কুইন্টন ডি’কক। —ফাইল চিত্র।
বয়স সবে ৩০। এই বয়সে বিশ্বের অধিকাংশ ব্যাটার ক্রিকেটজীবনের সেরা ফর্মে থাকেন। অথচ কুইন্টন ডি’কক এক দিনের ক্রিকেট থেকে অবসর নেওয়ার জন্য বেছে নিয়েছেন এই বয়সকেই। বিশ্বকাপের পর আর তাঁকে দেখা যাবে না ৫০ ওভারের ক্রিকেটে।
দক্ষিণ আফ্রিকার উইকেটরক্ষক-ব্যাটারের অবসরের সিদ্ধান্ত নিশ্চিত ভাবে ক্রিকেটপ্রেমীদের একাংশকে বিস্মিত করেছিল। তাঁরা আরও বিস্মিত ডি’ককের সময় নির্বাচন নিয়ে। বিশ্বকাপে দুর্দান্ত ফর্মে রয়েছেন ডি’কক। সাতটি ম্যাচ খেলে চারটি শতরান করেছেন। প্রতিযোগিতায় সর্বোচ্চ রান সংগ্রাহকও তিনি। বিশ্বের অধিকাংশ ব্যাটারের মতো তিনিও সম্ভবত এই ৩০ বছর বয়সেই ক্রিকেটজীবনের সেরা ফর্মে রয়েছেন। ৭৭.৮৫ গড়ে ৫৪৫ রান করেছেন এখনও পর্যন্ত। এখনই অবসর নিতে হবে তাঁকে! ক্রিকেটপ্রেমীদের মধ্যে। প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে। সিদ্ধান্ত পরিবর্তনের ইঙ্গিত এখনও দেননি ডি’কক। বরং বলেছেন, অবসর নেওয়ার নিজের সবটুকু দেশের জন্য উজাড় করে দিতে চাইছেন।
বুধবার নিউ জ়িল্যান্ডের বিরুদ্ধে এ বারের বিশ্বকাপের চতুর্থ শতরান করেছেন ডি’কক। বিশ্বের তৃতীয় ব্যাটার হিসাবে একটি বিশ্বকাপে চারটি বা তার বেশি শতরান করার নজির গড়েছেন। রোহিত শর্মা এবং কুমার সাঙ্গাকারার কৃতিত্ব স্পর্শ করেছেন। নিউ জ়িল্যান্ডের বিরুদ্ধে অনবদ্য ইনিংস খেলার পর ডি’কক বলেছেন, ‘‘ব্যাট করার সময় নিজের সবটা দেওয়ার চেষ্টা করছি। যতটা দীর্ঘ সময় সম্ভব ব্যাট করার চেষ্টা করছি। কারণ আমার এক দিনের ক্রিকেটজীবন ক্রমশ ছোট হয়ে আসছে।’’
দক্ষিণ আফ্রিকার প্রথম ক্রিকেটার হিসাবে একটি বিশ্বকাপে ৫০০ বা তার বেশি রান করার নজির গড়েছেন ডি’কক। সব মিলিয়ে বেশ ভাল যাচ্ছে ডি’ককের বিশ্বকাপ। তিনি বলেছেন, ‘‘ইদানিং আমি বেশ ভাল বোধ করছি। সব কিছুই বেশ সুন্দর ভাবে হচ্ছে। যেমন চাইছি, তেমনই হচ্ছে। আমাদের দলের বোলারেরাও দারুণ পারফরম্যান্স করছে। তাই আমাদের ব্যাটারদের কাজও সহজ হয়ে যাচ্ছে। দলের সবাই চাইছে, আমি যেন ইনিংসে শেষ পর্যন্ত ব্যাট করি। সে ভাবেই চেষ্টা করছি। কিন্তু চাইলেই কী আর হয়।’’
ডি’কক চাইছেন প্রিয় ২২ গজে যতটা সম্ভব বেশি সময় কাটানোর। কারণ নিজেই নিজের বিদায়ের ঘণ্টা বাজিয়ে দিয়েছেন। তার আগে ক্রিকেটকে যেন আরও বেশি করে আঁকড়ে ধরতে চাইছেন ডি’কক। তাঁর এই আঁকড়ে থাকার চেষ্টার সুফল পাচ্ছেন টেম্বা বাভুমারা।