কোভিডের কারণে বলে থুথু লাগানোয় নিষেধাজ্ঞা জারি করেছিল আইসিসি। সেই নিয়মকে পাকাপাকি করার প্রস্তাব দিয়েছে এমসিসি। তার ফলে ফিল্ডাররা মুখের মধ্যে কোনও লজেন্স বা জেলিও রাখতে পারবেন না।
এ ভাবে আউট করে বিতর্কে জড়িয়েছিলেন অশ্বিন ফাইল চিত্র।
আইপিএল-এ জশ বাটলারকে মাঁকড়ীয় আউট (নন-স্ট্রাইকিং প্রান্তের ব্যাটার ক্রিজের বাইরে থাকলে বল করার আগেই তাঁকে আউট করা) করার পরে ভারতীয় স্পিনার রবিচন্দ্রন অশ্বিনের বিপুল সমালোচনা হয়েছিল। অনেকে বলেছিলেন, ক্রিকেটের নিয়ম ভেঙেছেন অশ্বিন। তবে এ বার থেকে হয়তো মাঁকড়ীয় আউট আর কোনও বিতর্ক থাকবে না। কারণ ক্রিকেটের নিয়মে অনেক পরিবর্তনের প্রস্তাব দিয়েছে মেরিলিবোন ক্রিকেট ক্লাব (এমসিসি)। তার মধ্যে রয়েছে মাঁকড়ীয় আউটের নিয়মও।
এত দিন পর্যন্ত ক্রিকেটের নিয়মের ৪১ নম্বর ধারায় ছিল মাঁকড়ীয় আউট। এ বার তাকে ৩৮ নম্বর ধারায় নিয়ে আসার প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে। অর্থাৎ এ বার থেকে মাঁকড়ীয় আউটও রানআউট হিসাবেই বিবেচিত হবে। এমসিসি-র তরফে জানানো হয়েছে, এই ধরনের আউট করলে বোলারকে খলনায়ক হিসাবে তুলে ধরা হয়। কিন্তু এটাও আউট করার এক পদ্ধতি। নইলে ব্যাটার অতিরিক্ত সুবিধা পায়।
এমসিসি আরও প্রস্তাব দিয়েছে, এ বার থেকে কোনও ব্যাটার ক্যাচ আউট হওয়ার আগে নন-স্ট্রাইকিং প্রান্তের ব্যাটার যদি স্ট্রাইকিং প্রান্তে চলেও আসেন তার পরেও নতুন ব্যাটার এসে ব্যাটিং প্রান্তে দাঁড়াবেন। শুধু মাত্র ওভারের শেষ বলে ক্যাচ আউট হলে ব্যাটারদের প্রান্ত বদল হবে।
যদি বল করার মুহূর্তে কোনও ফিল্ডার অবৈধ ভাবে নড়াচড়া করেন তা হলে এত দিন তাকে ডেড বল ঘোষণা করা হত। কিন্তু এ বার থেকে সে রকম হলে ব্যাটিং দলকে ৫ রান পেনাল্টি হিসাবে দেওয়া হবে। ওয়াইড দেওয়ার ক্ষেত্রে আম্পায়ারকে মাথায় রাখতে হবে ব্যাটার কতটা নড়াচড়া করেছে। ওয়াইডের দাগের বাইরে দিয়ে বল গেলেই তাকে ওয়াইড দেওয়া যাবে না। সেই সময় ব্যাটার কোথায় ছিলেন তার উপর নির্ভর করবে সেটি ওয়াইড কি না।
কোভিডের কারণে বলে থুথু লাগানোয় নিষেধাজ্ঞা জারি করেছিল আইসিসি। সেই নিয়মকে পাকাপাকি করার প্রস্তাব দিয়েছে এমসিসি। তার ফলে ফিল্ডাররা মুখের মধ্যে কোনও লজেন্স বা জেলিও রাখতে পারবেন না। এমসিসি-র এই প্রস্তাব এ বার আইসিসি-র অনুমোদনের অপেক্ষায়। তবে সাধারণত এমসিসি-র প্রস্তাব কোনও পরিবর্তন ছাড়ায় কার্যকর করে দেয় আইসিসি। এখন দেখার এই সব প্রস্তাবের ক্ষেত্রে আইসিসি কী সিদ্ধান্ত নেয়।