বোনাস পয়েন্ট পেয়ে যেতে পারেন মনোজ তিওয়ারিরা। —ফাইল চিত্র
প্রথম ইনিংসের পর দ্বিতীয় ইনিংসেও হরিয়ানার ব্যাটারদের উপর দাপট দেখালেন বাংলার বোলাররা। ১৭৭ রানে ৭ উইকেট হারিয়েছে হরিয়ানা। এখনও ৭৯ রানে পিছিয়ে তারা। শুক্রবার সকালে সেই রানের মধ্যে হরিয়ানার উইকেট ফেলে দিতে পারলে বোনাস পয়েন্ট পেয়ে যেতে পারেন মনোজ তিওয়ারিরা।
প্রথম ইনিংসে ৪১৯ রান তোলে বাংলা। সেই রানের জবাবে ব্যাট করতে নেমে ১৬৩ রানে শেষ হয়ে যায় হরিয়ানার প্রথম ইনিংস। আকাশ দীপ একাই নেন ৫ উইকেট। হরিয়ানাকে ফলো-অন করায় বাংলা। দ্বিতীয় ইনিংসে ব্যাট করতে নেমে দুই ওপেনার রুখে দাঁড়ান বাংলার বোলারদের বিরুদ্ধে। কোনও উইকেট না হারিয়ে ১২৯ রান তুলে ফেলে হরিয়ানা। একটা সময় মনে হচ্ছিল যুবরাজ সিংহ এবং চৈতন্য বিষ্ণোইকে সাজঘরে ফেরাতেই পারবেন না ঈশান পোড়েলরা। শেষ পর্যন্ত যুবরাজদের জুটি ভাঙেন আকাশ। প্রথম ইনিংসে ব্যাটারদের ত্রাস হয়ে উঠেছিলেন তিনি। দ্বিতীয় ইনিংসে প্রথম উইকেট পাওয়ার পরই আবার বাংলার বোলারদের দাপট শুরু হয় আকাশের নেতৃত্ব।
আকাশ একই ওভারে ফিরিয়ে দেন চৈতন্য (৫৫) এবং অঙ্কিত কুমারকে (০)। এর পরেই একের পর উইকেট পড়তে থাকে হরিয়ানার। ৪৮ রানের ৭ উইকেট চলে যায় তাদের। আলো কমে যাওয়ায় খেলা নির্ধারিত সময়ের আগে শেষ হয়ে যায়। হাতে ৩ উইকেট থাকলেও হরিয়ানা এখনও ৭৯ রানে পিছিয়ে। প্রথম ইনিংসে ৭০ রান করে অপরাজিত থেকে লড়াই করা সুমিত কুমার (৮) তৃতীয় দিনের শেষে ক্রিজে রয়েছেন। তাঁর সঙ্গে রয়েছেন অমিত রানা। তিনি এখনও কোনও রান করেননি। হরিয়ানার শেষ তিনটি উইকেট দ্রুত ফেলে দিতে চাইবে বাংলা। ইনিংসে জেতার জন্য আকাশ দীপরা যে চেষ্টা করবেন তা বলাই।
হরিয়ানার বিরুদ্ধে জিতলে কোয়ার্টার ফাইনালে ওঠার রাস্তা পাকা হয়ে যাবে বাংলার। ৩২ পয়েন্ট হয়ে যাবে তাদের। উত্তরাখণ্ড ছাড়া আর কোনও দলের পক্ষে সেই পয়েন্ট টপকানো সম্ভব নয়। তাই গ্রুপের প্রথম দুই দলের মধ্যেই থাকবে বাংলা। কোয়ার্টার ফাইনালেও পৌঁছে যাবে তারা।