সেমিফাইনালে ওঠার দিকে এগিয়ে গিয়েছে বাংলা। দ্বিতীয় দিনের শেষে ঝাড়খণ্ডের থেকে ৬৫ রানে এগিয়ে রয়েছে বাংলা।
ঘরের মাঠে ব্যাট করতে নেমে শুরুটা অবশ্য ভাল হয়নি বাংলার। এই ম্যাচে নতুন ওপেনিং জুটি খেলেছিল। তরুণ কাজি জুনেইদ সৈফি মাত্র ১ রান করে আউট হয়ে যান। কিন্তু অভিমন্যু ঈশ্বরণ ভাল খেলেন। তাঁর সঙ্গে দ্বিতীয় উইকেটে ভাল খেলেন সুদীপ ঘরামিও। দুই ব্যাটারকে সাবলীল দেখাচ্ছিল। প্রথম দিন প্রথম সেশনে ভেঙে পড়েছিল ঝাড়খণ্ডের ব্যাটিং। কিন্তু দ্বিতীয় দিন প্রথম সেশনে সেটা হতে দেননি দলের দুই নির্ভরযোগ্য ব্যাটার। প্রথম সেশনটা পার করে দেন তাঁরা।
দুই ব্যাটারই অর্ধশতরান করেন। ১৪৬ রানের জুটি বাঁধেন তাঁরা। শতরানের পথে এগোচ্ছিলেন দু’জনেই। কিন্তু ৬৮ রানের মাথায় অনেক বাইরের বল খেলতে গিয়ে আউট হন সুদীপ। ৭৭ রান করে আউট হয়ে যান অভিমন্যুও। আরও একটি শতরান করার সুযোগ ছিল তাঁর। কিন্তু পারলেন না ডান হাতি ওপেনার।
তিন উইকেট পড়ার পরে জুটি বাঁধেন অভিজ্ঞ অনুষ্টুপ মজুমদার ও অধিনায়ক মনোজ তিওয়ারি। প্রথম ইনিংসে ঝাড়খণ্ডের করা ১৭৩ রান টপকে যায় বাংলা। কিন্তু বড় রান করতে পারলেন না দু’জনেই। অনুষ্টুপ ২৫ ও মনোজ ১৩ রান করে সাজঘরে ফেরেন। ৫ উইকেট হারিয়ে কিছুটা চাপে পড়ে যায় বাংলা। কিন্তু তার পরে দলের ইনিংসকে সামলান দুই তরুণ শাহবাজ় আহমেদ ও অভিষেক পোড়েল।
দ্বিতীয় দিনের খেলা শেষ হওয়ার সময় বাংলার রান ৫ উইকেট হারিয়ে ২৩৮। ঝাড়খণ্ডের থেকে ৬৫ রান এগিয়ে তারা। শাহবাজ় ১৭ ও অভিষেক ২৫ রান করে খেলছেন। তৃতীয় দিনে যতটা সম্ভব বেশি রান করার চেষ্টা করবে বাংলা। কারণ, পাঁচ দিনের খেলায় এখনও ম্যাচে ফেরার সুযোগ রয়েছে ঝাড়খণ্ডের। মনোজরা চাইবেন তৃতীয় দিনেই খেলার ভাগ্য পরিষ্কার করে ফেলতে।
বাংলার কোচ লক্ষ্মীরতন শুক্লর গলাতেও শোনা গিয়েছে সেই কথা। দ্বিতীয় দিনের খেলা শেষ হওয়ার পরে তিনি বলেছেন, ‘‘প্রথম ইনিংসে লিড নিতে পেরে আমরা খুশি। তৃতীয় দিন এই লিড যত বেশি বাড়ানো সম্ভব তার চেষ্টা করব। কারণ এই পিচে কোনও কিছুই অসম্ভব নয়। প্রথম ইনিংসে অভিমন্যু ও সুদীপের জুটি খুব গুরুত্বপূর্ণ ছিল। কিন্তু আমাদের সামনে আরও বড় লক্ষ্য রয়েছে।’’