ভারত এ দলে সুযোগ পেল শ্রীলেখা। —নিজস্ব চিত্র
জাতীয় স্তরের ক্রিকেটে বাংলার মেয়ে। ২০২১-২২ সালের অনূর্ধ্ব১৯ চ্যালেঞ্জার কাপে খেলার সুযোগ পেল পূর্ব বর্ধমানের শ্রীলেখা রায়। ভারত ‘এ’ দলের হয়ে খেলবে সে।
ভাতারের বড়বেলুন গ্রামের মেয়ে শ্রীলেখা। ছোটবেলা থেকেই খেলাধুলার প্রতি আগ্রহ। দরিদ্র পরিবারে টানাটানি ছিল। বছর আটেক আগে বাবা মারা যাওয়ায় তা বেড়ে যায়। শ্রীলেখাকে রাস্তার ধারে ঘুগনি বিক্রি করে সংসারের হাল ধরতে হয়। সেই শ্রীলেখা এখন ভারত এ মহিলা ক্রিকেট দলে।
২০১৫ সাল থেকে ভাতার অগ্রগামী ক্রিকেট একাডেমিতে শ্রীলেখা ক্রিকেট শেখা শুরু করে। প্রশিক্ষক অনির্বাণ হাজরা, নীলকন্ঠ পাঁজা ও রাহুল আলমের হাত ধরে তার পথচলা শুরু। প্রথমে জেলাস্তরে ফিল্ডিং করার সুযোগ পায় শ্রীলেখা। এরপর কয়েক মাস দুর্গাপুরে প্রশিক্ষণ নিয়ে কলকাতার উদ্দেশে পাড়ি দেয়।
শ্রীলেখা বলে, “২০১৭-১৮ সালে অনূর্ধ্ব-১৯ বাংলার হয়ে খেলার সুযোগ পাই। সেপ্টেম্বর মাসে অনূর্ধ্ব-১৯ বাংলার হয়ে পাঁচটি এক দিনের খেলার সুযোগ পেয়েছিলাম।” একটি ম্যাচে ৩০ বলে অপরাজিত ২১ রান করে শ্রীলেখা। সেই সঙ্গে ছয় ওভারে একটি মেডেন-সহ ৯ রান দিয়ে দু’টি উইকেট নিয়ে নির্বাচকদের নজর কাড়ে সে। এর পরেই ডাক আসে চ্যালেঞ্জার কাপে খেলার জন্য।
শ্রীলেখার মা রেখা রায় বলেন, “প্রথমে কলকাতায় থাকার জায়গা ছিল না। তবে প্রশিক্ষক বিনীতা রায় মৌলিক ও মিন্টু মুখোপাধ্যায়ের সহযোগিতায় থাকার ব্যবস্থা হয়। এরকমও হয়েছে, খাবার জোটেনি। অন্যের বাড়িতে পরিচারিকার কাজ করেছি।” এই দীর্ঘ লড়াইয়ের পর চ্যালেঞ্জার ট্রফিতে সুযোগ পাওয়ায় গর্বিত শ্রীলেখার মা। আগামী দিনে মেয়েকে ভারতের জার্সিতে দেখতে চান তিনি।