অশ্বিন জানান, ছোটবেলায় অজি রুলস ফুটবল খেলতে গিয়ে দু’পা ভেঙে যায় ওয়ার্নের। ফলে তিন-চার মাস হাতের উপর ভর দিয়ে এক জায়গা থেকে অন্য জায়গায় যেতেন তিনি। তার ফলে হাত ও কাঁধ অনেক শক্ত হয়ে যায়। তার প্রভাবে পড়ে ক্রিকেটে। তাই যে উইকেট স্পিন সহায়ক থাকত না সেখানেও নিজের কেরামতি দেখিয়ে উইকেট তুলতে পারতেন ওয়ার্ন।
ওয়ার্নকে শ্রদ্ধা জানালেন অশ্বিন ফাইল চিত্র।
কয়েক দিন আগেই কপিল দেবকে টপকে টেস্টে ভারতের দ্বিতীয় সর্বোচ্চ উইকেট শিকারি হয়েছেন রবিচন্দ্রন অশ্বিন। ক্রিকেটের তিন ফরম্যাট মিলিয়ে ৬৪৮ উইকেট তাঁর দখলে। অন্য দিকে টেস্ট ও এক দিনের ক্রিকেট মিলিয়ে শেন ওয়ার্নের উইকেটের সংখ্যা ১০০১। তরুণ প্রজন্ম সেই রেকর্ড ভাঙা তো দূর, হাজার উইকেটের কথা ভাবতেও পারবে না বলে মনে করেন অশ্বিন।
গত শনিবার প্রয়াত হয়েছেন ওয়ার্ন। তাঁকে শ্রদ্ধা জানাতে গিয়ে অশ্বিন বলেন, ‘‘বোলিংয়ের নতুন সংজ্ঞা দিয়েছিলেন ওয়ার্ন। উনি হাজারের বেশি আন্তর্জাতিক উইকেট নিয়েছেন। এটা মুখের কথা নয়। খুব বেশি বোলার এই নজির গড়তে পারে না। তরুণ প্রজন্ম তো হাজার উইকেটের কথা ভাবতেই পারবে না।’’
কেন তিনি এই কথা বললেন সেই ব্যাখ্যাও দিয়েছেন অশ্বিন। তিনি বলেন, ‘‘টি২০ ক্রিকেটের দাপটে টেস্টের সংখ্যা অনেক কমে গিয়েছে। বিশ্ব জুড়ে অনেক লিগ চলছে। টেস্ট কম হলে উইকেটের সংখ্যাও কমবে। আর এত খেলা হচ্ছে যে ক্রিকেটারদের শরীরের উপর অতিরিক্ত চাপ পড়ছে। তার প্রভাব খেলায় বোঝা যাচ্ছে।’’
বোলারদের এমনিতেই কাঁধের উপর বেশি চাপ পড়ে। তার মধ্যে রিস্ট স্পিনারদের কব্জি ও কাঁধের মাধ্যমেই কেরামতি দেখাতে হয়। ফলে কাঁধ শক্ত হওয়া প্রয়োজন। ওয়ার্নের জীবনে একটি দুর্ঘটনা আশীর্বাদের কাজ করেছিল বলে জানিয়েছেন অশ্বিন। তাঁকে এই গল্প বলেন ভারতের বর্তমান কোচ রাহুল দ্রাবিড়।
অশ্বিন জানান, ছোটবেলায় অজি রুলস ফুটবল খেলতে গিয়ে দু’পা ভেঙে যায় ওয়ার্নের। ফলে তিন-চার মাস হাতের উপর ভর দিয়ে এক জায়গা থেকে অন্য জায়গায় যেতেন তিনি। তার ফলে হাত ও কাঁধ অনেক শক্ত হয়ে যায়। তার প্রভাবে পড়ে ক্রিকেটে। তাই যে উইকেট স্পিন সহায়ক থাকত না সেখানেও নিজের কেরামতি দেখিয়ে উইকেট তুলতে পারতেন ওয়ার্ন।